তিমি দিয়ে জলের তলায় স্পাইগিরি রাশিয়ার? যুদ্ধের মাঝে হুলস্থূল

।। প্রথম কলকাতা ।।

রাশিয়ান স্পাই তিমি নিয়ে চারিদিকে হুলুস্থুল পড়ে গেছে। ট্র্যাকিং ডিভাইস নিয়ে সুইডেনের উপকূলে কীসের উদ্দেশ্যে এই স্পাই তিমি? এই স্পাই তিমি সম্পর্কে কতটুকু জানেন আপনারা? এই স্পাই তিমির নেপথ্যে লুকিয়ে কোন রহস্য? রুশ নৌবাহিনী তলে তলে কি প্ল্যানিং করছে? শুনলে চমকে যেতে বাধ্য। একটা প্রশ্নেই তোলপাড় চারিদিক। আবার কি চরবৃত্তির কাজ শুরু করল রাশিয়া?

ছবিতে যে তিমিটিকে দেখছেন, সেটা দেখতে সাধারণ হলেও এটা মোটেই সাধারণ তিমি নয়। এই তিমিটা আসলে রাশিয়ান স্পাই, নাম হাভ্লাতিদিমির। তিমিটিকে ইউরোপের দেশ সুইডেনের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে হানেবোস্টার্ন্ডে দেখা গিয়েছে, জানিয়েছে সুইডেন প্রশাসন। যার শরীরে বসানো ছিল একটি আধুনিক ট্র্যাকিং ডিভাইস। তাহলে, কি ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝে সুইডেনের ওপর নজরদারি শুরু করল রাশিয়া? সেক্ষেত্রে, চরবৃত্তির বিষয়টিকে একেবারে উড়িয়ে দেয়নি সুইডেন। তবে, এই প্রথম নয়। এর আগে নরওয়ের সুদূর উত্তরের এলাকা ফিনমার্কে দেখা গেছিল হাভ্লাতিদিমিরকে। ওই সময়ই ধারণা করা হয়, ওটা রুশ নৌবাহিনীর স্পাই। কেন এমন ধারণার কি কারণ?

আসলে, কয়েক মিটার লম্বা ওই তিমিটির গলায় মানুষের তৈরি বেল্ট লাগানো ছিল। নরওয়ের মৎস্য বিভাগ তিমিটিকে ধরেই ফেলেনি শুধু, তার গলায় লাগানো ‘বেল্ট’ খুলেও নিয়েছিল। খুলে নেওয়া হয় অ্যাকশন ক্যামেরাটিকেও। তিমিটির গায়ে মোড়ানো একটি প্লাস্টিকে লেখা ছিল ‘ইকুইপমেন্ট সেন্ট পিটার্সবার্গ’।

নরওয়ের দাবি, রুশ নৌবাহিনী হাভ্লাতিদিমির নামের ওই তিমিটিকে চরবৃত্তির জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়েছে। জাহাজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের কাজে স্পাই তিমিটিকে পারদর্শী করে তোলা হচ্ছিল, বলে মনে করা হয়। তবে, তিন মাস ওই অঞ্চলে কাটানোর পর হঠাৎই উধাও হয়ে যায় এই বেলুগা প্রজাতির স্পাই তিমিটি। তার পর এই তিমিটিকে দেখা গেল এই সুইডেনে। এ বিষয়ে কি বলছেন সমুদ্রবিজ্ঞানীরা? তাঁদের দাবি, ১৩-১৪ বছর বয়সী হাভ্লাতিদিমির সম্ভবত খাঁচা থেকে পালিয়ে এসেছে। বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা অনুযায়ী, এই সময় তাদের শরীরে হরমোনের মাত্রা অত্যধিক থাকে। শুধু তাই না, এরা এই সময় সঙ্গীর খোঁজ করে প্রজননের উদ্দেশ্যে। সেই কারণেই হয়তো পালিয়ে এসেছে স্পাই তিমিটি।

এদিকে, তিমিটির গতিবিধির ওপর নজর রাখা সংস্থাটা জানিয়ে দিয়েছে, হাভ্লাতিদিমির গত তিন বছরে ধীরে ধীরে নরওয়ের উপকূলের অর্ধেকটা পার করেছে। আর, গত কয়েক মাসে গতি বাড়িয়ে নরওয়ের উপকূলের বাকি অর্ধেক পথ পাড়ি দিয়ে সুইডেনে এসে পৌঁছেছে ওই স্পাই তিমিটি। কিন্তু, কেন সে হঠাৎ এতো দ্রুত চলাচল করছে? কেন, সে তার প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে এতো দ্রুত সরে যাচ্ছে? না, নির্দিষ্টভাবে এর উত্তর জানা যায়নি।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version