Bangladesh: সমুদ্রের বুকে রানওয়ে, বাংলাদেশের ঝুলিতে নতুন মাইল ফলক! কক্সবাজার দেখে তাজ্জব গোটা দেশ

।। প্রথম কলকাতা ।।

Bangladesh: বাংলাদেশের ঝুলিতে নতুন মাইল ফলক। উন্নয়নের পালে সমৃদ্ধির হাওয়া। সমৃদ্ধ হবে পর্যটন খাত, বদলে যাবে আপনার চেনা কক্সবাজার। হয়ত ভাবছেন বাংলাদেশ কি এমন করল? যা নিয়ে এত হইচই? দেখলে মন প্রাণ জুড়িয়ে যাবে। ভুলে যাবেন সব কষ্ট। সমুদ্রের বুক ছুঁয়ে উড়ে যাবে বিমান। বলা হচ্ছে, কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কথা। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই চালু হবে দেশটার দীর্ঘতম রানওয়ে। সত্যি হবে বাংলাদেশের আর এক স্বপ্ন।

গেম চেঞ্জার হতে চলেছে কক্সবাজার। কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে অন্য রূপে সাজাচ্ছে বাংলাদেশ। চারিদিকে নীল সাগরের জলরাশি, আরেকদিকে দ্বীপাঞ্চলের সবুজ বন। এমন বিমানবন্দর এশিয়ায় হাতে গোনা মাত্র। এর আগে মালদ্বীপে এরকম একটি বিমানবন্দর তৈরি হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এমন সুন্দর পরিবেশে বাংলাদেশের এই বিমানবন্দর এশিয়ায় দ্বিতীয়। চোখ বন্ধ করে একটু কল্পনা করুন, যখন বিমান অবতরণ কিংবা উড্ডয়ন করবে দু পাশে থাকবে বঙ্গোপসাগরের অথৈ নীল জলরাশি। মন ভালো হয়ে যাবে যাত্রীদের। এই প্রথম দেশটায় সমুদ্রের বুকে তৈরি হচ্ছে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। কাজের বরাত পেয়েছে চীনা কোম্পানি। প্রায় ১০,৭০০ ফুট দৈর্ঘ্যের এই রানওয়ের ১৭০০ ফুট থাকবে সমুদ্রের বুকে। খরচ হবে প্রায় ১৫,৬০০ কোটি টাকা।

দৃষ্টিনন্দন কক্সবাজার রানওয়ে ঘিরে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। চারপাশে রয়েছে প্রায় দুই কিমি প্রতিরক্ষা বাঁধ, যা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস থেকে বাঁচাবে। তার জন্য ফেলা হয়েছে প্রায় ৩০০ কেজি ওজনের বোল্ডার, ৪ টন ওজনের সিসি ব্লক। নিরাপদ ভাবে বিমান ওঠানামার জন্য সমুদ্রগর্ভে ২২০০ ফুট দৈর্ঘ্যে প্রিসিশন এপ্রোচ লাইট স্থাপন সহ রানওয়েতে ক্যাট টু এজিএল সিস্টেম রয়েছে। প্রকল্পের আওতায় রয়েছে, অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা যুক্ত আন্তর্জাতিক যাত্রী প্রান্তিক ভবন, বিমান পার্কিং এপ্রোচ, ১৯০ টি অভ্যন্তরীণ বা আন্তর্জাতিক যাত্রী এবং ৩৫ টি ভিআইপি ভেহিক্যাল পার্কিং বিশিষ্ট কার পার্ক, বোর্ডিং ব্রিজ স্থাপন সহ একগুচ্ছ সুবিধা। বাংলাদেশ কক্সবাজারকে ঢেলে সাজাতে কোনো কার্পণ্য করছে না। চলছে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ। বাংলাদেশের অর্থনীতি চালিকা শক্তি হিসেবে জিডিপিতে অবদান রাখবে এই বিমানবন্দর। এছাড়াও দেশটাতে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্প, গভীর সমুদ্র বন্দর, দোহাজারী থেকে কক্সবাজার হয়ে ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্প সহ প্রচুর মেগা প্রকল্প একসাথে চলছে।

ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেটের পর কক্সবাজার হবে বাংলাদেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সমুদ্রের উপর এভাবে রানওয়ে তৈরি করা সহজ ছিল না। প্রথমে বাঁধের ভিতর জল সেচের মাধ্যমে বাইরে ফেলে দেওয়া হয়। গভীর সমুদ্র থেকে ড্রেজিং করে ভেতরে রাখা হয় বালি। বালি দিয়ে সমুদ্রের ওই অংশ ভরাট হলে, স্যান্ড পাইলিং এর মাধ্যমে তৈরি হয় রানওয়ের ভিত। তারপর পাথরের স্তর বসিয়ে উপরে হয় পিচ ঢালাইয়ের কাজ। এখন রানওয়েকে সাজানো হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে । বিশেষজ্ঞের মতে বাংলাদেশে এই প্রক্রিয়ায় প্রথমবার কোন বিমানবন্দরের রানওয়ে তৈরি হল।

সমুদ্রের গভীর নীল জলরাশি ছুঁয়ে বিমান অবতরণের সময় মনে হবে, যেন পাখির ডানায় চেপে নীল জলের দিগন্ত ছুঁয়ে মাটিতে নেমে আসছেন যাত্রীরা। পর্যটকদের ভিড়ে গমগম করবে কক্সবাজার। আয় হবে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা। গোটা বিশ্ব জানবে বাংলাদেশের এই বিমানবন্দরের কথা।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version