৷৷ প্রথম কলকাতা ৷৷
Russia Saudi oil: রাশিয়া-সৌদির ক্রুড তেল নিয়ে মারাত্মক কাটছাট৷ বিশ্বব্যাপী তেলের বাজারে এবার অস্থিরতা৷ ভারতের ওপর ডিরেক্ট প্রভাব পড়তে পারে? হু হু করে দাম বাড়বে জ্বালানি তেলের আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা৷ সেক্ষেত্রে নয়া দিল্লির তেল আমদানি কি মুখ থুবড়ে পড়তে পারে? জাপানের সাহসী সিদ্ধান্তে আমেরিকা হতবাক৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমস্ত ওয়ার্নিং এমূহুর্তে মূল্যহীন হয়ে পড়ছে৷ তেল উৎপাদন কমিয়ে দিতে চলেছে রাশিয়া, সৌদি আরব সহ বেশ কয়েকটা ওপেকভুক্ত দেশ৷ আচমকা এমন সিদ্ধান্তে ভারতের কপালে চওড়া ভাঁজ৷ কারণ মার্চেই তো বিখ্যাত রুশ তেল উৎপাদন সংস্থা রোসনেফট জানিয়েছিল৷ ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের (IOC) সঙ্গে বিশাল চুক্তি করে ফেলেছে তারা৷ এর মানে আগের থেকে অনেক বেশি রুশ তেল রপ্তানি করা হবে ভারতে৷
এবার কি ভেঙে দেওয়া হবে ডিল? বিস্তারিতভাবে বুঝুন রাশিয়া-সৌদি কতটা মারাত্মক সিদ্ধান্ত নিল? তথ্য বলছে, সৌদি আরব, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, আলজেরিয়া এবং ওমান এ মাস থেকে চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত প্রতিদিন ১০ লাখ ব্যারেলেরও বেশি তেল উৎপাদন কম করবে৷ এক্ষেত্রে আমেরিকার কোনও হুঁশিয়ারি কানে তুলছে না সৌদি-ইরাকরা৷ ইকোনমিক্সের সোজা হিসেব সাপ্লাই বাড়ছে কিন্তু চাহিদা কমলে মূল্যও কমবে৷ কিন্তু সাপ্লাই কমছে আর চাহিদা বাড়লে তাহলে দামও বাড়তে থাকে তাহলে ভারত আর কম দামে রুশ তেল কিনতে পারবে না? একটি ইউরোপের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ৬০ ডলারের বেশি পেমেন্ট ভারত করতে পারবে না৷ জাপান এখানে ভেঙে দিয়েছে আমেরিকার সব স্যাঙ্কশন৷ ব্যারেল প্রতি ৭০ ডলারেরও বেশি পেমেন্ট করছে টোকিও৷
এদিকে অর্থনীতিবিদরা বলছেন ব্যারেল প্রতি তেলের দাম ১০০ ডলারও ছুঁতে পারে চাপে পড়বে আমেরিকা, জাপান, চিন, দক্ষিণ কোরিয়া৷ কারণ এই দেশগুলো ওপেক থেকে তেল কেনে৷ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গ্লোবালি অর্থাত্ গোটা বিশ্বব্যাপি জ্বালানি তেলের চাহিদা কয়েক হাজার গুণ বেড়েছে৷ তাহলে এমন সিদ্ধান্ত কেন নিল মস্কো- রিয়াদ? বড় প্রশ্ন৷ সেক্ষেত্রে সৌদি আরবের সরকারি সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, তেলের বাজারের স্থিতিশীলতাকে সমর্থন করার লক্ষ্যে এটা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কিন্তু সত্যি কি সেটাই কারণ?
সৌদি আরব প্রতিদিন ৫ লাখ ব্যারেল, ইরাক ২ লাখ ১১ হাজার ব্যারেল, সংযুক্ত আরব আমিরাত ১ লাখ ৪৪ হাজার ব্যারেল, কুয়েত ১ লাখ ২৮ হাজার ব্যারেল, আলজেরিয়া ৪৮ হাজার ব্যারেল, ওমান ৪০ হাজার ব্যারেল তেল কম উৎপাদন করবে৷ কূটনীতিবিদরা বলছেন, রাশিয়ার যুদ্ধ করার টাকা নেই এই কথাটা বোধহয় আর কয়েকমাস পর বলা যাবে না৷ রাশিয়া সহ মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশ যে পাওয়ার-প্লে দেখাচ্ছে তাতে এবার হয়ত ঝড়ের গতিতে টাকা আসবে৷ জ্বালানি তেল থেকে লাভের টাকায় যুদ্ধে খরচ করবে মস্কো৷ তবে সৌদি পরোক্ষভাবে ক্রেমলিনকে এক্ষেত্রে সাহায্য করবে কি?
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম