।। প্রথম কলকাতা ।।
Hero Alom: তাকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা বহুদিনের! হঠাৎ কেন এমন বললেন হিরো আলম? নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তাল বাংলাদেশ। শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হয়েছে না হয়নি, এই নিয়ে উঠছে নানান প্রশ্ন। হিরো আলমের উপর হামলাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওপার বাংলায়। ঢাকা-১৭ আসন নির্বাচনে তিনি প্রার্থী ছিলেন। বিপরীত দিকে ছিলেন প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। সোমবার সকাল আটটা থেকে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল চারটে পর্যন্ত। ভোট গ্রহণের প্রায় শেষের দিকে রাস্তায় হামলার শিকার হয়েছেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। সেই ভিডিও এখন বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে তুমুল ভাইরাল। সাংবাদিকদের তিনি জানান, তাকে নাকি মেরে ফেলার পরিকল্পনা বহুদিন ধরেই চলছিল। এই হামলা প্রথম নয়, আগেও তার উপর হামলা হয়েছে।
বাংলাদেশের নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, গণতান্ত্রিক এবং নিরপেক্ষ হওয়ার জন্য হওয়া নিয়ে বহুদিন ধরেই নানান আলোচনা সমালোচনা চলছে। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও বিষয়টি পর্যালোচনা করছে। বারংবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসে বিষয়টি নিয়ে কথাও বলেছেন। দাবি একটাই, ভোট হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু। সহমত জানিয়েছিলেন দেশটার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। এসবের মাঝে ভোট কেন্দ্রের মাঠে দেখা গেল মারমুখী একদল মানুষকে। আর সেখান থেকে একজন দৌড়ে বেড়িয়ে আসছেন। তাকে ধাওয়া করছে হামলাকারীরা। তিনি হলেন হিরো আলম। ভিডিওতে দেখা যায়, তাকে মারধরও করা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকেল সোয়া তিনটে নাগাদ বনানী এলাকায়। এই ঘটনার পর, উপনির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছেন হিরো আলম। স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, “না না এই সরকারের অধীনে আর কোনদিন নির্বাচন করব না। আঘাতটাই বলে দিচ্ছে এই নির্বাচন সুষ্ঠু নাকি সুষ্ঠু নয়”। শুধু তিনি নন, তার সঙ্গে থাকা বেশ কয়েকজন সহকর্মীর আঘাত লেগেছে।
হিরো আলমের ঘটনা প্রসঙ্গে ,বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছে, প্রায় ১২৪ টা কেন্দ্রে ভোট হয়েছে। সেক্ষেত্রে একটি কেন্দ্র বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলে সেটা বলা যায় না অসুষ্ঠু হয়েছে। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে প্রায় ১১.৫১ শতাংশ ভোট পড়েছে। মোট ভোট সংখ্যা ৩৭, ৪২০। যার মধ্যে বাতিল হয়েছে ৩৮৩ টা। ২৮,৮১৬ টা ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন মোহাম্মদ আলী আরাফাত আর হিরো আলম পেয়েছেন ৫,৬০৯টি ভোট।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম