Taiwan’s president in U.S: তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রে, ফলাফল ভালো হবে না! হুমকি চীনের

।। প্রথম কলকাতা ।।

Taiwan’s president in U.S: গোটা বিশ্বজুড়ে যেন সন্তর্পণে বাজছে যুদ্ধের দামামা। তাইওয়ানের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক একেবারেই আদায় কাঁচকলায়। মাঝে মাঝে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় মনে হয় এই বুঝি যুদ্ধ বাঁধল। অপরদিকে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুতাও কম নয়। দুই দেশ একে অপরকে এড়িয়ে চলে। টানটান উত্তেজনায় এই স্নায় যুদ্ধের পরিস্থিতিতে চীনের সমস্ত রকম চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট (Taiwan’s president) সাই ইং-ওয়েন (Tsai Ing-wen)। ২৯শে মার্চ বুধবার তিনি নিউইয়র্কে (New York) পৌঁছেছেন।

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের ১০ দিনের সফরে বেশ ক্ষেপেছে চীন। শুধু তাই নয়, এই সফরের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে শি জিনপিং প্রশাসন। এই সফরে শুরুতেই হুমকি দিয়েছিল চীন। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি এই বিষ়টিকে একেবারেই উত্তেজনাপূর্ণ হিসেবে দেখতে চান না। চীনের হুমকি অনুযায়ী, যদি মার্কিন প্রতিনিধি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তাহলে নাকি এই সফরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের এই সফর নাকি চীন নীতিকে গুরুতর ভাবে লঙ্ঘন করছে, আর তাতেই চটেছে বেজিং। অপরদিকে পরিস্থিতি শান্ত করতে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কারবি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, সাই ইং-ওয়েনের যুক্তরাষ্ট্র সফরকে কেন্দ্র করে চীন যেন অযথা উত্তেজনা তৈরি না করে। এখানে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখানোর কোন প্রয়োজন নেই। সাই ইং-ওয়েনের সফরে কোনো ভাবেই ‘এক চীন নীতি’ লঙ্ঘন হবে না।

তাইওয়ানে থাকা কিছু চীনপন্থী রাজনৈতিক দল আর নানান সংগঠন সাই ইং-ওয়েনের যুক্তরাষ্ট্রের সফরকে কেন্দ্র করে রীতিমত বিক্ষোভ শুরু করে দিয়েছে। তাদের দাবি অনুযায়ী, তাইপে প্রেসিডেন্ট নাকি তাদের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটিকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি চায়, সেই উদ্দেশ্যেই গিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। এমত পরিস্থিতিতে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জানান, তাইওয়ান ইস্যুতে যতই ওয়াশিংটন আর বেজিংয়ের মধ্যে মতপার্থক্য থাকুক না কেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কিন্তু বারংবার চেয়েছেন আলোচনা করতে।

তাইওয়ান প্রেসিডেন্টের মধ্য আমেরিকার ১০ দিনের এই সফরে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকারের পাশাপাশি অন্যান্য নেতাদের সঙ্গেও দেখা করার পরিকল্পনা রয়েছে। সম্প্রতি বেইজিংয়ের হুঁশিয়ারির মধ্যে তাইপের প্রেসিডেন্টের এই সফরকে অনেকেই ভালো চোখে দেখছেন না। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, বিষয়টিকে কেন্দ্র করে চীন নতুন ভাবে জলঘোলা করতে পারে। চীন স্পষ্ট ভাবে বলে দিয়েছে, যদি দুই নেতার বৈঠক হয় তাহলে সংঘাত গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। যদিও হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তার মুখপাত্র এই সফরকে স্বাভাবিক বলেই দেখা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি যুক্তি দিয়েছেন, এটি একটি সাধারণ ঘটনা। মূলত তাইওয়ানের অন্যান্য রাষ্ট্রপ্রধানরাও যুক্তরাষ্ট্রের যাত্রা বিরতি নিয়েছেন। এখানে অস্বাভাবিক কিছু নেই। সেই ১৯৯৪ সালে তাইওয়ানের প্রথম কোন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রের যাত্রা বিরতি নিয়েছিলেন সম্প্রতি এটি হল ২৯তম বিরতি। তাইপের প্রেসিডেন্ট মধ্য আমেরিকার মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে চলতি সপ্তাতেই যাবেন গুয়েতেমালা এবং বেলিজে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version