।। প্রথম কলকাতা ।।
Cyclone Mocha: সেন্ট মার্টিন নিয়ে আশঙ্কাই সত্যি হলো। কেন এ দ্বীপের মানুষের পাকা ঘর নেই? মোকার তান্ডবে লন্ডভন্ড প্রবাল দ্বীপ, মৃত্যু আটকানো গেল না। কেন সেন্ট মার্টিন বারবার ঝুঁকি মুখে পড়ে কারণটা জানেন? এ দ্বীপটা সত্যি জলের তলায় চলে যেতে পারে মোকা পূর্বাভাস যখন দেওয়া হচ্ছেছিল বারবার নাম শোনা গেছে সেন্ট মার্টিনের। সবথেকে বড় ঝুঁকিটা কি সামলে নিল বঙ্গোপসাগরে ঘেরা ছোট প্রবাল দ্বীপটা বর্তমানে কি পরিস্থিতি সেখানের?
ফেসবুক, টুইটারে টুকরো টুকরো ভয়ঙ্কর ধ্বংসলীলার ছবি ছড়িয়ে পড়েছে এই দ্বীপের। রবিবার দুপুর ১ টার পর শুরু হয় মোকার তান্ডব। মায়ানমারে ল্যান্ডফল হওয়ার পরও ১৪৭ কিমি বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে চলে সেন্ট মার্টিনে। ৩৫০ র বেশি ঘর বাড়ি ভেঙে গিয়েছে সেখানে। উপড়ে গিয়েছে কয়েকশ গাছপালা। গবেষকরা বলছেন, বর্তমানে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে প্রায় দেড় লাখ নারকেল গাছ আছে। এটা নারকেল জিঞ্জিরা নামেও পরিচিত। তবে রাতের দিকে প্লাবনে ক্ষয়ক্ষতি বাড়বে এমনি আশঙ্কা করা হচ্ছে। জলোচ্ছ্বাস ঠেকানোর মতো টেকসই বেড়িবাঁধ সেন্ট মার্টিনে নেই। কেন নেই সেই বিতর্কে নাই বা গেলাম।
কিন্তু কেন বারবার এই দ্বীপটাকেই পড়তে হয় ধ্বংসের মুখে? এটাও কি সুন্দরবনের মতোই? সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত একটি ছোট প্রবাল দ্বীপ। মূল দ্বীপ ছাড়াও এখানে ১০০ থেকে ৫০০ বর্গমিটার আয়তন বিশিষ্ট কয়েকটি ক্ষুদ্র দ্বীপ রয়েছে। যেগুলোকে স্থানীয়ভাবে ছেড়াদিয়া বা সিরাদিয়া বলে। এটি কক্সবাজার জেলার প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে ও মায়ানমার-এর উপকূল হতে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিভ। আগে রাখাইন অঞ্চলের মানুষের বাস থাকলেও এখন এটা বাঙালীদের এলাকা। বলতেই হয় বাংলাদেশের পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপে কোনো ইটের ভাটা নেই। রড, সিমেন্ট ও অন্যান্য নির্মাণসামগ্রী আসে ট্রলারে। ৩৪ কিলোমিটার দূরের টেকনাফ সদর থেকে। নির্মাণসামগ্রী দ্বীপে নিতে হলে পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের পূর্বানুমতি লাগে। কিন্তু নিয়মকানুন বাধা হতে পারেনি হোটেল-রিসোর্ট নির্মাতাদের সামনে। কিন্তু দ্বীপের সাধারণ মানুষ পাকা ঘর করতে পারেন না ঝুপড়ি, যেগুলোর বেড়া ও ছাউনি পলিথিনের সেখানেই মানুষের বাস। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং হোক বা সিডার কেউই একে ছাড়েনি। দ্বীপ মানেই ঝড়ের বড় আশঙ্কা তো থাকেই দ্বীপের চার দিক দিয়ে জলপ্লাবনের ঝুঁকি থাকে। ২০২২ সিত্রাংয়ের সময় এই দ্বীপের ৬০ শতাংশ এলাকাই তলিয়ে গিয়েছিল। তারপরও এক বছরে নতুন করে অনেকটাই গড়েছিল এই দ্বীপ।
মোকা তান্ডবে আজ আতঙ্কে লোকজন ছোটাছুটি করেন। আশ্রয়কেন্দ্রে যাঁরা ছিলেন তাঁরা আবারও সব হারানোর ভয়ে কান্নাকাটি শুরু করে দেন। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনে ওয়েবসাইট বলে খ্রিস্টান সাধু মার্টিনের নাম অনুসারে দ্বীপটির নাম হয় এই দ্বীপের। এবার আর কি দুর্গতি অপেক্ষা করছে সেন্ট মার্টিনের কপালে সেই আতঙ্কই গ্রাস করছে অনেককে৷
বর্তমানে Martin Island এর অবস্থা।
Pic- Abdul Malek SaintMartin#CycloneMocha pic.twitter.com/7G6F5GdzYh— Shamal Chandrow Ray (@shamalchandrow) May 14, 2023
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম