Sudan: হত্যালীলা চলছেই, বিশ্বের জন্য দুঃসময় ডেকে আনছে সুদান! বাঁচার উপায় কি?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Sudan: সুদান একেবারে ধ্বংসের মুখে। বোমা গোলাগুলি, পরস্পরকে দোষারোপ, খাদ্য পানীয় জলের সংকট। লড়াইয়ের তীব্রতা বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। বাংলাদেশীর প্রথম দলকে ফেরানোর প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে। কিন্তু, সুদানে জেনারেলদের এই যুদ্ধে আদৌ কি কেউ জিতবে? এটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন! এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে, শান্তি ফিরিয়ে আনতে যা করা উচিৎ, তা কি করে দেখাতে পারবে সুদান? নাকি এভাবেই বন্দী জীবন কাটাবে সুদানের মানুষ? কোনো সমাধান সূত্রই বের হচ্ছে না। বাঁচবে কি করে ওঁরা? সুদান সংকট কি বিশ্বের জন্য সত্যিই দুঃস্বপ্ন?

লাখ কথার এক কথা, ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে ভালো নেই সুদানের মানুষগুলো, যেন হত্যাযজ্ঞ চলছে! খার্তুমের রাস্তায় মৃতদেহ গুলো পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। সংঘাতের এফেক্টগুলো দিনে দিনে স্পষ্ট হয়ে উঠছে! খার্তুম সহ অন্যান্য শহরগুলো থেকে বহু মানুষ ভিটেবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছে। যারা পালাতে পারছে না তাঁরা সুদানেই বেঁচে থাকার জন্য হিমশিম খাচ্ছে। দুই তৃতীয়াংশ হাসপাতালের পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। খাদ্য, জল, বিদ্যুৎ সবকিছুর জন্য হাহাকার বাড়ছে। দেশের অর্থনীতি মহা অনিশ্চয়তার দিকে চলে গেছে। ভঙ্গুর অর্থনৈতিক কাঠামো যখন তখন ভেঙে পড়ার রিস্কে রয়েছে। ভারত সহ অন্যান্য দেশগুলো নিজেদের নাগরিকদের সুদান থেকে সরিয়ে নিয়েছে ১৫০০ বাংলাদেশির প্রথম দলকে ফেরানোর প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে, সৌদি হয়ে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা চলছে। কিন্তু যুদ্ধ থামার লক্ষণ নেই। একের পর এক অস্ত্র বিরতি ফেইল করছে।

তাহলে, উপায় কি, জানুন 

আরএসএফের হেমেদতি আর সেনাবাহিনীর বুরহান, দুজনেই কিন্তু নিশ্চিত ভাবে জানেন সামরিক লড়াইয়ের মাধ্যমে, রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কোনো সমাধানসূত্র তাঁরা বের করতে পারবেন না। তারপরও নিজেদের স্বার্থের জন্য তাঁরা পরস্পরকে দুর্বল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আর ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে সুদানের সাধারণ মানুষগুলোকে। কেউ কেউ বলছেন, ভৌগোলিক ও ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যে জটিলতা আছে, তার জন্য এই যুদ্ধে সহজে জেতা হারার পয়েন্টে পৌঁছানো খুব সহজ হবে না।

আর শান্তি ফিরিয়ে আনতে যা করা উচিত বা দরকার সেটাও করা যাচ্ছে না। কারণ, এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে এখন সেনাবাহিনী, আরএসএফ ও সুদানি মানুষ এর সমন্বয়ে গঠিত একটি ত্রিপক্ষীয় শক্তি দরকার, যা তিনটে পক্ষকেই সমঝোতার জায়গায় আনতে পারে, বোঝাতে পারে। কিন্তু, এই সমীকরণে সুদানের নাগরিকদের অনুপস্থিতি পুরো বিষয়টা কে ব্যালেন্স হতে দিচ্ছে না। কারণ, সুদানের জনগণের পক্ষে কথা বলার মতো একটা শক্তিশালী প্রতিনিধিদল দরকার। টেকসই শান্তির পথে পা বাড়ানোর জন্য সেটা থাকা অত্যন্ত জরুরী।

ঈদের সময় যুদ্ধ বন্ধের একটা চান্স ছিল। ঈদের সময় সুদানের নাগরিকদের কথা ভেবে আরব লিগ একটা যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছিল। সেটি সফল হলে, একটি গঠনমূলক আলোচনার সূত্রপাত হতে পারত। কিন্তু ঈদের দিনও সমানে গোলাগুলি হয়েছে, খার্তুমের বিভিন্ন জায়গায় বোমাবর্ষণ চলেছে, ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। সেই জায়গা থেকে কেউ কেউ বলছেন, অনিবার্যভাবেই এই যুদ্ধে কোনো পক্ষই জয়ী হবে না, হার হবে সুদানের জনগণের। তারা এফেক্টেড হবে দিনের পর দিন। যেমন ভাবে কয়েকটা সপ্তাহ পার হল, হচ্ছে। বিশেষ করে যুদ্ধটা কোথায় হচ্ছে? রাজধানী শহর খার্তুম। যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষের বসবাস। তাই, সাধারণ মানুষ এর ক্ষতি হবে না, অথচ সামরিক ঘাঁটি নিশানা করে যুদ্ধ হবে, এটা অত্যন্ত কঠিন বিষয়। ফলে, সমাধান সূত্র বের না হলে, এই বিপর্যয় আরো বাড়তে থাকবে, সবমিলিয়ে সংকট সমাধানের আশা খুবই কম।

অনেকেই বলছেন, সুদানের নিরাপত্তাহীনতা সিরিয়া ও লিবিয়ার গৃহযুদ্ধের চেয়েও খারাপ হতে পারে। মনে করে দেখুন, সিরিয়া ও লিবিয়ার গৃহযুদ্ধে লাখো মানুষের মৃত্যু, লাখ লাখ মানুষ উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে। এই কথা মনে করিয়ে, সুদানের প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামদক নিজেই বলছেন, তাঁর দেশের সংঘাত চলতে থাকলে তা ‘বিশ্বের জন্য দুঃস্বপ্ন’ হবে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version