Banana cultivetion: শীতেই লাভজনক কলা গাছের চারা রোপন করুন, ফল পাবেন হাতেনাতে

।। প্রথম কলকাতা ।।

Banana cultivetion: কলা। এ গাছের কিছুই ফেলা যায় না। থোড়, মোচা থেকে কাঁচা কিংবা পাকা কলা সারা বছরই তার বিপুল চাহিদা। আর একটা সুবিধা হল উর্বর বা অনুর্বর সব জমিতেই কলা চাষ করা যায়। তাই অনুর্বর জমি ফেলে না রেখে সেই জমিতে ব্যবসায়িক ভিত্তিতে কলা চাষ করে মোটা টাকা আয় করা যায়। এখনই সেই কলা গাছ বসানোর উপযুক্ত সময়।

কলার পুষ্টিগুণ প্রচুর। কলা উপাদেয় খাদ্য। আবার মুহূর্তে শক্তি দেয়। সে জন্য টেনিস তরকারাই বলুন বা অন্যান্য খেলোয়াড়রা খেলার ফাঁকে ফাঁকে পাকা কলা খেয়ে থাকেন। তাই যে কোনও সময় পরিশ্রান্ত অবস্হায় কলা খেলে শরীর পুনরায় কর্মক্ষম হয়ে ওঠে। আমাদের অনেকেরই দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় কলা থাকে। সিঙ্গাপুরী, কাঁঠালি বা মর্তমান সব কলারই সমান চাহিদা।

পর্যাপ্ত রোদ পায় এবং জল যুক্ত ও পানি নিকাশের  ব্যবস্হা রয়েছে এমন উঁচু জমি কলা চাষের জন্য উপযুক্ত। উর্বর দো-আঁশ মাটি কলা চাষের জন্য খুবই ভালো। প্রথমে চাষ ও মই দিয়ে জমি সমতল ও আগাছামুক্ত করে নিতে হবে। কলার চারা বছরে ৩ সময়ে রোপণ করা যায়। কার্তিক মাস সবচেয়ে ভালো সময়। এছাড়া অগ্রহায়ন, মাঘ-ফাল্গুন ও চৈত্র-বৈশাখ মাসেও কলার চারা বসানো যাবে।

চারা রোপণের মাস খানেক আগেই গর্ত খুঁড়ে ফেলতে হবে। গর্তের আকার হবে ৬০ সেমি চওড়া ও ৬০ সেমি গভীর। গর্ত তৈরি হয়ে গেলে গোবর ও টিএসপি সার মাটির সাথে মিশিয়ে গর্ত ভরে রাখতে হবে।জমিতে সারিবদ্ধভাবে কলার চারা বসাতে হবে। সারি থেকে সারির দূরত্ব ২ মিটার এবং চারা থেকে চারার দূরত্ব ২ মিটার থাকতে হবে। চারার বয়স তিন মাস ও রোগ মুক্ত হলে ফলন ভালো পাওয়া যায়।

কলা চাষে গোবর সার ভালো কাজ দেয়। অর্ধেক গোবর জমি তৈরির সময় এবং বাকিটা গর্তে দিতে হবে। রোপণের দেড় থেকে দুই মাস পর ৪ ভাগের ১ ভাগ ইউরিয়া, অর্ধেক এমপি জমিতে ছিটিয়ে ভালোভাবে কুপিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। এর দুই থেকে আড়াই মাস পর গাছ প্রতি বাকি অর্ধেক এমপি ও অর্ধেক ইউরিয়া প্রয়োগ করতে হবে। মোচা বের হওয়ার সময় অবশিষ্ট ৪ ভাগের ১ ভাগ ইউরিয়া জমিতে ছিটিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে।

চারা রোপণের সময় মাটিতে পর্যাপ্ত রস না থাকলে তখনই সেচ দেওয়া উচিত। এছাড়া শুকনো আবহাওয়ায় ১৫-২০ দিন পর পর সেচ দেওয়া দরকার। বর্ষার সময় কলা বাগানে যাতে জল জমতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। একটি গাছে একটি মোচা থেকে যাতৈ কাঁদি বের হওয়া নিশ্চিত করতে হবে। বাকি মোচা কেটে নিতে হবে। তাতে ফলন ভালো মিলবে।

পোকার আক্রমণে কলা গাছের গায়ে বসন্ত রোগের দাগের মতো দাগ হতে দেখলে কলার মোচা বের হওয়ার সময় ছিদ্রবিশিষ্ট পলিথিন ব্যাগ দিয়ে তা মুড়ে দিতে হবে। এছাড়াও কীটনাশক স্প্রে করে পোকা দমন করা যায়।

চারা রোপণের ১১-১৫ মাসের মধ্যেই সাধারণত সব জাতের কলা পাকার উপযুক্ত হয়। প্রতি হেক্টরে ১২-১৫ টন কলার ফলন পাওয়া যাবে।

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version