Poultry business: চাহিদা বাড়ছে দিন দিন, মুখে চওড়া হাসি পোলট্রি ব্যবসায়ীদের

।। প্রথম কলকাতা ।।

Poultry business: বিয়ে ও পিকনিকের মরশুম শুরু হতেই বাড়ছে মুরগির মাংসের দাম। বেড়েছে ডিমের দামও। তাতেই মুখের হাসি চওড়া হয়েছে পোলট্রি ব্যবসায়ীদের। দিন দিন মুরগির মাংসের ও ডিমের চাহিদা বাড়ছে। শুধু তাই নয়, প্রচুর পরিমাণ মাংস এশিয়ার বিভিন্ন দেশের রপ্তানিও হচ্ছে। তার ফলে অনেকেই এই ব্যবসায় আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

এখন সপ্তাহান্তে বা যে কোনো উৎসবে অনুষ্ঠানে বাইরে হোটেল রেস্টুরেন্টে খাওয়ার চল অনেকটাই বেড়েছে। সেই সব খাবারের মধ্যে চিকেনের চাহিদা ব্যাপক। চিকেনের নানা পদে নতুন প্রজন্ম থেকে শুরু করে মাঝ বয়সি সকলেই সমান স্বচ্ছন্দ। তার ফলে হোটেল রেস্টুরেন্টে চিকেনের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এছাড়াও সব শহর বা বাজার এলাকায় রয়েছে প্রচুর ফাস্টফুড স্টল। সেখানেও মূল আকর্ষণ চিকেনের নানা পদ। সেখানেও প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ মুরগির মাংসের প্রয়োজন হচ্ছে।

এখন অনেকেই শরীর সচেতন। তাই ছাগলের মাংসের তুলনায় মুরগির মাংসে চাহিদা এখন অনেকটাই বেশি। পাড়ায় পাড়ায় তৈরি হয়েছৈ মুরগির মাংসের দোকান। মুরগির মাংসের ব্যাপক চাহিদা বেকারদের স্বনির্ভর করার ক্ষেত্রে অনেকটাই সহায়ক হয়ে উঠেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন মুরগির ছানা পাওয়া অনেক সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন সংস্থা এই মুরগির বাচ্চা সরবরাহ করছে। সংস্থার লোকেরাই তাদের নিয়মিত দেখভাল করছে। কি ধরনের খাবার খাওয়াতে হবে, কোন সময় কোন চিকিৎসা করতে হবে সেসব পরামর্শ মিলছে বিনামূল্যে  শুধু তাই নয়, মুরগি বড় হলে সেই সংস্থা তা নিয়ে যাচ্ছে নগদ অর্থের বিনিময়ে। এছাড়াও ফার্ম থেকে মুরগি নিয়ে যাচ্ছে পাইকেরি ও খুচরো বিক্রেতা। বিয়ের দিনে, পিকনিকে মুরগির মাংসের বিপুল চাহিদা। তাই বিক্রির ঝক্কি থাকছে না। শুধুমাত্র পরিকাঠামো তৈরি রাখা এবং পরিচর্যা করলেই মোটা টাকা আয়ের পথ দেখাচ্ছে এই ব্যবসা।

পোলট্রি ব্যবসায়ীদের অনেকেই বলছেন, নিজস্ব জায়গায় এই ব্যবসা করা দিন দিন লাভজনক হয়ে উঠছে  পোলট্রি ব্যবসার জন্য সহজে ব্যাংক থেকে ঋণও পাওয়া যায়। আবার সরকারও এই ব্যবসায় আগ্রহ বাড়াতে ভর্তুকি দিচ্ছে। প্রশিক্ষণও মিলছে। অনেকেই প্রথমে একটি সেড দিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। তাঁরা ধীরে ধীরে একাধিক সেড তৈরি করে ব্যবসা বাড়িয়েছেন অনেকটাই।

পোলট্রি ব্যবসা করে স্বনির্ভর হওয়া যুবকরা বলছেন, সঠিক যত্ন ও পরিচর্যায় ছোট মুরগি খুব তাড়াতাড়ি বড় হয়। ৪০ দিনের মধ্যেই তা বিক্রির যোগ্য হয়ে ওঠে। খুব গরমের সময় ছাড়া সাধারণত সেভাবে মরক লাগার তেমন সম্ভাবনা থাকে না। কম গরম বা শীত মরসুমে মুরগির রোগ প্রায় হয় না বললেই চলে। তাছাড়া এই সময় দামও বেশি পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে মুরগির মাংসের চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই ব্যবসায় যুক্ত হওয়ার আগ্রহ।

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version