Mayanmar-china relation: বিপদে পাশে থাকার প্রতিদান! চিনের তুরূপের তাস এখন মায়ানমার

৷৷ প্রথম কলকাতা ৷৷
Mayanmar-china relation: মায়ানমারের গভীরে শিকড়ের মতো গজাচ্ছে চিন৷ মায়ানমারের পেটে একের পর এক উপায়ে ভাত জোগাচ্ছে বেজিং৷ বার্মা প্রাকৃতিক গ্যাসেরও ওপর মাকড়সার মতো বসে আছে লাল ফৌজের দেশ৷ কিন্তু চিনের লক্ষ্য মায়ানমার নয় অন্যকিছু৷ মায়ানমারের ওপরে চিনের এতটা প্রভাবে বাংলাদেশ এমূহুর্তে খুব একটা প্রভাবিত হচ্ছে না কিন্তু চিন কেন এতটা কল্পতরু হয়ে গেল মায়ানমারকে নিয়ে সেটা কি জানেন? জুন্টা সরকার আসার আগে পর্যন্তও মায়ানমারের সঙ্গে দুরত্ব ছিল বেজিংয়ের৷ কিন্তু এখন আর তেমনটা হওয়ার জো নেই কারণ ইকোনমিক টাইমসের রিপোর্ট বলছে, মায়ানমার এখন পুরোপুরি চিনের ওপর নির্ভর করেই বাঁচছে৷

চলতি বছরের শুরুর দিকেই মায়ানমারের সামরিক সরকারকে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করেছিল চিন৷ মায়ানমারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পোক্ত করারও ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল বেজিং৷ যখন বিশ্বের বাকি সব দেশই প্রায় বার্মার কাঁধ থেকে হাতটা সরিয়ে নিয়েছিল তখন চিন নয়া কোন উদ্দেশ্য নিয়ে বন্ধুত্ব করতে এল? মায়ানমারের প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর চিনের কবজা৷ মায়ানমারের প্রাকৃতিক গ্যাসের চিনের বড়সড় বিনিয়োগ কূটনৈতিক মহল বলছে, এতে ড্রাগনের দেশের দুটো খুব বড় সুবিধা হচ্ছে৷ তবে মায়ানমার হাতের পুতুল হয়ে গিয়েছিল ২০২১ সালে৷ তখন সব দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বার্মার কাছে৷

২০২১ সালের পর থেকে জুন্টা সরকারের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কে ইতি টানে আমেরিকা ও ব্রিটেন৷ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও কানাডা মায়ানমারের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক শেষ করে দেয়৷ এদিকে দক্ষিণ কোরিয়া মায়নামারের সঙ্গে আর্থিক চুক্তি বন্ধ করে দেয়৷ জাপান মায়ানমারকে নিষিদ্ধ করে, বন্ধ করা হয় দুই দেশের স্যাটেলাই প্রোজেক্ট নিউজিল্যান্ড মায়ানমারকে প্রতিরক্ষা ও অর্থখাতে নিষিদ্ধ করে দেয়৷ এদিকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে তো অস্ট্রেলিয়া দীর্ঘদিন ধরে মায়ানমারকে নিষিদ্ধ করেছে৷ চিনই সেইসময় ছিল বার্মার একমাত্র রক্ষাকর্তা৷ এই মুহূর্তে মায়ানমারের মোট ৪০ শতাংশ ঋণের ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার চিনের৷ ভাবতে পারছেন অবস্থাটা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে৷ চিন মায়ানমারের প্রাকৃতিক গ্যাসকে হাত করার প্রধান বা আসল কারণটাই হল ভারত মহাসাগরের ওপর দাপট দেখানো৷ দ্বিতীয়ত, জ্বালানিতে অস্ট্রেলিয়ার উপর নির্ভরতা কমাচ্ছে চিন৷ আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভারত মহাসাগরই চিনের আসল টার্গেট৷ ভারত মহাসাগরে চিনা নৌবাহিনীর তৎপরতাও তো ধরা পড়েছে ভারতীয় উপগ্রহচিত্রে৷

তথ্য বলছে, বার্মায় চিনের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ মায়ানমার-চিন অর্থনৈতিক করিডর৷ এই অর্থনৈতিক করিডরে পড়ছে গ্যাস পাইপলাইন, সড়ক, রেল প্রকল্প সবমিলিয়ে বিনিয়োগ দশ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ চিন বুঝে গেছিল মায়ানমার আর কারোর কাজে না লাগলেও তাদের মুশকিল আসান করতে পারবে একমাত্র এই দেশটাই৷ তাই তো ভারতের ওপর চাপ বাড়িয়ে মায়ানমারকে ভায়া করে চিন রমরমিয়ে দাপট বাড়াচ্ছে৷

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version