।। প্রথম কলকাতা ।।
প্রবল বন্যায় হিমাচলে ভেসে গিয়েছে সবকিছু কিন্তু জলের তোড় শিবলিঙ্গকে নাড়াতে পারেনি। মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ভোলানাথের মন্দির সেই দৃশ্য দেখলে আপনার গায়ে কাঁটা দেবে। ২০১৩ তেও সেই একই ঘটনা মহাদেবের তেজ দেখুন। চারদিক দিয়ে প্রবল বেগে বিয়াস নদূীর জল ধেয়ে আসছে। একের পর এক ব্রিজ তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ছে কাদা গোলা জলের তেজে। বাড়ি-ঘর দুমড়ে মুচড়ে একাকার। কিন্তু সেই ভয়ঙ্কর জলের বেগ একচুলও নড়াতে পারেনি হিমাচলের এই শিবমন্দিরকে। এ যেন এক অলৌকিক ঘটনা।
মানালি থেকে মান্ডি বন্যায় তছনছ হয়ে গিয়েছে মান্ডিতে ৩০০-রও বেশি মন্দির থাকার কারণে। একে ছোট কাশীও বলায় হয়। কিন্তু কী অলৌকিক ব্যাপার দেখুন প্রকৃতির এই দুর্যোগে বিয়াস নদীর তীরে পঞ্চবক্ত মন্দিরের কোনও ক্ষতি হয়নি। বন্যার জলের ঝাপটা সহ্য করেও বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে শিব মন্দির। ভগবান শিবের মহিমা এমন যে বন্যাও। এই মহাদেব ধামের কিছুই নষ্ট করতে পারেনি। এমনকী জল মন্দিরের চূড়ায় পৌঁছে গিয়েছিল এখানে ভগবান শিব, ঈশান, অঘোরা, বামদেব, তৎপুরুষ এবং রুদ্রের পাঁচটি রূপে পূজিত হন। মান্ডির এই মন্দিরের বয়স কমপক্ষে ৫০০ বছর। এত পুরনো হওয়া সত্ত্বেও শিবলিঙ্গ, নন্দী মূর্তির কোনও ক্ষতি হয়নি।
২০১৩-র ১৬ জুন যখন প্রবল জলস্রোত এসে আছড়ে পড়েছিল কেদারনাথে, তখন প্রাণে বাঁচতে বহু মানুষ কেদারনাথ মন্দিরের ভেতরে আশ্রয় নেন। মন্দিরের চারদিকে চারদিকে কেবল পর্বত এবং নদী এবং হ্রদ থাকলেও কেদারনাথের মন্দির অক্ষত ছিল। গঙ্গার মাঝখানে বসে, ঋষিকেশে ভগবান শিবের মূর্তির ঘাড় পর্যন্ত নদীর জল চলে এলেও সেই মূর্তি স্বমহিমায় দাঁড়িয়েছিল। মাণ্ডির এই ঘটনার পর মহাদেব তাঁর শক্তি যেন ভক্তদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন। বলছেন অনেকেই। বড় ধ্বংসযজ্ঞের পরেও তাঁদের শহর এবং তাঁদের অঞ্চল বড় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে কেবলমাত্র মহাদেবের কৃপায়। মান্ডির বাসিন্দারা বিশ্বাস করেন এই ছোট কাশীতেই বাস করেন স্বয়ং ভগবা শিব।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম