Bangladesh Election: মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন শেষ, নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছে না বিএনপি! শেষ সমঝোতা হবে কি?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Bangladesh Election: নির্বাচন নিয়ে আপাতত কোন সমঝোতায় আসতে নারাজ বিএনপি। তা স্পষ্ট বিএনপি’র কর্মসুচিতেই। রাজনৈতিক ডামাডোলে উত্তপ্ত বাংলাদেশের রাজনীতি। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। অথচ অন্যতম বিরোধী দল বিএনপি এখনো পর্যন্ত হরতালের মতো কর্মসূচিতে। মেনে নেয়নি শাসক দলের অধীনে নির্বাচনের সিদ্ধান্তকে। ৩০শে নভেম্বর বৃহস্পতিবার নির্বাচনে আসার শেষ সুযোগ ছিল। কিন্তু মতিগতি দেখে বোঝা যাচ্ছে তা তারা প্রত্যাখ্যান করেছে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। একদিকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ যখন নির্বাচনের জন্য তুমুল প্রস্তুতি নিচ্ছে, ঠিক তখনই হরতাল পালন করছে বিএনপি। স্বাভাবিকভাবেই, দেশটার রাজনৈতিক মহলে এখন একটাই প্রশ্ন, বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে কিংবা অংশগ্রহণ করাতে রাজনৈতিক সমঝোতার শেষ সময় কি ফুরিয়ে গেল? যদিও মাঝে গুঞ্জন উঠেছিল, যদি বিএনপি নির্বাচনে আসতে রাজি হয় তাহলে তফসিল পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়টি ভাবনা চিন্তা করা হবে। কিন্তু তারা নির্বাচনে আসবে কীভাবে? ইতিমধ্যেই দলটার বহু সিনিয়র নেতা কারাগারে, আবার কেউবা চলে গিয়েছেন অন্তরালে। নির্বাচনের জন্য একটা ন্যূনতম প্রস্তুতির প্রয়োজন, যা বিন্দুমাত্র লক্ষ্য করা যাচ্ছে না বিএনপির মধ্যে। হিসাব অনুযায়ী, এখনো দু সপ্তাহ সময় আছে। কিন্তু যদি সংলাপ হয়, তাহলে কার সাথে সংলাপ হবে? বিএনপি ধীরে ধীরে নেতা শূন্য হয়ে পড়েছে।

মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে এমনি থেকেই চাপে রয়েছে আওয়ামী লীগ। তার উপর নির্বাচন যদি নিরপেক্ষ শান্তিপূর্ণ না হয় তাহলে সমস্যায় পড়তে পারে ক্ষমতাসীন দল। চাপ আসতে পারে বিদেশী রাষ্ট্রগুলোর তরফ থেকে। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে গেলে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে সক্রিয়ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা দরকার, আর সেই জায়গাতেই পিছু হটছে বিএনপি। তাহলে নির্বাচন কীভাবে অংশগ্রহণমূলক হবে? প্রশ্নের ঝড় উঠছে দেশটার সমালোচক মহলে। বিএনপি নেতাদের সাফ কথা, নির্বাচনের তফসিল পেছানো হলো কি হলো না, সেটা নিয়ে তাদের কোন মাথা ব্যথা নেই। কারণ তারা তফসিল পেছানোর জন্য কোন আন্দোলন করছে না। তারা চাইছে রাজনৈতিক অচলাবস্থা দূর করতে। ওদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির জন্য আর কোন স্পেস নেই। কারণ বিএনপি নিজেরাই সেই সুযোগ নষ্ট করেছে। বিএনপির শেষ কথার পর আওয়ামী লীগের আর কোন আহ্বান থাকতে পারে না।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version