Philippines Earthquake: শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ফিলিপাইন! রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৬.১

।। প্রথম কলকাতা ।।

Philippines Earthquake: গোটা বিশ্বজুড়ে ভূমিকম্প (Earthquake) যেন নতুন তাণ্ডব দেখাচ্ছে। তুরস্ক (Turkey) সিরিয়ার (Syria) পর বুধবার ৬.১ মাত্রার কম্পনে কেঁপে উঠেছিল নিউজিল্যান্ড (New Zealand)। বৃহস্পতিবার সকাল না হতেই আরেক দেশ থেকে এল ভূমিকম্পের খবর। ১৬ই ফেব্রুয়ারি হঠাৎ করেই ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে ফিলিপাইনের (Philippines) মধ্যাঞ্চলে। এখনো পর্যন্ত হতাহতের সংখ্যা এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। ফিলিপাইনের ভূমিকম্পে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.১। ভূমিকম্পের জেরে সোরসোগোনের কিছু শহরে বিদ্যুৎ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। স্থানীয় কিছু অবকাঠামোর ক্ষতি হলেও ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের পরিমাণ এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এখনো দেশটির সরকার কোন সুনামি সর্তকতা জারি করেনি।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বুধবার রাত দুটোর দিকে ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলের মাসবেত প্রদেশে ৬.১ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়েছে। যার উৎস স্থল মিয়াগা গ্রামের ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার গভীরে। যখন ভূমিকম্প হয় তখন গোটা অঞ্চল জুড়ে মানুষ গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন। কম্পনের পর সবাই আতঙ্কিত হয়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। আশঙ্কার বিষয় হল, অগভীর ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি। এখনো পর্যন্ত ফিলিপাইন থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে সেভাবে তথ্য পাওয়া যায়নি। এর আগে ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ফিলিপাইন ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল। তখন রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৬.৪। ওই একই বছরের জুলাইয়ে ফিলিপাইনের পার্বত্য অঞ্চলে প্রায় ৭ মাত্রার ভূকম্প অনুভূত হয়েছিল, যার কারণে নিহত হয়েছিল অন্তত ১১ জন।

গোটা বিশ্ব যেন প্রকৃতির রোষে পড়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন দেশে ভূমিকম্প অনুভূত হচ্ছে। তুরস্ক আর সিরিয়ায় এখনো পর্যন্ত মৃত্যু মিছিল অব্যাহত। ভূমিকম্পের প্রায় এক সপ্তাহ কেটে গেলেও উদ্ধার কাজ শেষ করা যাচ্ছে না। উদ্ধারকারীরা তাদের কাজে ব্যবহার করছেন স্নিফার ডগ এবং থার্মাল ক্যামেরা। অপরদিকে উদ্ধার কাজে সব থেকে বড় শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে তাপমাত্রা। বর্তমানে তুরস্কের তাপমাত্রা প্রায় মাইনাস ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস। সদ্য আশ্রয় হারানো মানুষদের মধ্যে জল, খাবার আর ওষুধের অভাব দেখা দিয়েছে। ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে তুরস্কের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮৪ বিলিয়ন ডলার। ভেঙে পড়েছে প্রায় ৪২ হাজার বাড়ি। ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে দেশটি একই দিনে পেয়েছে প্রায় ১০০ বার আফটার শক। মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছাতে পারে প্রায় পঞ্চাশ হাজারে। গোটা দেশ যেন এখন ভূমিকম্প আতঙ্কে কাঁপছে। পরিণত হয়েছে মৃত্যুপুরীতে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version