Russia america: পুতিনের মাস্টারস্ট্রোক! রাশিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি বাতিল কেন ঘুম ওড়াচ্ছে আমেরিকার?

৷৷ প্রথম কলকাতা ৷৷

Russia america: রাশিয়া পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি বাতিল করল আমেরিকার সঙ্গে৷ আমেরিকার হাতটা দড়ি দিয়ে বেঁধে দিলেন পুতিন৷ ভেবে বসবেন না এর মানেই এবার পরমাণু যুদ্ধ ঘনিয়ে এল বুঝি৷ রাশিয়া ও আমেরিকা একে অপরের শত্রু হয়েও কেন চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল? আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেন ছাড়লেন আর পুতিনও সেই সঙ্গে স্টেপটা নিয়ে নিলেন৷ মস্কো প্রকাশ্যে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি বা নিউ স্টার্ট চুক্তি বাতিলের ঘোষণা করে দিল৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে মস্কোর সঙ্গে এবিষয়ে আলোচনা করতে চায়৷ কি এই নিউ স্টার্ট চুক্তি যা নিয়ে বিশ্বে এত হইচই?

এই চুক্তির সবথেকে বড় পয়েন্টটা মিস করবেন না৷ কূটনৈতিক মহল বলছে বেঁধে দেওয়া হল আমেরিকার হাত৷ প্রেসিডেন্ট পুতিন গত দুবছরের মধ্যে এই প্রথম স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণ দিলেন গোটা বিশ্ব সে কথা শুনল যে কীভাবে যুদ্ধের সমস্ত দায় পশ্চিমাদের ওপর ঠেলে দিলেন রাশিয়ার বাদশা৷ তবে এটাই বলা হচ্ছে এবার৷ রাশিয়ার পরমাণু শক্তি নিয়ে আর কোনও তথ্য নয় এবার আমেরিকার হাতে থাকবে না৷ যে ডেটাবেস এতদিন ছিল৷ চিন রাশিয়ার পাশে থাকলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাধবে৷ ঠিক এই কথাটাই বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি৷ আর এই জেলেনস্কিকে সাহায্য করতে গিয়ে আরও একটা বড় লস করে দিল ওয়াশিংটন৷

১৯৯১ পরমাণু অস্ত্র নিয়ে স্টার্ট -১ চুক্তি সাইন হয়েছিল রাশিয়া-আমেরিকার মধ্যে৷ তবে ২০০৯ সালে সেই চুক্তি ল্যাপস হয়ে যায়৷ টেম্পোরারি SORT চুক্তি (স্ট্যাটেজিক অফেনসিভ রিডাকশন ট্রিটি) আনা হয় রাশিয়ার তরফে৷ ২০১১ সালে একেবারে ফাইনাল চুক্ত নিউ স্টার্ট (স্ট্র্যাটেজিক আর্মস রিডাকশন ট্রিটি)৷ ভাবুন আমেরিকা ও রাশিয়া দুই পরাশক্তি একে অপরকে চরম শত্রু তবুও চুক্তি স্বাক্ষর করতেই হয়েছিল নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে৷ বিশ্বের মোট পারমাণবিক অস্ত্রের ৯০ শতাংশ রয়েছে রাশিয়া ও আমেরিকার হাতে৷ এই চুক্তিতে আমেরিকা ও রাশিয়া মোট কী পরিমাণ পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করতে পারবে৷ তার সংখ্যা নির্দিষ্ট করা হয়েছিল৷

এর এই তথ্যটাই ইম্পরট্যান্ট৷ কারণ এবার মস্কো এই চুক্তি মানবে না৷ নিউ স্টার্ট চুক্তিতে উভয় দেশের সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫৫০টি পারমাণবিক ওয়ারহেড মোতায়েনের সুযোগ ছিল৷ সেই সঙ্গে ৭০০টি মিসাইল ও ভারী যুদ্ধবিমান মোতায়েনের সীমাবদ্ধতা ছিল ওই চুক্তিতে৷ কিন্তু আমেরিকা বা রাশিয়া সত্যি সত্যিই এ শর্ত মানছে কিনা তা অপরপক্ষ নিশ্চিত হত কিভাবে? রাশিয়ায় ঢুকে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রাগার পরিদর্শন করার অধিকার ছিল আমেরিকার৷ রাশিয়াও আমেরিকায় গিয়ে তা করার অধিকার ছিল৷ তথ্য বলছে, ২০২৩ ১ ফ্রেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩২৮ বার দুদেশ সাইড ইন্সপেকশন করেছিল৷ কিন্তু এবার আমেরিকা আর জানতে পারবে না পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে ঠিক কি করতে চাইছে ক্রেমলিন৷

চিন রাশিয়াকে হেল্প করছে কিনা তা নিয়ে বেজিং কোনও বিবৃতি না দিলেও রিস্ক বা আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ ন্যাটোর তরফে বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ভেবে দেখা উচিত পুতিনের৷ তাঁর এই ঘোষণার পর আমাদের পৃথিবী আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠল৷ এর মানে সত্যিই কি পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুদ্ধ যখন টানা একবছর ধরে চলছে তখন রিস্ক তো থেকেই যায়৷ কিন্তু পুতিন হঠাত্ করে এত বড় ভিলেন পৃথিবীর কাছে সাজতে যাবেন না এটাও মনে রাখতে হবে৷

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version