National Science Day: বিজ্ঞানের অবদানকে স্মরণ করার দিন, জানুন সায়েন্স ডে’র কিছু অজানা তথ্য

।। প্রথম কলকাতা ।।

National Science Day: দিনের শুরু থেকে দিনের শেষ পর্যন্ত সর্বত্রই বিজ্ঞানের আবিষ্কারকে ব্যবহার করে চলেছি আমরা। মানব সভ্যতার উন্নয়নে বিজ্ঞানের (Science) অবদানকে অস্বীকার করার কোনরকম জায়গা নেই। আর অনস্বীকার্য অবদান সেই রকমই বেশ কিছু বিজ্ঞানীদের। যারা নিজেদের বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে নতুন কিছু জানার, নতুন কিছু তৈরি করার প্রচেষ্টা করে চলেছেন প্রতিমুহূর্তে। বিজ্ঞানের এই অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতেই প্রতিবছর ২৮ ফেব্রুয়ারি ভারত জুড়ে পালিত হয় জাতীয় বিজ্ঞান দিবস (National Science Day) ।

প্রতিবছরই বিজ্ঞান দিবসে নির্দিষ্ট একটি থিম (Theme) নির্ধারণ করা হয়। চলতি বছরের থিম হল ‘সার্বজনীন কল্যাণে বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞান’। জাতীয় বিজ্ঞান দিবস পালনের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয় জড়িয়ে রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে বিশিষ্ট এক ব্যক্তিত্বের নাম। যার আবিষ্কারকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ভারত সরকার ২৮ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে ন্যাশনাল সায়েন্স ডে হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ১৯৮৬ সালে। চলুন জানা যাক জাতীয় বিজ্ঞান দিবস সম্পর্কে কিছু এমন তথ্য যেগুলি দেশবাসী হিসেবে গর্বের সহিত জানা উচিত।

সাল তখন ১৯২১। ভারতীয় বিজ্ঞানী সি ভি রামন (C V Raman) ইউরোপ ভ্রমণে গিয়েছিলেন। তখন তিনি ভূমধ্য সাগরের জলের রং ট্রান্সপারেন্ট সারফেস নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। আর সেই গবেষণা চলতে থাকে দীর্ঘদিন। অবশেষে তিনি আবিষ্কার করেন ‘রামন এফেক্ট’ (Raman Effect)। স্পেট্রোস্কোপিতে রামন এফেক্টের আবিষ্কার এক দিগন্ত সৃষ্টিকারী বিষয় বলেই আখ্যায়িত হয়েছে । এটি আবিষ্কার করার জন্য তিনি ১৯৩০ সালে ভৌত বিজ্ঞানে নোবেল প্রাইজ পান। এছাড়া ১৯৫৪ সালে ডক্টর সি ভি রামনকে ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘ভারতরত্নে’ ভূষিত করা হয়। ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কমিউনিকেশন ১৯৮৬ সালে ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে জাতীয় বিজ্ঞান দিবস হিসেবে ঘোষণা করার জন্য।

তাদের সেই প্রস্তাব অবশ্যই ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি বরং অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল দিনটিকে। পরের বছর ১৯৮৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ভারতের প্রথম রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞান দিবস পালন শুরু হয়। আর এখনও পর্যন্ত সেটি ধারাবাহিকভাবে পালিত হয়ে চলেছে। দেশের বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান এবং রিসার্চ ল্যাবরেটরিগুলিতে জাতীয় বিজ্ঞান দিবসকে পালন করা হয় মহাসমারোহে। রোজকার জীবনে কুসংস্কারকে দূরে সরিয়ে বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তাভাবনা যাতে নাগরিকদের মধ্যে জাগরিত হয় তাই একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয় এই বিজ্ঞান দিবসে। যে বছরে যে থিম নির্ধারণ করা হয় তার উপর ভিত্তি করে সেই বছরের আলোচনা এবং কর্মসূচি ঠিক করা হয়। চলতি বছরেও বিশ্বব্যাপী সকল মানুষের জন্য বিজ্ঞানের অবদান কী সেই সম্বন্ধিত বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version