Bangladesh: হরিপুরের মতোই মুখ থুবড়ে পড়বে সিলেট ১০ ? যে ভুল শোধরাতে হবে বাংলাদেশকে, ঘুরবে ভাগ্য

।। প্রথম কলকাতা ।।

Bangladesh: ইরান-সৌদিও ফেইল করে যাবে, বাংলাদেশে মাটির নীচে রীতিমতো তেলের স্রোত বইছে! কত বড় তেলের ভান্ডার লুকোনো আছে ওপার বাংলায়? এইভাবে তেল জমাচ্ছে দেশটা? সত্যিই রহস্য! ৩ যুগ পর কেঁচো খুঁড়তে কেউটে, ভাগ্য ঘুরবে সিলেট ১০ এর হাত ধরে। গুছিয়ে জ্বালানি তেল এক্সপোর্ট করবে পদ্মা পাড়ের দেশটা? সম্ভাবনার পারদ চড়ছে, তেল-গ্যাসে ভরে যাচ্ছে বাংলাদেশ।হাতেনাতে চেষ্টার ফল পেল বাংলাদেশ। মাটির নীচে ঠাসা সম্পদই দেখাচ্ছে দিশা। সিলেট ১০, ওপার বাংলার হাতে আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ। ৩৭ বছর পর আবারও ভূগর্ভে তেলের সন্ধান। সিলেটে জৈন্তাপুর-গোয়াইনহাট এলাকায় ১০ নম্বর কূপের প্রথম স্তরেই তেলের স্রোত। তাহলে কি হাসিনা সরকারের টার্গেট পূরণ হতে চলেছে?২০২৭ সাল নাগাদ গ্যাসে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া লক্ষ্য বাংলাদেশের সেই লক্ষ্য পূরণে কতদূর এগুলো ওপার বাংলা?

সিলেট ১০ এ লুকিয়ে বিশাল সম্ভাবনা। তেলের পাশাপাশি বাকি চারটে স্তরে ঠাসা গ্যাস। ওই গ্যাসক্ষেত্রে কূপ খননের সময় ১৩৯৭ থেকে ১৪৪৫ মিটার গভীরে যে জোন সেখানেই তেলের উপস্থিতি মিললো। ৩ যুগ পর হাতে লটারি পেল ওপার বাংলা। প্রতি ঘণ্টায় যে প্রেশার তাতে ৩৫ ব্যারেল তেল উঠছে, প্রথম দিন দু ঘণ্টায় ৭০ ব্যারেল তেল উঠেছে এখন বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে ঠিক কত বড় এই খনি, কী পরিমাণ তেল এখান থেকে পাওয়া যেতে পারে তা নিশ্চিত হতে ৪ থেকে ৫ মাস সময় লাগবে। আরও বিস্তারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তেল পাঠানো হয়েছে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড, বুয়েট এবং সিলেট গ্যাসফিল্ডে। এখনই এই খনি থেকে ব্যাপক পরিমাণ তেল আসবে সেই আশা রাখলে ভুল হবে, সতর্ক করে দিয়েছেন জ্বালানী বিশেষজ্ঞরা।

মনে রাখতে হবে, সিলেটের ঐ অঞ্চলে এর আগেও তেলের সন্ধান মিলেছে। কিন্তু এই অঞ্চলে ছোট ছোট স্তরগুলোর বিস্তৃতি খুব বেশি হয় না। তবে তারপরেও জ্বালানি তেলের সংকট আর অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও সিলেট ১০ অবশ্যই আশার আলো দেখাচ্ছে বাংলাদেশকেটা ফ্যাক্ট। বাংলাদেশে শেষ ১৯৮৬ সালে হরিপুরে তেলের সন্ধান মিলেছিল। সেখান থেকে পাঁচ বছর তেল উত্তোলন করা হয়। এরপর প্রায়শই ছোট-বড় গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান মিললেও বাংলাদেশে তেলের অস্তিত্ব পাওয়া যায় নি। সেখানে সিলেট ১০ উৎসাহ যোগাচ্ছে যে, এখানে তেল আছে, তার মানে ভবিষ্যতে আরও পাওয়া যাবে কিন্তু এটাকে যেন সরকার খুব বড় করে না দেখে, সেটা মাথায় রাখতে হবে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বরং পদ্ধতিগত উত্তোলনের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। একটা উদাহরণ দিয়ে বললে বুঝতে সুবিধা হবে। হরিপুরে যেটা পাওয়া গিয়েছিল সেখানে কিন্তু নিয়ম মেনে তেল তোলা হয় নি। শুধুমাত্র যতদিন প্রাকৃতিকভাবে উঠে আসছে, ততদিন তোলা হয়েছে। কিন্তু তারপর তেলক্ষেত্র ডেভেলপ করা হয়নি। বুঝতে হবে যখন চাপ কমে তখন তেল আর প্রাকৃতিকভাবে উঠে আসে না। নিচে থেকে যাওয়া তেল তুলতে নানা পদ্ধতি মানতে হয়। সেদিকে নজর দিতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাকৃতিকভাবে তেল ওঠা বন্ধ হয়ে গেলে মনে করা হয় শেষ হয়ে গিয়েছে। তেল কিন্তু মাইগ্রেশন করে, তারা সরে গিয়ে একটা যুৎসই জায়গায় রিজার্ভ হয়। তখন ভিন্নভাবে ইন্ডাকশন অয়েল দিয়ে তেল উত্তোলন করতে হয় বাংলাদেশেরও সেরকম পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত বলে মনে করা হচ্ছে। সিলেট নিয়ে কি ভাবছে সরকার? বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলছেন আগে গ্যাসের সাথে একটু করে একসাথে তেল আসতো, কিন্তু এবারা আলাদা আলাদা স্লটে তেল-গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে যা ওভার বাংলার জন্য সত্যিই খুব বড় সুখবর। বাংলাদেশে বছরে চাহিদা ৬ মিলিয়ন তেলের। যেটা মূলত আমদানি করেই মেটাতে হয় সরকারকে। সেক্ষেত্রে সিলেট ১০ জ্বালানি তেল উত্তোলনের বড় সুযোগ হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশের বুকে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version