Bangladesh: মেঠো পথে পায়ে হেঁটে ঘুরলেন শেখ হাসিনা, দেশবাসীর জন্য নতুন পরিকল্পনা আওয়ামী লীগের

।। প্রথম কলকাতা ।।

Bangladesh: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে(Sheikh Hasina) দেখা গেল নতুন রূপে। দু’দিনের সফরে তিনি গিয়েছিলেন গোপালগঞ্জ। সেখানে নিজের পায়ে হেঁটে ঘুরে দেখলেন এলাকা। বছর শুরুতে ৬ এবং ৭ই জানুয়ারি তিনি গোপালগঞ্জে যান। সেখানে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। এর আগে গত বছর অক্টোবরের ৭ তারিখে তিনি পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় গিয়েছিলেন। নতুন বছরের শুরুতে অর্থাৎ ৬ই জানুয়ারি শুক্রবার তিনি সকাল আটটার দিকে সড়ক পথে ঢাকা থেকে পৌঁছান গোপালগঞ্জে। বিকেলে খুলনার রূপসা সেতু পার হয়ে পৌঁছান দিঘলিয়া ঘাটে। সেখানে নগর ঘাটে এলাকায় পাটের গোডাউন পরিদর্শন করে। ২২তম সম্মেলনে দশম বারের মতো আওয়ামী লীগের(Awami League) সভাপতি হওয়ার পর এই প্রথম তিনি গোপালগঞ্জে গেলেন।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, খুলনার কর্মসূচির পর টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাসভবনে রাত্রিযাপন করেন। সঙ্গে ছিল বোন শেখ রেহানা(Sheikh Rehana) সহ পরিবারের সদস্যরা। ৭ই জানুয়ারি শনিবার দুপুর বারোটার দিকে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের নবনির্বাচিত জাতীয় কমিটি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সাংসদ এবং উপদেষ্টা পর্ষদের নেতৃবৃন্দ। দুপুর ২টোর দিকে শেখ হাসিনার সভাপতি আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই দু’দিনের সফরে তিনি প্রায় ২৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। টুঙ্গিপাড়াসহ ওই এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। তাঁর সফর ঘিরে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে নেতাকর্মীরা, প্রত্যেকেই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অত্যন্ত আনন্দিত।

শেখ হাসিনা দুই দিনের সফরে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ সরকার যেমন বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে তেমন আর্থিক সামাজিক উন্নতিতে সাহায্য করেছে। এই কয়েক বছর বাংলাদেশে গোটা বিশ্বের কাছে নতুন রূপে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দেশবাসীর দুঃখ কষ্ট দূর করতে আওয়ামী লীগ সরকার সমস্ত রকম দায়িত্ব পালন করবে। তিনি এই দুই দিন নিজে পায়ে হেঁটে বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন। ২৮ টি প্রকল্পের মধ্যে ১৯ টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। আর ৯টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে শিক্ষা ও গণপূর্ত বিভাগ এবং টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version