Papaya cultivation: ফল ও সবজি হিসেবে সমান চাহিদা, এভাবে পেঁপে চাষ করলে ফলন হবে দ্বিগুণ

।। প্রথম কলকাতা ।।

Papaya cultivation : পেঁপে আমাদের দেশে একটি জনপ্রিয় ফল। আবার কাঁচা পেপের চাহিদাও থাকে সারা বছর। লাভজনক হওয়ায় অনেকেই এখন পেঁপে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছেন। আধুনিক পদ্ধতিতে পেঁপে চাষ করলে ফলন দ্বিগুণ পাওয়া সম্ভব।

মোটামুটি সব রকমের মাটিতে পেঁপে (Papaya) গাছ হলেও দোঁআশ কিংবা বেলে-দোঁআশ মাটি পেঁপে চাষের জন্য উপযুক্ত। পেঁপের চারা রোপনের জন্য যথা সম্ভব উচুঁ জমি নির্বাচন করতে হবে। জল নিষ্কাশনেরও ব্যবস্থা ভালো থাকা দরকার । পেঁপের চারা সাধারনত বীজ থেকেই উত্‍পাদন করা হয়।আশ্বিন মাসের শেষে কিংবা কার্তিক মাসের শুরুতে বীজতলায় পেঁপের বীজ বুনতে হবে।বীজতলায় বীজ রোপনের সময় দুই ভাগ মাটির সাথে এক ভাগ জৈব সার দিতে হবে। অথবা তিনভাগ মাটির সাথে এক ভাগ জৈব সার দিতে হবে। বীজতলায় চারা তৈরির ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার সারি করে প্রতি সারিতে ৩ থেকে ৪ সেন্টিমিটার গভীরে বীজ বপন করতে হবে। বপনের ১৫ থেকে ২০ দিন পর চারা বের হয় এবং ৪০ থেকে ৫০ দিন পর তা রোপণের উপযোগী হয়।

পেঁপের জন্য ২.২ মি দূরত্বে গর্ত তৈরি করে প্রতি গর্তে ৩টি করে চারা রোপণ করা হলে হেক্টর প্রতি ৭৫০০ চারা লাগবে এবং শেষ পর্যন্ত ২৫০০ গাছ থাকবে। এই সংখ্যক সুস্থ সবল চারা পেতে ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম বীজের প্রয়োজন হয়। তবে হাইব্রিড পেঁপের জন্য ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম বীজই যথেষ্ট।

চারা রোপণের ১৫ থেকে ২০ দিন আগে বেডের মাঝ বরাবর ২ মিটার দূরত্বে গর্ত তৈরি করতে হবে। গর্ত প্রতি ১৫ কেজি পচা গোবর, ৫০০ গ্রাম ডিএপি, ২৫০ গ্রাম জিপসাম, ২০ গ্রাম বরিক এসিড এবং ২০ গ্রাম জিংক সালফেট সার প্রয়োগ করে মাটির সঙ্গে ভালোভাবে মেশাতে হবে। সার মিশ্রিত মাটি দিয়ে গর্ত পূরণ করে সেচ দিতে হবে।

চারা রোপণের আগে গর্তের মাটি ভালোভাবে ওলট-পালট করে নিতে হবে। প্রতি গর্তে ৩০ সেন্টিমিটার দূরত্বে ত্রিভুজ আকারে ৩টি করে চারা রোপণ করতে হবে। বীজ তলায় উৎপাদিত চারার উন্মুক্ত পাতাগুলো রোপণের আগে ফেলে দিলে রোপণ করা চারার মৃত্যু হার কমে এবং চারা দ্রুত বাড়তে থাকে।

ভালো ফলন পেতে হলে পেঁপে গাছে সময় মতো সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ করতে হবে। প্রতি গাছে ৪৫০ থেকে ৫০০ গ্রাম ইউরিয়া এবং ৪৫০ থেকে ৫০০ গ্রাম এমওপি সার প্রয়োগ করতে হবে। চারা রোপণের এক মাস পার হলে প্রতিমাসে গাছ প্রতি ৫০ গ্রাম ইউরিয়া ও ৫০ গ্রাম এমওপি সার প্রয়োগ করতে হবে। গাছে ফুল আসার পর এই মাত্রা দ্বিগুণ করতে হবে। মাটিতে রসের অভাব হলে জল সেচের ব্যবস্থা করতে হবে।পেঁপে চাষের জমি সব সময় আগাছামুক্ত রাখতে হবে। বর্ষায় আগাছা দমন করতে গিয়ে মাটি যাতে বেশি আলগা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

চারা লাগানোর ৩ থেকে ৪ মাস পর গাছে (Tree) সফুল আসলে প্রতি গর্তে একটি করে সুস্থ সবল স্ত্রী গাছ রেখে বাকিগুলো কেটে ফেলতে হবে। তবে সুষ্ঠু পরাগায়ন ও ফল ধারণের জন্য বাগানের বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে শতকরা ৫টি পুরুষ গাছ থাকা অপরিহার্য।এভাবে চাষ করলে দ্বিগুণ ফলন মিলবে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version