।। প্রথম কলকাতা ।।
Amarnath Temple: অমরনাথ গুহা, রহস্য রোমাঞ্চ আর লোককথায় মোড়া। পাথরের নয়, এখানে রয়েছে বরফের মহাজাগ্রত শিবলিঙ্গ। দর্শন করলেই মিলবে সুফল। কী আছে এই গুহায়? এত জাগ্রত কেন? মহাদেবের আশীর্বাদে পূর্ণ হয় মনের সব ইচ্ছা। ধুয়ে যায় জীবনের সমস্ত পাপ। ভক্তরা মোক্ষলাভ করেন। অমরনাথ গুহায় শিবলিঙ্গ ঠিক কিভাবে তৈরি হয় জানেন? সবসময় কি আকৃতি একই থাকে? এখানে কি এমন রহস্য রয়েছে, যার টানে প্রতি বছর ভক্তরা ছুটে যান?
অমরনাথে দেবাদিদেবের অধিষ্ঠান। চারিদিকে পাহাড় ঘেরা। বছরের সব সময় এখানে যাওয়া সম্ভব নয়। গ্রীষ্মকালে খুব কম সময়ের জন্য অমরনাথ যাত্রা করা হয়। বাকি সময় রাস্তা ঢাকা থাকে সাদা বরফে।
এটি রয়েছে শ্রীনগর থেকে প্রায় ১৪১ কিলোমিটার দূরে। সাধারণত প্রতিবছর জুন-জুলাই মাসে শ্রাবণী পূর্ণিমা থেকে শুরু হয় অমরনাথ যাত্রা। এটি ৫১টি শক্তি পিঠের অন্যতম। এখানেই পড়েছিল দেবী সতীর গলার হাড়। প্রায় ৫ হাজার বছরের পুরানো এই গুহায় লোককথা আর রহস্যের শেষ নেই। এই গুহাতেই নাকি শিব পার্বতীকে অমরত্বের শিক্ষা দিয়েছিলেন। এখানে আসার আগে সর্বস্ব ত্যাগ করেছিলেন মহাদেব।
কথিত আছে, কোন ভক্ত যদি ভক্তি করে এখানে ভগবান শিবের স্বয়ম্ভু শিবলিঙ্গ দর্শন করেন তাহলে জীবনের সমস্ত দুঃখ কষ্ট দূর হয়। কিন্তু এখানে পৌঁছানো মুখের কথা নয়। পাহাড়ি বন্ধুর পথ পেরিয়ে যাওয়া বেশ কষ্টের। গুহাটি রয়েছে সমতল থেকে প্রায় ৩,৮৮৮ মিটার উচ্চতায়। সব বাধা বিপত্তির তুচ্ছ করে লক্ষ লক্ষ মানুষ এখানে শিবের দর্শনে আসেন।
কীভাবে তৈরি হয় এই শিবলিঙ্গ? অমরনাথ গুহায় প্রতিবছর প্রাকৃতিকভাবে বরফ দিয়ে তৈরি হয় শিবলিঙ্গ। অমরনাথ গুহার ভিতরে গুহার ছাদ থেকে ফোঁটা ফোঁটা করে জল খাড়া ভাবে চুঁইয়ে পড়ে। আশ্চর্যভাবে ঠিক খাড়া ভাবে গুহার মেঝের উপর জল জমে তৈরি হয় শিবলিঙ্গ। এই শিবলিঙ্গ কখনো কখনো ৮ ফুট পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে।
মূল শিবলিঙ্গের পাশাপাশি রয়েছে মা পার্বতী এবং ভগবান গণেশ। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, একসময় জলে ডুবে যাচ্ছিল কাশ্মীর উপত্যকা। তাই মহর্ষি কাশ্যপ নদী এবং স্রোতের মাধ্যমে জল সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করছিলেন। ঠিক সেই সময় ওই পথ দিয়ে হিমালয় যাত্রা করছিলেন মহর্ষি ভৃগু। তিনি এমন একটা জায়গা খুঁজছিলেন যেখানে একটু নিরিবিলিতে তপস্যা করা যায়। তখনই দেখতে পান অমরনাথ গুহা। যেখানে ছিলেন বাবা বরফানি, মহাদেব।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম