Sudan Fighting: গৃহযুদ্ধে জ্বলছে সুদান, মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ২০০! অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির নেপথ্যে কোন রাজনীতি?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Sudan Fighting: গৃহযুদ্ধের জেরে দাউ দাউ করে জ্বলছে সুদান (Sudan)। ইতিমধ্যেই মৃত্যু সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ২০০ এর কাছে। প্রতিদিন লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এই ঘটনায় এক ভারতীয়র মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও দেশটির সেনা ও আধা সেনার সংঘর্ষের জেরে মৃত্যু হয়েছে জাতিসংঘের অধীনস্ত ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের তিন কর্মী। এক কথায় সুদানের পরিস্থিতি এখন অগ্নিগর্ভ। যার নেপথ্যে কাজ করছে দেশটিতে বহুদিন ধরে চলে আসা চাপা সংঘর্ষ।

সুদানের রাজধানীতে আধা সামরিক বাহিনী আরএসএফ এবং নিয়মিত সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রাণঘাতী লড়াই চলছে। যার ফল ভোগ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সংঘর্ষে দেশটিতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। ইতিমধ্যেই আহত হয়েছে অন্তত দুই হাজারের কাছে। দুই বাহিনীর মধ্যে বহুদিন ধরে উত্তেজনা চলছিল। হঠাৎ করেই পরিস্থিতি চরমে পৌঁছায় ১৫ই এপ্রিল শনিবার। যার কারণে সুদানের সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। রাস্তায় বেরোতে মানুষ ভয় পাচ্ছে। এমনকি আধা সামরিক বাহিনী নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্টের বাসভবন, বিমানবন্দরসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। দেশটিতে রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল ২০১১ সালে। জেনারেল বুরহান ২০১১ ডিসেম্বরে সুদানের বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে। তিনি ক্ষমতায় আসার পর সুদানে নতুন করে শুরু হয় রাজনৈতিক তোলপাড়। বর্তমানে পরিস্থিতি এখন চরমে পৌঁছেছে। সুদাযে প্রস্তাবিত বেসরকারি সরকারকে কোন সামরিক বাহিনী প্রতিনিধিত্ব করবে সেই নিয়ে শুরু হয়েছে সংঘর্ষ।

শনিবার সকাল থেকে শুরু হয় সহিংসতা। রাজধানী খার্তুমে বিশৃঙ্খলা চলছে, যোদ্ধারা ট্রাক-মাউন্ট করা মেশিনগান থেকে নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে। সেনাবাহিনী শনিবার সন্ধ্যায় একটি বিবৃতিতে বলেছে যে তার সৈন্যরা উম দুরমান শহরের সমস্ত আরএসএফ ঘাঁটি দখল করেছে। অপরদিকে রাজধানীর চারপাশে আধাসামরিক পোস্টে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। সামরিক সদর দফতরের কাছে বসবাসকারী বিশিষ্ট মানবাধিকার আইনজীবী তাহানি আব্বাস বলেছেন, “লড়াই শেষ হয়নি।” সেনাবাহিনী এবং আরএসএফ খার্তুম এবং অন্যত্র কৌশলগত অবস্থানগুলির নিয়ন্ত্রণের দাবি করে, কিন্তু তাদের দাবিগুলি বিতর্কিত হতে পারে৷

রিজিওনাল ইন্টারগভর্নমেন্টাল অথরিটি অন ডেভেলপমেন্ট (আইজিএডি) সুদানের বিষয়ে একটি জরুরি বৈঠক করেছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কেনিয়া, দক্ষিণ সুদান এবং জিবুতির রাষ্ট্রপতিদের খার্তুমে পাঠানোর পরিকল্পনা চলছে, যাতে বিরোধী দলগুলির মধ্যে পুনর্মিলন স্থাপন করা যায়। সুদানে সংঘাত আবারও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আশায় আঘাত করেছে। সাঁজোয়া যান এবং যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে রবিবার রাজধানী খার্তুম, নিকটবর্তী ওমদুরমান এবং অন্যান্য স্থানে ভয়ানক লড়াই অব্যাহত রয়েছে। সেনাবাহিনী, প্রাক্তন মিত্র এবং এখন প্রতিদ্বন্দ্বী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স গ্রুপ (আরএসএফ)-এর মধ্যে কয়েক মাস ধরে টানাপোড়েনের পর এই সংঘর্ষ হয়৷ আবদুল ফাতাহ আল-বুরহানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে আরএসএফের সাথে আলোচনার কথা অস্বীকার করেছে এবং একে বিদ্রোহী মিলিশিয়া বলে আখ্যায়িত করে এর বিলুপ্তির আহ্বান জানিয়েছে। অপরদিকে আধাসামরিক গোষ্ঠী ‘আরএসএফ’ সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানকে ‘অপরাধী’ বলে বর্ণনা করেছে। সশস্ত্র বাহিনীতে জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালোর নেতৃত্বে আরএসএফ-এর একীভূতকরণের বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থতার কারণে এই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version