৷৷ প্রথম কলকাতা৷৷
Russia oil: রাশিয়া গোটা ইউরোপে একেবারে বন্ধ করে দিতে পারে জ্বালানী তেল সরবরাহ৷ আর সেটা তারা খুব তাড়াতাড়ি করতে পারে৷ তাহলে এবার বেশি করে লাভবান হবে কোন দেশ? চিন-ভারত? পুতিন হঠাত্ করে এমন একটা একরোখা সিদ্ধান্ত কেন নিল ইউরোপের প্রতি? নাকি তারা একপ্রকার বাধ্যই হল নিতে৷ জি-৭ বা ওপেক প্লাস দেশগুলোর মধ্যে এখন ধু্ন্ধুমার একটা কাণ্ড বেঁধে যাচ্ছে৷ কিন্তু ইউক্রেন এসবে সন্তুষ্ট নয়৷ জেলেনস্কি বলছে এইটুকুতে কিছুই হবে না আরও কড়া ডোজ চাই৷ কিন্তু পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে তাতে রাশিয়া একটা সিদ্ধান্তই কিন্তু চরম ক্ষতি হতে পারে পশ্চিমাদের আবার অনেকটা লাভই হতে পারে এশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বের দেশগুলোর৷
মস্কো যাতে যুদ্ধের খরচ আর চালাতে না পারে এমন একটা দুর্বল জায়গায় সজোরে ধাক্কা দিল ইউরোপ৷ তবে মস্কো সেই দুর্বল স্থানকেই বানিয়ে নিল তাদের স্ট্রেন্থ৷ তাদের শক্তি৷ জি-৭ দেশগুলো রাশিয়ার ক্রুড তেলের দাম বেঁধে দিয়েছে৷ ইউক্রেনের মিত্র পশ্চিমা দেশগুলোর জানিয়েছে সমুদ্রপথে আমদানি করা রাশিয়ার তেল প্রতি ব্যারেল ৬০ ডলারের বেশি দামে কেনা যাবে না৷ জি-৭, সাতটা দেশ রয়েছে এই জোটে৷ জাপান, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র৷ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ৭ টা দেশের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে রাশিয়াকে কতটা প্যাঁচে ফেলল বোঝা যাবে কয়েকটা দিন অপেক্ষা করলেই কিন্তু রাশিয়া ঘুরিয়ে দিল অন্য চাল৷
রাশিয়া বলছে ইউরোপ যে উদ্দেশ্য নিয়ে এই খেলা খেলছে সেটা বাস্তব হবে না৷ রাশিয়াকে ফকির বানাতে চাইছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ মস্কো উল্টে তাদের হুঁশিয়ারি দিল যে সমস্ত দেশ তেলের দাম বাঁধবে তাদের তেল সরবরাহই বন্ধ করবে মস্কো৷ কূটনৈতিক মহল বলছে এই চাল একা রাশিয়ার নাও হতে পারে৷ নেপথ্যে হয়ত থাকলেও থাকতে পারে ওপেক প্লাস দেশগুলো৷ রাশিয়ার এমন হুঁশিয়ারিতে ভারত-চিন কি সুদিন দেখছে? ইউক্রেনের জেলেনস্কি অবশ্য বলছেন, পশ্চিমারা ৬০ ডলার কেন ৩০-৪০ ডলার করতে পারত দাম৷ এক্ষেত্রে প্রথমে বুঝে নেওয়া দরকার কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল জি-৭৷
তেল বিক্রি করে যাতে রাশিয়া অতিরিক্ত লাভ না করতে পারে৷ তেল বেচে পুতিন যেন ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যয় মেটাতে না পারেন৷ সত্যিই কি তেমনটা হবে না এখানেও রয়েছে টুইস্ট? ওপেক প্লাস৷ পৃথিবীর বড় বড় তেল উত্পাদনকারী দেশ এর সদস্য৷ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ তেল উত্পাদক দেশ রাশিয়াও রয়েছে ওপেক প্লাসে৷ তবে এই জোটের নেতৃত্ব দেয় সৌদি আরব৷ এবার ওপেক প্লাস গোষ্ঠী জানিয়ে দিয়েছে, ইউরোপ তেলের দাম বেঁধে দেওয়া সত্ত্বেও বিশ্ব অর্থনীতিতে তেলের সরবরাহ তাদের লক্ষ্যমাত্রার থেকে কমাবে না৷ প্রশ্ন হল,ইউরোপকে রাশিয়া তেল বিক্রি না করলে ওপেক প্লাসের বাকী দেশগুলো কি করতে পারবে? যদি না পারে তাহলে ইউরোপকে যে পরিমাণ তেল রাশিয়া বেচত আগে সেই তেল কোন দেশকে বেচবে মস্কো? এক্ষেত্রে কি ভারত-চিন আরও কম দামে পেতে পারে তেল? নাকি ইউরোপই কিছুদিন পর তুলে নেবে এমন শর্ত?
আন্তর্জাতিক মহল বলছে, বিশ্ব বাজারে তেলের দর অনেকটা নেমে এসেছে। তা যখন রেকর্ডের কাছাকাছি পৌঁছেছিল, তখন পশ্চিমারা দর বাঁধলে যতটা প্রভাব রাশিয়ার অর্থনীতিতে পড়ত৷ এখন ততটা হওয়ার সম্ভাবনা কম৷ তাই আপাতত পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, সে দিকেই নজর সকলের।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম