Bangladesh: দুধের স্রোত বাংলাদেশের বুকে, ভোরের কুমিল্লায় কি ঘটে, এক আহামরি হাট

।। প্রথম কলকাতা ।।

Bangladesh: বাংলাদেশের বুকে রীতিমতো দুধের স্রোত। কিভাবে কোত্থেকে আসছে এই হাজার হাজার লিটার দুধ, কোথায়ই বা যাচ্ছে? ভোরের আলো আঁধারিতে, কুমিল্লায় কি ঘটে জানেন? কয়েক ঘন্টায় কিনা কোটি কোটি টাকা উঠে আসছে? এই হাট দেখলে আপনি তাজ্জব বনে যাবেন। আহামরিই বটে। একটিবার দেখলে বুঝবেন কত বিচিত্র ওপার বাংলা। যখন ভালোভাবে সূর্য ওঠে না, তখন কুমিল্লার বাগমারার বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে দুধের মিষ্টি গন্ধ।সারি সারি ড্রাম, এতো এতো দুধ নিমেষেই সবটা উবে যাচ্ছে। একটা হাট ঘিরে এত ঐতিহ্য, চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। কুমিল্লার বাগমারায় যুগ যুগ ধরে চলে আসছে এই হাট! প্রতিদিন ভোরে এখানেই খামারিরা বিক্রি করেন সাড়ে ১২হাজার লিটার দুধ।

হাট বললে ভুল হবে, বিশাল হাট। প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে খামারিরা বিক্রি করেন দুধ। দৈনিক ৬ থেকে সাড়ে ৬ লক্ষ টাকার দুধ বিক্রি হয় এই হাটে। মাসে বিক্রি হয় প্রায় দুই কোটি টাকার দুধ। খামারিরা দুধ বিক্রি করে নগদ টাকা পান। তাতেই তারা খুশি। এই হাটের বেশিরভাগ দুধ আসে কুমিল্লার লালমাই উপজেলার সিলোনিয়া, হাজতিয়া, বাগমারা বাজারের আশপাশের গ্রাম থেকে।বাকি ৫০০ লিটার দুধ আসে পার্শ্ববর্তী লাকসাম ও বরুড়া উপজেলা থেকে। জানা যায়, স্থানীয় কয়েকটি ইউনিয়নে প্রায় দুই হাজার খামারি দুধেল গরু পালন করেন। মূলত তাদের মধ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ধরনের খামারিরা দুধ বিক্রি করেন এই হাটে। কয়েকজন বড় খামারি এই হাটে দুধ বিক্রি করলেও, বেশিরভাগ বড় খামারি সরাসরি কুমিল্লা ও লাকসামের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দুধ বিক্রি করেন। যারা কুমিল্লায় থাকেন তারা জানেন প্রতিদিন সকালের একটা চেনা দৃশ্য।

ভোরে হাটে গেলেই দেখা যায়, কুয়াশার চাদর সরিয়ে সাইকেল, রিকশা, অটোরিকশায় খামারিরা দুধ নিয়ে আসছেন।‌ পাইকাররা দুধ কিনে ড্রামে ঢেলে রাখছেন।‌ কেউ কেউ সেই ড্রাম পিকআপ ভ্যানে তুলছেন।রাস্তার দু পাশে বিক্রেতাদের থিকথিকে ভিড়।প্রতিদিন ২০ জনের মতো পাইকার এই বাজার থেকে প্রায় অর্ধেক দুধ কিনে নিয়ে যান, বাকি দুধ বিক্রি হয় খুচরোয়। দুধের দাম ওঠানামা করে। বিশেষ করে শীতে ও বর্ষার মৌসুমে দুধের তেমন চাহিদা থাকে না, দামও পাওয়া যায় অপেক্ষাকৃত কম। বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী খামারিদের দাবি, বাংলাদেশ প্রাণীসম্পদ দপ্তরের সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা থাকলে, দুধ সংগ্রহের জন্য আলাদাভাবে কাজ করা হলে, দুধের নতুন বাজার ও দুধ সংরক্ষণ করা গেলে তাদের লোকসানে পড়ার ঝুঁকি কমে আসবে।

এতে কুমিল্লার বাগমারা দুধের হাট আরো বেশি সমৃদ্ধ হবে। জেলা প্রাণীম্পদ দপ্তর এর তরফে সেইমতো ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানানো হয়েছে। বিভিন্ন পয়েন্টে দুধ সংগ্রহ এবং সংরক্ষণের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, একটি প্রকল্পের মাধ্যমে খামারিদের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পরিকল্পনা এক গুচ্ছ। এবার সেগুলো বাস্তবায়নের পালা। কুমিল্লার ভোরের হাট মাসে দু কোটির ব্যবসা করে। ভবিষ্যতে সেই অংকটা বাড়বে বই কমবে না। আশায় বুক বাঁধছে খামারিরা।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version