Puri Jagannatha Temple: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে সোনা হীরের পাহাড়! মোট সম্পত্তির পরিমাণ কত? ব্যাঙ্কে আছে প্রচুর টাকা

।। প্রথম কলকাতা ।।

Puri Jagannatha Temple: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে রহস্যময় গুপ্তধন, ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে সোনা রুপো মোহর মণি মানিক্য আরও কত কি। এমন গল্প প্রচুর শোনা যায়। আর এই রহস্যময় ভাণ্ডার নাকি পাহারা দেয় বিষধর সাপ। সত্যি কি তাই? জগন্নাথ মন্দিরে প্রচুর সম্পত্তি আছে এটা তো সিওর, কিন্তু কতটা? এই যে সোনা হিরের ছড়াছড়ি এর পরিমাণটা জানেন? মন্দিরের ব্যাঙ্কে জমা আছে কত কোটি টাকা? জানলে হুঁশ উড়ে যাবে। গত ৪৫ বছর ধরে এখনো পর্যন্ত সেই রহস্যের উন্মোচনের চেষ্টা চলছে। আপনারও নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছা হচ্ছে, জগন্নাথ মন্দিরের গুপ্তধনে ঠিক কি কি রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক।

পুরীর জগন্নাথ মন্দির নিয়ে অলৌকিক কাহিনীর শেষ নেই। মন্দিরের কোষাগারে ঠিক কত সম্পত্তি, তা নিয়ে চলছে জোর জল্পনা কল্পনা। এবার সেই প্রশ্ন পৌঁছে গেল উড়িশা হাইকোর্টে। জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডার দুটো ভাগে ভাগ করা। একটা অন্তর্ভাণ্ডার একটা বহির্ভাণ্ডার, দুটো মিলিয়ে মোট সাতটা ঘর। সাধারণত জগন্নাথদেব বলরাম এবং সুভদ্রাকে যে অলংকার পরানো হয় তা থাকে বহির্ভাণ্ডারে। কিন্তু অন্তর্ভাণ্ডারে রয়েছে প্রচুর সম্পত্তি, সেখানে ঘুটঘুটে অন্ধকার। কেউ প্রবেশ করতে পারে না। বলা হয় এই মন্দিরের সম্পত্তি হার মানিয়ে দেবে ভারতের অন্যান্য মন্দিরকে। এখন মাঝে কেটে গিয়েছে অনেকগুলো বছর। এখন সম্পত্তির পরিমাণ যে অনেকটাই বাড়বে, তা তো আন্দাজ করাই যায়।

সর্বশেষ ১৯৭৮ সালে মন্দিরের সম্পত্তির তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। জগন্নাথ মন্দির আইন ১৯৫৫ এ স্পষ্ট ভাবে বলা আছে, প্রতি তিন বছর অন্তর মন্দিরে রত্ন ভাণ্ডারের তালিকা তৈরি করতে হবে। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। ১৯২৬ সালে রাজা গজপতি রামচন্দ্রের তালিকা অনুযায়ী, এখানে রয়েছে প্রায় ১৫০ টি সোনার অলংকার সহ প্রায় ৮৩৭ টি জিনিস। সেই সোনার ওজন প্রায় ১৫কেজি। ১৯৭৮ সালে যে তালিকা প্রকাশ হয় সেখানে আবার গয়নার হিসেব ছিল না। মনে করা হয়, সেই সময় প্রায় ১২৮ কেজি সোনার গয়না আর ২২১ কেজির রূপোর জিনিস রয়েছে। ২০১৮ সালে তদন্তের জন্য রত্ন ভাণ্ডার পুনরায় খোলার প্রস্তুতি নেওয়া হলেও চাবি পাওয়া যায়নি, পুরো বিষয়টাই থেকে যায় ধোঁয়াশায়।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিবছর পুরীর মন্দিরে যান প্রায় সাড়ে তিন লক্ষের বেশি ভক্ত। যেখান থেকে মন্দিরের আয় প্রায় দেড়শ কোটি টাকা। এছাড়াও প্রতিবছর অনুদান পায় প্রায় ১.৭২ কোটি টাকা। কিন্তু এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত সঠিক তালিকা প্রকাশিত হয়নি। তবে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে, জগন্নাথ মন্দিরের ব্যাঙ্ক ডিপোজিটে রয়েছে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। কিন্তু মন্দিরে সোনার রূপো ঠিক কতটা পরিমাণে রয়েছে, তার মূল্য এখনো পর্যন্ত কেউ জানে না।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version