Biryani: প্রসাদে ফল মিষ্টি নয়, দেওয়া হয় মটন বিরিয়ানি! কোথায় রয়েছে এই আশ্চর্য মন্দির?

।। প্রথম কলকাতা ।।

 

Biryani: মন্দিরের(Temple) প্রসাদ ফল বা মিষ্টি নয়, এই মন্দিরে গেলে প্রসাদ হিসেবে পাবেন মাটন বিরিয়ানি(Mutton Biryani)। শুনতে অবাক লাগছে তো? কিন্তু এমনটাই হয় এক মন্দিরে। প্রতিবছর জানুয়ারির(January) তৃতীয় সপ্তাহে এই মন্দিরে বিশেষ উৎসবের(Special Festival) আয়োজন করা হয়। সেই উৎসব চলে তিন দিন ধরে। যেখানে প্রসাদ হিসেবে রাখা হয় মাটন বিরিয়ানি। এই বিশেষ মন্দিরটি রয়েছে তামিলনাড়ুতে(Tamilnadu)।

 

মন্দিরের প্রসাদ বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ফল কিংবা মিষ্টি। যা পুজোর শেষে প্রসাদ হিসেবে ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। আবার কোথাও বা বাতাসার সঙ্গে দেওয়া হয় ফুল। মন্দিরের প্রসাদ হিসেবে আপনাকে মটন বিরিয়ানি পেতে গেলে অপেক্ষা করতে হবে জানুয়ারি মাসের জন্য। তারপর চলে যেতে হবে তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ে মুনিয়ান্দি মন্দিরে। সেই ১৯৩৭ সাল থেকে এই মন্দিরে প্রসাদ হিসেবে মাটন বিরিয়ানি দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। এর নেপথ্যে রয়েছে এক মজাদার কাহিনী। শোনা যায়, ওই সময় মাদুরাইয়ের বারাকামপাত্তি নামক গ্রামে এক ব্যক্তি হোটেল ব্যবসা শুরু করেছিলেন। সেই ব্যবসায় তিনি প্রচুর লাভে মুখ দেখেন। তাই মন্দিরের বিগ্রহকে উৎসর্গ করে আয়োজন করেন বিশাল মহাভোজের। সেই বছর ভক্তদের তৃপ্তি করে খাওয়ানো হয়েছিল মাটন বিরিয়ানি। তারপর থেকেই প্রতিবছর নিয়ম করে ওই মন্দিরকে কেন্দ্র করে একটি উৎসবের আয়োজন করা হয়। এই উৎসবকে বলা হয় মুনিয়ান্দি উৎসব। মন্দিরের আশপাশে বর্তমানে বহু হোটেল তৈরি হয়েছে। যার প্রতিটি নামের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে মুনিয়ান্দি শব্দটি।

 

বহু মানুষ আছে যাদের বিরিয়ানির নাম শুনলে মুহূর্তে মন ভালো হয়ে যায়। ভালোবাসার অপর নাম বিরিয়ানি। সেই বিরিয়ানি যদি মন্দিরে প্রসাদ হিসেবে পাওয়া যায় তাহলে মন্দ হবে না। এই মন্দিরে হাজার হাজার মানুষ ভক্তি সহকারে ভিড় জমান বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য। মন্দিরের কাছে যেসব হোটেল রয়েছে সেগুলি সুস্বাদু আমিষ খাবার বিক্রির জন্য বিখ্যাত। দক্ষিণ ভারত জুড়ে মুনিয়ান্দি নামের হোটেল পাবেন প্রায় দেড় হাজারের বেশি। হোটেল মালিকরা তিন দিনব্যাপী এই উৎসবের আয়োজন করেন। তাদের আরাধ্য দেবতা মুনিয়ান্দিকে অর্ঘ্য হিসেবে নিবেদন করেন বিরিয়ানি। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, মন্দিরের দেবতা অনেকটা সাধারণ মানুষের মতো বিরিয়ানি প্রেমী। তাঁকে সন্তুষ্ট রাখতে এই আজব নিয়ম পালন করা হয়। পুজোর সময় প্রায় দুই হাজার কেজি চাল, আড়াইশো কেজি মুরগি, ২০০ কেজি মাটন লাগে বিরিয়ানি প্রসাদ তৈরি করতে। এখানে থাকা বিরিয়ানির দোকান গুলি দিনের প্রথম ক্রেতার টাকা আলাদা করে রেখে মন্দিরের তহবিলে পাঠিয়ে দেয়।

Exit mobile version