Arab Sheikh Yacht: ধনকুবেরদের চাহিদা মেটায় এই বোট! কারা থাকে ভিতরে? কত টাকা থাকলে সম্ভব?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Arab Sheikh Yacht: আরবের শেখ থেকে শুরু করে ধনকুবের, ঘুরে বেড়ায় এই ইয়টে করে। ভাবতে পারবেন না, ঠিক কত পরিমাণে টাকা থাকলে এভাবে ঘুরে বেড়ানো যায়। নিঃসন্দেহে এগুলো ভীষণ সুন্দর। কিন্তু এখানে বসে সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করতে গেলে ধনকুবের হতে হবে। দেখতে বিলাসবহুল জাহাজের মতো। আবার কোনোটা বা যুদ্ধ জাহাজের মত। এমন সুযোগ সুবিধা রয়েছে যার ফলে জলদস্যুরা পর্যন্ত এগুলো ছুঁতে পারে না। ঢেকে দেওয়া বুলেটপ্রুফ কাঁচ দিয়ে। এর মধ্যেই থাকে আরব দেশের ধনকুবের থেকে শুরু করে শেখরা। কাটায় রাজার মত জীবন। চলুন জেনে নেওয়া যাক, পৃথিবীর মোস্ট এক্সপেন্সিভ কিছু বিলাসবহুল প্রমোদ তরীর কথা।

অ্যাকোয়া (aqua) বিশ্বের প্রথম হাইড্রোজেন ইঞ্জিন চালিত ইয়ট। এটি তৈরি করতে খরচ পড়েছে প্রায় ৬৪৪ মিলিয়ন ডলার। দেখলে মনে হবে অতিক্রম করেছে বিলাসিতার সর্বোচ্চ সীমা। গতি ১৭ নটিক্যাল মাইল। ভীষণ পরিবেশবান্ধব। অসাধারণ সিলিং থেকে শুরু করে এর জানালার দৃশ্য। দেখলে মুগ্ধ হতে হয়। একটানা ভ্রমণ করতে পারে ৬ হাজার কিলোমিটারের জলপথ। দিব্যি থাকতে পারবেন ১৪ জন অতিথি এবং ২০ জন ক্রু সদস্য।

দুবাই ( dubai) মোস্ট এক্সপেন্সিভ ইয়ট, দৈর্ঘ্যে প্রায় ১৬২ মিটার। মালিক দুবাইয়ের প্রধানমন্ত্রী নিজেই। এর মাথায় একটা হেলিকপ্টার দিব্যি উঠানামা করতে পারবে। পাশাপাশি রয়েছে নিজস্ব সাবমেরিন। ভিতরের বেশিরভাগ আসবাবপত্রই সোনা দিয়ে মোড়া, প্রতিটি ঘরে যাওয়ার জন্য আলাদা আলাদা লিফট এর ব্যবস্থা রয়েছে। যাত্রা করতে পারবেন একসঙ্গে ১১৪ জন।

আল সেইড (al said) নামক এই ইয়টটি ওমানের সুলতানের। মূল্য প্রায় ৩৩০ মিলিয়ন ডলার। দৈর্ঘ্য ১৫৫ মিটার। হেলিকপ্যাড সোনার আস্তরণে মোড়া। এর বিশেষত্ব হলো, এখানে বিভিন্ন ধরনের কনসার্টের আয়োজন করা হয়। বিশাল হল রুম রয়েছে। যেখানে একসাথে ৫০ জন সংগীত শিল্পী এবং দর্শক বসতে পারেন।

সেরেন ( seren), ৩৩০ মিলিয়ন ডলারের এই ইয়াটে মুভি দেখার জন্য রয়েছে আলাদা সিনেমা থিয়েটার। এই থিয়েটারে বসলে আপনার ঘুম পেয়ে যেতে বাধ্য। এতটাই আরামদায়ক। তাও আবার রয়েছে খোলা ছাদে। একদিকে সিনেমা দেখবেন, অপরদিকে গায়ে লাগবে খোলা বাতাস। দৈর্ঘ্য প্রায় ১৩৪ মিটার, আয়তনে ১৫০০ বর্গমিটার।

পৃথিবীর সবচেয়ে দামিই ইয়ট গুলির মধ্যে অন্যতম ৩২০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের রেডিয়েন্ট ( Radiant)। প্রাথমিকভাবে এটা রাশিয়ান এক ব্যক্তির জন্য তৈরি হলেও বর্তমানে এর মালিক সংযুক্ত আরব আমিরাতের একজন বিলিয়নিয়ার শেখের। এর বিশেষত্ব, এর অভিনব প্রযুক্তি। রয়েছে সাউন্ড রাডার। শত্রু যদি এটাকে আক্রমণ করে, তাহলে বন্দুকের গুলির শব্দে আক্রমণকারীর কানে তালা লেগে যেতে পারে। আওয়াজ এতটাই বিকট। শুধু তাই নয়, ইয়টের কাছাকাছি শত্রুর নৌকা আসলে তাকে ডুবিয়ে দেওয়ার মতো টেকনোলজিও রয়েছে এখানে। জলদস্যুরা হঠাৎ আক্রমণ করলে এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।

পেলোরুশ ( pelorus), ৩০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ইয়টটির মালিক ছিলেন শেখ মোহাম্মদ হাসান। ইনি একজন সৌদির নাগরিক। এটি পরবর্তীকালে যাত্রা করেছিল রোমানিয়াতে। বর্তমানে এর মালিক একজন মার্কিন ব্যক্তি। দৈর্ঘ্য প্রায় ১১৫ মিটার। সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৬ নটিক্যাল মাইল। একসাথে যাত্রা করতে পারে ৪০ ক্রু জন মেম্বার। পেলোরুশ পুরো মুড়ে ফেলা হয়েছে বুলেটপ্রুফ গ্লাস দিয়ে। এছাড়াও রয়েছে অ্যান্টি মিসাইল রাডার সিস্টেম। এর ছাদে খুব সহজেই ওঠা নামা করতে পারবে দুটো হেলিকপ্টার। রয়েছে নিজস্ব সাবমেরিন।

https://fb.watch/qr-bhAfjv4/?mibextid=NTRm0r7WZyOdZZsz

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version