Jayanti Chauhan: বিসলেরির মালিক হতে অনিচ্ছা, চিনুন জয়ন্তী চৌহানকে

।। প্রথম কলকাতা ।।

Jayanti Chauhan: আপনার পছন্দের জনপ্রিয় জলের ব্র্যান্ড বিসলেরিতে এবার পাবেন টাটার স্বাদ। এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত হাত বদলে কাজ বাকি, তবে বিসলেরি কিনে নিচ্ছে টাটা গ্রুপ। বর্তমানে ভারতের প্যাকেটজাত জলের বাজারের অর্ধেক দখল করে রেখেছে বিসলেরি। এই সংস্থার লাভের অঙ্ক বিন্দুমাত্র কম নয়। আসলে সংস্থার মালিকের বয়স হয়েছে। তিনি আর এই দায়িত্ব সামলাতে পারছেন না। সংস্থার কর্ণধার রমেশ চৌহান সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টাটা গ্রুপের কাছে সংস্থা বিক্রি করে দেবেন। কারণ এই সংস্থা সামলানোর যোগ্য উত্তরসূরী নেই। তবে আশ্চর্যের বিষয়, তাঁর একটি কন্যা রয়েছে, যাঁর নাম জয়ন্তী চৌহান। কিন্তু তিনি দেড় হাজার কোটি টাকার বিসলেরির মালকিন হতে বিন্দুমাত্র ইচ্ছুক নন। স্বাভাবিকভাবেই তিনি এখন খবরের শিরোনামে।

রমেশ চৌহান এমন এক ব্যক্তি যাঁর হাত ধরে ভারতে মিনারেল ব্র্যান্ড বিসলেরি জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। বর্তমানে শিল্পপতি রমেশ চৌহানের বয়স প্রায় ৮২ বছর। শরীরও খুব একটা ভালো নেই। এত বড় জলের ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে যেতে তার কোন যোগ্য উত্তরসূরী নেই। একমাত্র মেয়ে জয়ন্তী চৌহানের বাবার ব্যবসায় খুব একটা আগ্রহ নেই। এর মাঝে টাটা গ্রুপ বিসলেরি কেনার প্রস্তাব দিয়েছিল। মনে করা হচ্ছে, চারিদিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে রমেশ টাটা গ্রুপের হাতে বিসলেরি তুলে দিচ্ছেন। রমেশ চৌহানের কাছে বিসলেরি সংস্থা বিক্রির সিদ্ধান্ত বেশ কঠিন। তবে তিনি মনে করেন, টাটা গ্রুপ এই সংস্থাকে আগের থেকে অনেক ভালো রাখবে। তিনি টাকার জন্য বিসলেরি বিক্রি করছেন না। তিনি চান তার সংস্থার খুব ভালোভাবে দেখাশোনা হোক। কারণ তিনি এতদিন এই ব্যবসাকে আবেগের সঙ্গে পরিচালনা করেছেন। সমানভাবে আবেগ এবং উৎসাহ নিয়ে কাজ করেছে তার কর্মীরা। তিনি টাটা সংস্কৃতি পছন্দ করেন তাই অন্যান্য ক্রেতা থাকা সত্ত্বেও টাটাকেই বেছে নিয়েছেন। আপাতত রমেশ চৌহানের লক্ষ্য বিসলেরি বিক্রির পর সেই টাকা নিয়ে পরিবেশ রক্ষা, জনসেবামূলক কাজ যোগদান করবেন। এছাড়াও প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহার, দরিদ্রদের চিকিৎসা, জল সংরক্ষণ প্রভৃতি বিষয়ক কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

সাধারণত অনেকটা ঐতিহ্যের মতো ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও পূর্বসূরীর হাত ধরে ব্যবসায়িক সম্পত্তি পৌঁছে যায় উত্তরসূরীর কাছে। তবে সেই পারিবারিক সম্পত্তিতে একমাত্র অধিকারী হয়েও সেখানে রাজ করতে চান না জয়ন্তী চৌহান। তাঁর ছোটবেলা কেটেছে দিল্লি, মুম্বাই এবং নিউইয়র্কে। স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে ভর্তি হন লস অ্যাঞ্জেলসের ফ্যাশন ইনস্টিটিউট অফ ডিজাইনিং অ্যান্ড মার্চেন্ডাইজিং-এ। তিনি সেখানে প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে পড়াশোনার পর ফ্যাশন স্টাইলিং নিয়ে পড়া শুরু করেন। পাশাপাশি ফটোগ্রাফি নিয়েও পড়াশোনা করেছেন। এমনকি তাঁর বাবার দিল্লির অফিসের কাজের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ২০১১ সালে মুম্বাইয়ের অফিসে তিনি প্রধান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন ।বর্তমানে তিনি বিসলেরির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তবে তিনি নিজেকে ব্যবসায়িক গণ্ডিতে আটকে রাখতে চান না। তিনি একটু ভ্রমণ প্রিয় মানুষ। পাশাপাশি ফটোগ্রাফি করতে ভীষণ ভালোবাসেন। তাই কোম্পানির গুরু দায়িত্ব আপাতত তিনি নিতে চাইছেন না।

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version