National Science Day: পদার্থবিদ্যার গবেষণায় নতুন দিশা দেখায় রামন এফেক্ট, অভাবনীয় আবিষ্কার ভারতীয় বিজ্ঞানীর

।। প্রথম কলকাতা ।।

National Science Day: দিনের বেলা আকাশ কেন নীল দেখায়, এর পিছনে নানান ব্যাখ্যা রয়েছে। পদার্থবিদ্যার ব্যাখ্যা অনুযায়ী, এক্ষেত্রে কাজ করছে আলোক কণার বিচ্ছুরণ। যার বেশিরভাগটাই স্থিতিস্থাপক বিচ্ছুরণ। অপরদিকে রামন এফেক্ট জানিয়েছিল অস্থিতিস্থাপক বিচ্ছুরণের কথা। এই আবিষ্কারের পর রামন এফেক্ট কাজে লাগানো হয় পদার্থ এবং রসায়ন বিদ্যার বিভিন্ন পদার্থ চেনার জন্য। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসের ২৮ তারিখে পালন করা হয় জাতীয় বিজ্ঞান দিবস (National Science Day)। এই দিবস মূলত পালন করা হয় ভারতীয় পদার্থ বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামনের আবিষ্কার রামন এফেক্টকে সম্মান জানিয়ে। এই দিবস উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়সহ নানান প্রতিষ্ঠানে সভা, বক্তৃতা, আলোচনা, প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

সর্বপ্রথম ১৯৮৬ সালে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যা যোগাযোগ সাইন্সের তরফ থেকে ভারত সরকারের কাছে একটি আবেদন রাখা হয়। এই দিবস পালনের জন্য আবেদনের অনুমোদন দেয় ভারত সরকার। তারপর ১৯৮৭ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিবছরই নির্দিষ্ট দিনে পালিত হয়ে আসছে জাতীয় বিজ্ঞান দিবস। এই দিবসের উদ্দেশ্য, সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রযুক্তিবিদ্যা ও বিজ্ঞান বিষয়ে ধারণা তৈরির পাশাপাশি বিজ্ঞানের উপকারিতা সম্পর্কে সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি এবং বৈজ্ঞানিক আবহ গড়ে তোলা। জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কাউন্সিল এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতি বছর জাতীয় বিজ্ঞান দিবস পালিত হয়।

রামন এফেক্ট আবিষ্কারের কারণেই জাতীয় বিজ্ঞান দিবস পালিত হয়। ১৯২৮ সালে ২৮শে ফেব্রুয়ারি ভারতীয় বিজ্ঞানী স্যার চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রমন (স্যার চন্দ্রশেখর ভেঙ্কটরমন) এই আবিষ্কার সামনে এনেছিলেন। স্যার চন্দ্রশেখর ভেঙ্কটারমন এই আবিষ্কারের জন্য ১৯৩০ সালে নোবেল পুরস্কার পান। জাতীয় বিজ্ঞান দিবস উদযাপনের উদ্দেশ্য হল, শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানের প্রতি আকৃষ্ট করা। বিজ্ঞানকে সাধারণের জন্য উপলব্ধ করতে হবে। বর্তমানে যে উন্নয়ন ঘটছে, ভবিষ্যতেও ঘটবে তা কেবল বিজ্ঞানের কারণেই সম্ভব। বিজ্ঞানের মাধ্যমে নাগরিকরা প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জন করতে পারে। এই দিন বৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনাকে সারা ভারতে ছড়িয়ে দিতে, বিজ্ঞানের উপকারিতা সম্পর্কে সমাজে সচেতনতা করতে এবং মানুষের মধ্যে বৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনা জাগ্রত করতে নানানা আলোচনা সভা কিংবা বক্তৃতার আয়োজন করা হয়। বিজ্ঞানের জনপ্রিয়তা বাড়াতে প্রদান করা হয় নানান পুরস্কার।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version