৷৷ প্রথম কলকাতা ৷৷
Turkey earthquake: ভয়ানক ভুমিকম্পে একটুও টলেনি তুরস্কের এই শহরটা৷ বিপর্যয়ের মধ্যে ধ্বংস হয়নি একটাও বাড়ি৷ কোনও প্রাণহানি তো নয়ই৷ কোন অলৌকিক শক্তি বাঁচিয়ে নিল অদ্ভুত এই শহরটাকে? নাকি অন্য কারণ৷ তুরস্কের এরজিন শহর৷ অনেকেই বলছেন এ সাক্ষাত্ আল্লাহার ক্যারিশ্মা৷ নয়ত এমনটা হওয়া সম্ভব নাকি কোনওদিনও৷ সিরিয়ার যুদ্ধ থেকে পালিয়ে যে হাজার হাজার শরণার্থী৷ সীমান্ত পেরিয়ে তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছিল৷ সাংঘাতিক ভূমিকম্প তাদের স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে৷ এখনও হাহাকার, কান্নার আওয়াজ মুছতে অনেক দেরি৷ তুরস্ক এখন যেন জ্যন্ত লাশ৷ তবে দেশের মধ্যে একটা শহর মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে আগের মতই৷ এমনটা কিভাবে সম্ভব? সেখানকার মানুষ দিব্যি রয়েছে যেন কিছুই হয়নি৷ ঘরবাড়ি, দোকানপাট সব আগের মতোই রয়েছে তুরস্কের এরজিন শহরে
বলা হয় এরজিনের মাটিতেই রয়েছে আসল শক্তি৷ যা এভাবে বাঁচিয়ে দিল একটা শহরকে সেখানকার মানুষকে৷ তুরস্কের ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলেই কাছেই ছিল এরজিন
শহরটি ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত৷ সেখানকার মানুষ কম্পনের টের পেলেও আত্মবিশ্বাস ছিল যে কিছু হবে না, না কোনও অলৌকিক শক্তি নয়৷ শক্তি সততার৷ আর ভুঅবস্থানগত অবশ্যই৷ এরজিনের বাসিন্দারা বলছেন তাদের শহরে ভবনগুলো নির্মিত হয়েছে একেবারে নিয়ম মেনে এখানে কোনও দুর্নীতি হয় না৷ কোনও হাইফাই ইঞ্জিনিয়ার নয় স্থানীয়রাই নির্মাণ করে বাড়িগুলো
জেনে রাখুন এই শহরে ছতলার বেশি উঁচু বাড়ি বানানো যায় না৷ আর ভাগ্যটাই অদ্ভুত বলতে পারেন এরজিনের জনতার৷ যে দেশে ভূমিই নিয়তি সেই দেশে মাটিই বাঁচিয়ে দিল দুর্যোগের হাত থেকে৷ তুরস্ক বলছে, সিরিয়া থেকে আসা শরণার্থীদের ছয় মাসের জন্য ফিরে যেতে দেবে৷ তবে এখন তুরস্কের প্রয়োজন একটাই৷ আরও অনেক অনেক সাহায্য, অনেক অনেক ত্রাণ৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এরজিন শহর যে অঞ্চলে অবস্থিত তার মাটিতে৷ বেলেপাথর, নুড়ি ও পলির মাত্রা খুব বেশি৷ ওসমানিয়ে ও দরতিয়েল এমন জায়গায় অবস্থিত যেখানে পলি অনেক পুরু৷ কিন্তু এরজিন অনেকটাই উঁচুতে অবস্থিত৷ আর এই উচ্চতার কারণে এরজিন বেডরকের একটি স্তরে অবস্থিত৷ সম্ভবত ভূমির এমন উচ্চতাই এরজিনকে বাঁচিয়ে দিল এত বড় প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের থেকে৷ বাকিটাকে আপনি আল্লাহার দান বলবেন নাকি অন্য কিছু সেটা অবশ্যই আপনার বিশ্বাস৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম