রাশিয়া-সৌদির তেল উত্তোলন বন্ধ? বড় রিস্কে গোটা বিশ্ব, হুহু করে বাড়ছে দাম

।। প্রথম কলকাতা ।।

এবার কি তেল উত্তোলন বন্ধ করে দেবে রাশিয়া, সৌদি আরব? বিশ্বে তেলের সংকট বাঁধিয়ে জ্বালানি তেলের উত্তোলন কমানোর ঘোষণা দুই দেশের। কিন্তু হঠাৎ করে রাশিয়া, সৌদির তেল উৎপাদন কমানোর রহস্যটা কী? একদিনেই মাত্রা ছাড়া বাড়ল তেলের দাম। কত পরিমাণ তেল উত্তোলন হবে বলে ঘোষণা করেছে সৌদি? বসে নেই মস্কোও। বিশ্ব বাজারে তেল সরবরাহে ঘাটতির আশঙ্কা দৃঢ় হচ্ছে। তেলের দাম বাড়ানোর লক্ষ্যপূরণেই কী এই স্ট্র্যাটেজি নিল দুই দেশ? এটাই কী দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের পথ? কাদেরকে কাঠগড়ায় তুলছে পশ্চিমারা? কালঘাম ছুটে যাওয়ার জোগাড় গোটা বিশ্বের।

রাশিয়া, সৌদির বড় সিদ্ধান্ত। বিশ্বের বড় দুই তেল রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরব এবং রাশিয়া তাদের তেল উত্তোলন আরও কমিয়েছে। সৌদি জানিয়ে দিয়েছে আগস্টে প্রতিদিন ১০ লাখ ব্যারেল তেল উত্তোলন কমাতে চায় তারা। এর পর আরও এক মাস তেলের উৎপাদন বন্ধ রাখতে পারে দেশটা। এমন হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। শুধু সৌদি নয়, তাদের ঘোষণার পরপরই রুশ উপপ্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগস্টে মস্কো প্রতিদিন ৫ লাখ ব্যারেল তেল কম রপ্তানি করবে। তেলের উৎপাদন কমানোর ফলে বিশ্ববাজারে সরবরাহে ঘাটতির আশঙ্কা চেপে বসেছে। ঘাটতির পরিমাণটা বিশ্বব্যাপী মোট সরবরাহের ১.৫ শতাংশ। তাতে তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।

তেল উত্তোলন কমানোর খবর পাওয়ার সাথে সাথে বিশ্ববাজারে হুহু করে ক্রুড ওয়েলের দাম বেড়েছে। অপরিশোধিত তেল ৮৯ সেন্ট বেড়ে ব্যারেল প্রতি ৭৬.৩০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ানোর জন্যই বিশ্বের তেল-উৎপাদনকারী দুটো দেশ নিজেদের উৎপাদন কমিয়ে আনার পথে হাঁটছে। তবে, এই পদক্ষেপের কারণে অল্প সময়ের জন্য তেলের দাম বাড়লেও সেটা দীর্ঘস্থায়ী সমাধান হবেনা বলেই মনে করা হচ্ছে। মনে রাখতে হবে, তেল উত্তোলনে কোন ধরণের কাটছাঁট হলে তেলের রাজস্ব আয়ে তার প্রভাব পড়তে পারে, যা সরাসরি দেশের অর্থনীতির ওপর ছাপ ফেলবে। সেক্ষেত্রে বৃহত্তম রপ্তানিকারক হিসাবে, সৌদি আরবই যে একমাত্র তেল উৎপাদন কমাতে সক্ষম হয়েছে তা নয়, সঙ্গ দিয়েছে রাশিয়াও।

পশ্চিমারা অভিযোগ করছে তেলের মূল্য নির্ধারণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বিশ্বে জ্বালানির দাম উর্ধ্বমুখী করে কার্যত বিশ্ব অর্থনীতিকে দুর্বল করছে‌ রাশিয়ারা। যদিও বরাবরই এর পাল্টা দিয়েছে তেল রপ্তানি কারক দেশগুলোর গোষ্ঠী ওপেক। বলেছে পশ্চিমা দেশগুলোর মুদ্রানীতির কারণে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে, যা তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোকে তাদের এই প্রধান রপ্তানি পণ্যের মূল্য ধরে রাখতে বাধ্য করেছে। আর এই দুপক্ষের মধ্যে গণ্ডগোলের জেরে, তাদের নেওয়া সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষ যে ভুক্তভোগী হচ্ছেই, সেটা আর নতুন করে বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version