Garuda Purana: স্ত্রীর যে চার গুণে ভাগ্য বদলায় স্বামীদের, বর্ণনা করেছে গরুড় পুরাণ

।। প্রথম কলকাতা।।

Garuda Purana: কথায় বলে প্রত্যেক সফল পুরুষের পেছনে কোনো না কোনো নারীর অবদান থাকে। সেক্ষেত্রে বিশেষত স্ত্রীদেরকেই বোঝানো হয় । সুখী দাম্পত্য জীবনের চাবিকাঠি হল দুই দিক থেকেই সমান অবদান । হিন্দু শাস্ত্রে থাকা চারটি বেদ এবং ১৮ টি মহাপুরাণের মধ্যে অন্যতম একটি হল গরুড় পুরান। এই পুরাণে সাধারণত জন্ম মৃত্যু নিয়ে বহু তথ্য বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে । এছাড়াও এই পুরাণে স্ত্রীগুণ সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য জানানো হয়েছে। সেখানেই বলা হয়েছে একজন স্ত্রীর মধ্যে যদি বিশেষ কিছু গুণ থাকে তাহলে স্বামী অবশ্যই অত্যন্ত ভাগ্যবান হবেন।

নিজের গুণে এবং নিজের দক্ষতায় জীবনে সাফল্য লাভ করাই সর্বশ্রেষ্ঠ উপায়। একথা একেবারেই মিথ্যে নয় । কিন্তু আপনার সহধর্মিনী যদি একই রকম ভাবে আপনার গুণ এবং দক্ষতাকে উৎসাহ দিতে পারে তবে তা অবশ্যই ভালো লক্ষণ । স্ত্রীর মধ্যেও এমন কিছু গুণ থাকা উচিত যাতে সংসারে শান্তি বজায় থাকবে । আর সংসারে শান্তি বজায় থাকলে বাইরের যে কোন কাজে মনোনিবেশ করা যায় শান্তিতে । তাই গরুড় পুরাণ অনুযায়ী মহিলাদের মধ্যে চার ধরনের গুণ থাকা অতি আবশ্যক। এই ধরনের গুণের অধিকারী মহিলাদের জন্যে স্বামীদের ভাগ্য বদলাতে দেখা যায়।

নারীদের যে চারটি গুণ স্বামীর ভাগ্য উজ্জ্বল করতে সক্ষম:

১. একজন স্ত্রী তাঁর স্বামীসহ স্বামীর পরিবারকে যথেষ্ট সম্মান দিলে পরিবারের সুখ-শান্তি বজায় থাকে। আর এই ধরনের স্ত্রী গুণ স্বামীর দুর্ভাগ্যকে সৌভাগ্যে পরিণত করতে পারে।

২. মিষ্টভাষী, সংযমী, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন স্ত্রীলোক পরিবারের জন্য সৌভাগ্য নিয়ে আসে । এছাড়াও গরুড় পুরান অনুসারে, যে মহিলা বাড়িতে আসা অতিথিদের সম্মান করতে পারেন, তাদের সঙ্গে সুব্যবহার করতে পারেন তাঁর গুণে সংসারে সম্পদের অভাব হয় না বরং দেবী লক্ষ্মীর কৃপাদৃষ্টি বজায় থাকে।

৩. স্বামী ভুল পথে চালিত হচ্ছে দেখে তাকে বাধা দেওয়া। সঠিক পথ দেখিয়ে দেওয়া, উপদেশ দেওয়া , স্বামীর হৃদয়ে আঘাত করা থেকে এড়িয়ে যাওয়া, স্বামীকে ভালোবাসা এই সকল গুণ যে সকল স্ত্রীলোকের মধ্যে রয়েছে তাদের স্বামীরা অবশ্যই সৌভাগ্যের অধিকারী।

৪. স্বামীর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস রাখা এবং নিজেকে স্বামীর কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে পেরেছেন যে স্ত্রী তিনি সংসার বেঁধে রাখতে সক্ষম। এই ধরনের স্ত্রী থাকলে স্বামীদের মনে সবসময় শান্তি বিরাজ করে। তাই তাঁরা নিজেদের কর্মক্ষেত্র নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে সক্ষম হন। যা তাদের সাফল্যের সিঁড়ি চড়তে সাহায্য করে।

উপরে উল্লেখিত প্রতিটি তথ্য সাধারণ জ্ঞানের জন্য। এই ধরনের কোন তথ্য বা বিশ্বাস অনুশীলন করার আগে অবশ্যই কোনো বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। সম্পর্কের ভিত্তি যদি স্বচ্ছ এবং দৃঢ় হয় তবে সেই সম্পর্কে জড়িত দুটি মানুষ অত্যন্ত সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন অতিবাহিত করতে পারবেন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version