।। প্রথম কলকাতা ।।
Spinich cultivetion: পালংশাক আমাদের রাজ্যে বেশ জনপ্রিয়, পুষ্টিকর ও সুস্বাদু শীতকালীন শাক। পালং শাক কমবেশি প্রায় সবারই প্রিয়। প্রথাগত চাষের বদলে সঠিক পদ্ধতি মেনে পালং শাক চাষ করলে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায়।
দোআঁশ উর্বর মাটি পালং শাক চাষে বেশি উপযোগী। এছাড়াও এঁটেল, বেলে-দোআঁশ মাটিতেও চাষ করা যায়। জমি চাষ ও মই দিয়ে মাটি মিহি করে তৈরি করতে হবে। শতক প্রতি ৪০ কেজি, ইউরিয়া ১ কেজি, ডিএপি ৫০০ গ্রাম ও ৫০০ গ্রাম এমপি সার দিতে হবে। ইউরিয়া ছাড়া সব সার জমির শেষ চাষের সময় প্রয়োগ করতে হয়। তবে গোবর জমি তৈরির প্রথম দিকে প্রয়োগ করাই সবচেয়ে ভালো। ইউরিয়া সার চারা গজানোর ৮-১০ দিন পর থেকে ১০-১২ দিন পর পর ২-৩ কিস্তিতে ছড়িয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে।
সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত পালং শাক চাষ শুরু করা যেতে পারে। ১০ সেমি দূরে দূরে বীজ বপন করতে হয়। তবে ছিটিয়েও বীজ বপন করা যায়। বীজ বপনের পর অঙ্কুরোদগমে প্রায় ৭-৮ দিন সময় লাগে।
জমিতে আগাছা দেখা দিলেই তা তুলে ফেলতে হবে। এ শাকের জন্য প্রচুর জলের প্রয়োজন হয়। মাটির ‘জো’ অবস্থা বুঝে সেচ দেওয়া প্রয়োজন। চারা বেরনোর পর হালকা সেচ দেওয়া প্রয়োজন। কোনো স্থানের চারা মরে গেলে অথবা বীজ না গজালে সেখানে ৭-১০ দিনের মধ্যে পুনরায় চারা রোপণ করতে হয়।
গাছের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য মাটিতে বেশি দিন রস ধরে রাখা এবং মাটিতে যাতে সহজে আলো বাতাস প্রবেশ করতে পারে সেজন্য প্রতিবার সেচের পর জমির ওপরের মাটি আলগা করে দিতে হয়।
বীজ গজানোর ৮-১০ দিন পর অতিরিক্ত চারা উঠিয়ে ফাঁকা জায়গায় রোপণ করতে হয়। পালংশাকে মাঝে মাঝে পিপঁড়ে, উইপোকা এবং পাতাছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ দেখা যায়। আক্রমণ হলে আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলতে হয়। বীজ বপনের এক মাস পর থেকে পালংশাক সংগ্রহ করা যায় এবং গাছে ফুল না আসা পর্যন্ত যে কোনো সময় সংগ্রহ করা যায়। প্রতি শতকে ২৮-৩৭ কেজি ফলন হয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম