Israel National Guard: সন্ত্রাস দমনে মাঠে নামবে ন্যাশনাল গার্ড, ইসরায়েলের সিদ্ধান্ত ভাবাচ্ছে বিশ্বকে!

।। প্রথম কলকাতা ।।

Israel National Guard: ছোট্ট একটা দেশ, কিন্তু ক্ষমতায় কম নয়। ইসরায়েলের ক্ষমতা গোটা বিশ্ব জানে। এবার সেই ইসরায়েল তৈরি করছে ন্যাশনাল গার্ড (National Guard) নামক এক নতুন সশস্ত্র বাহিনী। ইতিমধ্যেই সেই প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে ইসরায়েলের পার্লামেন্টে। এই নতুন বাহিনী পরিচালনা করবে উগ্র জাতীয়তাবাদী নেতা ইতামার বেন গভিরের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়। ২ এপ্রিল রবিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় তরফ থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করে পার্লামেন্টে ন্যাশনাল গার্ড গড়ার প্রস্তাবের অনুমোদন পেয়েছে। সেই উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে এক কমিটি। কমিটি আগামী ৯০ দিনের মধ্যে তাদের সুপারিশ জমা দেবে।

গোটা বিশ্বজুড়ে এই খবরে সাড়া পড়ে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, ইসরায়েল নতুন করে কি করতে চাইছে? ন্যাশনাল গার্ডের কাজটাই বা কি হবে? আসলে সশস্ত্র বাহিনীর মোতায়েন করা হবে গোটা ইসরায়েলে। যা ইসরায়েল প্রশাসনকে আগের থেকে আরও বেশি শক্তিশালী করে গড়ে তুলবে। এটি মূলত কাজ করবে জাতীয়তাবাদী অপরাধ এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্ত সহজে নিচ্ছেন না অনেকেই। এরই মধ্যে এই বাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে তেল আবিবে। মানবাধিকার সংগঠন মনে করছে, এই সিদ্ধান্তের ফলে তৈরি হবে প্রাইভেট সশস্ত্র মিলিশিয়া। ইসরায়েলের কিছু নাগরিক অধিকার সংগঠন মনে করছে, এই বাহিনী ফিলিস্তিনে নাগরিকদের বিরুদ্ধে আর ইজরায়েল সরকার বিরোধী বিক্ষোভ দমনের জন্য কাজে লাগানো হবে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ন্যাশনাল গার্ড গঠনের বিরোধিতা করেছে। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ইসরায়েল ন্যাশনাল গার্ডের মাধ্যমে তাদের জনগণকে ভয় দেখাতে পারবে না। এখনো পর্যন্ত গাজায় আন্দোলন অব্যাহত। সেক্ষেত্রে ইসরায়েল সরকারের ন্যাশনাল গার্ড হয়ে উঠতে পারে এক বিপ্পজনক পদক্ষেপ।

প্রথমে ইসরায়েলের কিছু মন্ত্রী ন্যাশানাল গার্ড বাহিনী গঠনের প্রস্তাবের বিষয়ে আপত্তি করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা সেই পক্ষেই ভোট দিয়েছেন। দেশটির মন্ত্রিসভায় ন্যাশনাল গার্ড বাহিনীর প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটিও হয়েছে। অপরদিকে সিরিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের উত্তেজনা এখনো অব্যাহত। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, রবিবার সিরিয়ার হমস প্রদেশের কয়েকটি জায়গায় ইসরায়েলির বিমান হামলা চালানো হয়েছে। টার্গেট করা হচ্ছে সিরিয়ায় থাকা ইরান সংশ্লিষ্ট লক্ষ্যবস্তুর উপর। সিরিয়ায় যে ইসরায়েল বারংবার বিমান হামলা চালাচ্ছে, সেই বিষয়ে দেশটি মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছে। আক্রমণের কথা ইসরায়েল স্বীকার করতে চায় না।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version