Russia: সমুদ্রের নিচে গুপ্তচরের জাল পাতছে রাশিয়া, ধ্বংস হবে ইউরোপের যোগাযোগ ব্যবস্থা!

।। প্রথম কলকাতা ।।

Russia: ইউক্রেন আর রাশিয়ার যুদ্ধ (Ukraine-Russia War) বদলে দিয়েছে আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রগুলির সম্পর্কের সমীকরণ। যুদ্ধ শুরু হবার পর থেকে পশ্চিমা দেশগুলি রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। বারংবার চেয়েছে রাশিয়াকে কোন ঠাসা করতে, কিন্তু আদতে সম্পূর্ণভাবে সফল হয়নি। উপরন্তু রাশিয়া আস্থা বাড়িয়েছে এশিয়া আর আফ্রিকার দেশগুলির প্রতি। শুধু ইউক্রেন নয়, রাশিয়া চাইছে গোটা ইউরোপের উপর নজর রাখতে। সমুদ্রের গভীরে কৌশলে ফাঁদ পাতছে গুপ্তচরের মাধ্যমে।

ইউরোপের বহু দেশের দাবি অনুযায়ী, রাশিয়া ইউরোপের যোগাযোগ ব্যবস্থার ধ্বংস করতে চায়। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী নিত্য নতুন কৌশল করেই চলেছে। উত্তর সাগরের তলদেশে দিয়ে যাওয়া যোগাযোগ নষ্ট করতে ইতিমধ্যেই রাশিয়া নাকি মোতায়েন করেছে মাছ ধরার ট্রলার এবং গবেষণা জাহাজ। আসলে এগুলি ছদ্মবেশে এক একটি গুপ্তচর জাহাজ। এমনটাই দাবি ইউরোপের দেশগুলোর।

ইউরোপের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়া উত্তরসাগরে ইউরোপের দেশগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা নষ্ট করতে চাইছে। সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে যাওয়া কেবিল নষ্ট করতে রাশিয়া মোতায়েন করেছে গোয়েন্দা জাহাজ। যা ট্রলার বা গবেষণা জাহাজের ছদ্মবেশ সাগরের বুকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। দাবি অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের জলসীমার আশেপাশের রাশিয়ার এই গুপ্তচর জাহাজগুলি চলাফেরা করছে ঠিকই কিন্তু বিষয়টি ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের একেবারে অজানা নয়। ইতিমধ্যেই ডেনমার্কের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বুঝতে পেরে গিয়েছে, রাশিয়া তলে তলে সমস্ত রকম প্রস্তুতি সেরে রাখছে। যদি পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে সংঘর্ষ বাধে তাহলে তার প্রস্তুতি পর্ব আগেভাগেই করে রাখা উচিত বলে মনে করছে মস্কো। বিষয়টি অজানা নয় নরওয়ের গোয়েন্দাদেরও। তারা মনে করছে, নাশকতার জন্য রাশিয়া মুল এলাকাগুলোর একটা নকশা তৈরি করছে, যার মাধ্যমে মস্কো সরাসরি খুব সহজে তার কাজ পরিচালনা করতে পারবে। যদিও এত অভিযোগের ভিড়ের রাশিয়া এখনো পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো বিবৃতি জারি করেনি।

অপরদিকে পুতিনের চাপ বাড়িয়ে উত্তর আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন (ন্যাটো) এর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বৃহস্পতিবার বলেছেন, ইউক্রেন এই সংস্থায় যোগদানের যোগ্য। গত বছর রাশিয়ার আগ্রাসনের পর ইউক্রেনে তার প্রথম সফরের সময় তিনি দেশটিকে অব্যাহত সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি স্টলটেনবার্গকে ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান, কামান এবং সাঁজোয়া সরঞ্জাম সহ আরও সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন। ইউক্রেনের জন্য ন্যাটো সদস্যদের সমর্থন জোগাড় করতে স্টলটেনবার্গ মূল ভূমিকা পালন করেছেন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version