Chairta Navratri 2023: শত্রুর ফাঁদ থেকে বাঁচাবে মা চন্দ্রঘণ্টার আশীর্বাদ! নবরাত্রি তৃতীয় দিন কেন গুরুত্বপূর্ণ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Chairta Navratri 2023: হিন্দু ধর্মে চৈত্র (Chairta) মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, এই মাসে ৯ দিন ধরে দেবী দুর্গার ৯ টি রূপের আরাধনা করা হয়। যাকে বলা হয় চৈত্র নবরাত্রি (Chairta Navratri)। নবরাত্রির প্রথম দিন কলস প্রতিষ্ঠার পর নয় দিন ধরে সেই কলসের পুজো করার রীতি রয়েছে। নবরাত্রির শুরুতে উত্তরা ভাদ্রপদ নক্ষত্র থাকবে। যার কারণে চৈত্র নবরাত্রি অত্যন্ত বিশেষ। তৈরি হচ্ছে একাধিক শুভ যোগ। সেই তালিকায় রয়েছে গজকেশরী যোগ, হংস যোগ, শশ যোগ, বুধাদিত্য যোগ, রাজ লক্ষণ যোগ প্রভৃতি। ২৪শে মার্চ শুক্রবার নবরাত্রির তৃতীয় দিনে আরাধনা করা হচ্ছে মা চন্দ্রঘণ্টার। মনে করা হয়, তিনি দেবী দুর্গার তৃতীয় পুনর্জন্ম। জীবনের সমস্ত খারাপ অভ্যাস দূর করতে এবং সংসারকে নেতিবাচক শক্তি থেকে মুক্ত করতে অনেকেই ভক্তি সহকারে দেবী চন্দ্রঘন্টার আরাধনা করে থাকেন। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, দেবীচন্দ্রঘণ্টা ভক্তদের কাছে প্রেমময় এবং করুণাময়ী। কিন্তু শত্রুদের কাছে হয়ে ওঠেন সর্বনাশের কারণ। দেবীর কপাল একটি অর্ধচন্দ্র দ্বারা সজ্জিত যা অনেকটা ঘণ্টার মতো দেখতে হয়। তাই দেবীর এই রূপকে বলা হয় চন্দ্রঘন্টা। দেবী চন্দ্রঘণ্টার তৃতীয় চোখ সর্বদা খোলা থাকে। অনেকে মনে করেন, দেবী রাক্ষসদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে সজাগ থাকতেই তৃতীয় নয়ন খুলে রাখেন । দেবী চন্দ্রঘন্টার আটটি হাতে রয়েছে তরোয়াল, গদা, ত্রিশূল,পদ্মফুল, তীর, ধনুক, জপমালা প্রভৃতি।

• সুফল পেতে কী করবেন ?

প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, দেবী পার্বতীর অষ্টভূজা বাঘ বাহিনী রূপে আরাধনা করলে জীবনের সমস্ত দুর্গতির সমাপ্তি ঘটে এবং সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়। এই দিন শুভ ফল পেতে আপনি সাদা রঙের পোশাক পরতে পারেন এবং দেবীর ভোগে অবশ্যই সাদা রঙের খাবার রাখবেন। পুজোর পর প্রসাদ শিশুদের মধ্যে বিতরণ করতে ভুলবেন না। আরো ভালো হয় যদি আপনার সামর্থ্য মতো অসহায় শিশুদের জন্য অন্ন এবং বস্ত্রদানের ব্যবস্থা করেন। এদিন কাউকে এমন কোন কথা বলবেন না যাতে বিপরীত দিকে থাকা মানুষটি কষ্ট পান।

• পুজো পদ্ধতি

দেবী চন্দ্রঘন্টার আরাধনায় খুব বেশি জাঁকজমকের প্রয়োজন নেই। সামান্য কয়েকটি জিনিস দিয়েই আপনি আপনার বাড়িতে দেবীর পুজোর আয়োজন করতে পারেন। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র নিষ্ঠা ভরে আরাধনা করলেই হবে। প্রথমে একটি চৌকি কিংবা টেবিলে দেবী চন্দ্রঘন্টার মূর্তি বা ছবি রাখুন। তার আগে গঙ্গাজল দিয়ে ওই স্থান পরিষ্কার করে রাখবেন। একটি রুপো কিংবা তামার পাত্রে জল ভরবেন। যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে মাটির পাত্র নিতে পারেন। ওই পাত্রের উপর একটি নারকেল রাখবেন। তারপর ভালোভাবে মূর্তির স্নান করাবেন। চেষ্টা করবেন দেবীর ভোগে সাদা রঙের খাবার দেওয়ার। নৈবেদ্যে রাখবেন রোলি, প্রসাদ, ফুল, মালা, চুড়ি, বিন্দি, নারকেল প্রভৃতি। পুজো শেষ হলে দেবীকে আরতি করে আপনার মনস্কামনা জানাবেন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version