তেল উত্তোলন বন্ধ করে দিতে পারে রাশিয়া-সৌদি, হিমশিম খাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

।। প্রথম কলকাতা ।।

বড় ধাক্কা খেয়ে যেতে পারে বিশ্ব। এবার কি তেল উত্তোলন বন্ধ করে দেবে রাশিয়া-সৌদি আরব? কেন তেল উত্তোলন বাড়াচ্ছে না দুই দেশ? ঘনাচ্ছে রহস্য। হুহু করে বাড়ছে তেলের দাম। বিশ্ব বাজারে তেল সরবরাহে ঘাটতির আশঙ্কা আরো বাড়ছে। কালঘাম ছুটে যাওয়ার জোগাড় গোটা বিশ্বের। বিশ্বব্যাপী তেলের বাজার অস্থির। তারমধ্যেই রাশিয়া, সৌদির সিদ্ধান্তে বড় ঝটকা। বিশ্বের বড় দুই তেল রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরব এবং রাশিয়া সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তাদের খনিজ তেল উত্তোলন এই বছরের শেষ পর্যন্ত বাড়াবে না। ফলে বছরের এই শেষ ভাগেও জ্বালানি তেল সরবরাহে টান পড়বে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।

ইরান এবং ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানি ক্রমাগত বাড়তে থাকার পরেও, পরিস্থিতি আউট অফ কন্ট্রোল হতে যাচ্ছে। গত নভেম্বরের পর থেকে প্রথমবারের মতো ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ব্যারেল প্রতি ৯০ ডলারের উপরে উঠেছে। বাজারের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে আগের বছর গুলোর মত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করছে না। সৌদি আরব যে এমন কিছু করতে যাচ্ছে তা গত মাসে একটা বিবৃতি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিল কিন্তু তারপরেও সৌদি আরব ও রাশিয়া অক্টোবরের বদলে ডিসেম্বর পর্যন্ত যে খনিজ তেল উত্তোলন কমানোর সিদ্ধান্ত টেনে নিয়ে যাবে, সেটা আনেক্সপেক্টেড ছিল। দুই দেশের এই পদক্ষেপ যেন গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে।

এর কতটা এফেক্ট পড়বে পশ্চিমা বিশ্বে? জ্বালানি তেল সরবরাহে ভাটা পড়ায় মূল্যবৃদ্ধি এবং নির্বাচনের ১৪ মাস আগে এই পরিস্থিতি সামাল দিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে যে বিপদে পড়তে হবে সেটা নিশ্চয়ই নতুন করে বলে দিতে হবে না আরও একটা বিষয় ঘটতে পারে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ আবারো সুদ এর হার বাড়াতে পারে। এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো তেল উৎপাদন কমানোর কথা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু, রাশিয়া ও সৌদি আরব তার ওপর নিজেরা আরও তেল উৎপাদন হ্রাসের ডিসিশন নেয়। ওপেকের সিদ্ধান্তের মেয়াদ ২০২৪ সাল পর্যন্ত তবে সৌদি আরব ও রাশিয়া প্রতি মাসেই বাজার পরিস্থিতি দেখে বুঝে তেল উৎপাদন কমানো বা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেবে। আর  এতেই যত গণ্ডগোল।

যদিও বিশ্লেষকেরা বলছেন, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তেল পরিশোধনাগার মেইনটেনেন্স এর সময়। এই সময় তাদের অপরিশোধিত তেলের চাহিদা কমে যায়। সেই কারণে তেলের দাম খুব বেশি নাও বাড়তে পারে কিন্তু, তেলের উৎপাদন কমানোর ফলে বিশ্ববাজারে সরবরাহে ঘাটতির আশঙ্কা চেপে বসেছে। তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। এটা ফ্যাক্ট। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ানোর জন্যই বিশ্বের তেল-উৎপাদনকারী দুটো দেশ নিজেদের উৎপাদন কমিয়ে আনার পথে হাঁটছে যে সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষ ভুক্তভোগী হচ্ছে। বিপাকে পড়ছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version