।। প্রথম কলকাতা ।।
Bangladesh: বাংলাদেশের চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে তৈরি হয়েছে টানেল। শনিবার ভার্চুয়ালি তার উদ্বোধন করবেন শেখ হাসিনা। ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সাংহাইয়ের আদলে নদীর তলা দিয়ে সুড়ঙ্গের মতো করা হয়েছে। যেখান থেকে গতিতে যাতায়াত করবে যানবাহন। নতুন বছরের শুরুর মাসেই এই টানেল দিয়ে পুরোদমে শুরু হয়ে যাবে যান চলাচল।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ মডেলের দরুন তৈরি হয়েছে টানেল। ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ নামে নামকরণ করা হয়েছে এটির। ২০১৯-এ এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এর ফলে অনেক কম সময়ে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গা পৌঁছে যাওয়া যাবে। চিনা প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয় প্রকল্পটি এখনও নির্মীয়মান। এর মধ্যে ৩ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকার মতো দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। গাড়ি চালিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে জায়গাটি। জল জমার আশঙ্কায় নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রেখে বসানো হচ্ছে ৫২ টি সেচপাম্প। অন্যদিকে টানেলের দুটি টিউবের মধ্যে একটিতেও যদি দুর্ঘটনা ঘটে যায়, তাতে বিকল্প পথে গাড়ি চালানোর ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।
শুক্রবার টানেল উদ্বোধনের কথা জানিয়েছেন প্রকল্পের পরিচালক হারুনুর রশিদ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিবের কথায়, টানেলের দক্ষিণ টিউবের পূর্ত কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। প্রথম টিউবের কাজের সমাপ্তিতে টানেলের উদ্বোধন হবে, প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি থাকছেন হাসিনা। চিনের চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড এই নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে সাহায্য করেছে। এই টানেলের দরুন শহরের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন ঘটবে। সেইসঙ্গে ঢাকা থেকে কক্সবাজার কিংবা চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাওয়ার দূরত্ব কমে আসবে, বাঁচবে খরচ।
২০১৬-তে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং’কে সঙ্গে করে প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা।
টানিলে কী কী থাকবে-
বিবিসি নিউজ সূত্রে সেতু কর্তৃপক্ষের তাথানুযায়ী, টানেলটি মূলত আনোয়ার উপজেলাকে চট্টগ্রামের মূল শহরের সঙ্গে যুক্ত করবে।
এই টানেলে থাকবে দু’টি টিউব, যার দৈর্ঘ্য ৩.৪ কিলোমিটার। এছাড়া টানেলের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে ৫.৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি সংযোগ সড়ক থাকবে।
টানেলের কাজ প্রায় ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম