Peru: বিক্ষোভে ক্ষতবিক্ষত পেরু, পদত্যাগ করলেন গুরুত্বপূর্ণ দুই মন্ত্রী

।। প্রথম কলকাতা ।।

Peru: বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তাল লাতিন আমেরিকার দেশ পেরু। সেখানে রীতিমত সহিংস বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভের জেরে দেশটির দুজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী পদত্যাগ করলেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিলোর (Pedro Castillo) গ্রেফতারের পর দেশ জুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ইতিমধ্যেই দেশটির দুই জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন, যার মধ্যে একজন হলেন শিক্ষামন্ত্রী প্যাট্রিসিয়া কোরেয়া (Education Minister Patricia Correa), অপরজন হলেন সংস্কৃতি মন্ত্রী জাইর পেরেজ (Cultural Minister Jair Perez)। পদত্যাগের পর শিক্ষামন্ত্রী একটি টুইটে পোস্ট করে লিখেছেন “দেশের মানুষের এভাবে মৃত্যুর কোন যুক্তি নেই “। রাষ্ট্রীয় সহিংসতা মৃত্যু ঘটাতে পারে না। পেরুর প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে (Formar President) গ্রেপ্তারের পর নতুন সরকার রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এখন দুই মন্ত্রীর পদত্যাগের পর এই সরকারের উপর চাপ আরও বেড়েছে।

পেরুর সুপ্রিম কোর্ট প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি পেদ্রো কাস্তিলোকে ১৮ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে। দেশে বিদ্রোহের প্ররোচনা আর ষড়যন্ত্রের দায়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের বিচারক কার্লোস চেকেল বৃহস্পতিবার সাবেক প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিলোকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ জারি করেছেন। মামলার শুনানি পর্যন্ত তাকে ১৮ মাসের জন্য হেফাজতে রাখা হবে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশ জুড়ে তীব্র অশান্তি ছড়াতেই ৩০ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। পুলিশ ও কাস্তিলো সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। এই সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যু এবং বহু নাগরিক আহত হয়েছেন। ধর্মঘট ও আন্দোলনের কারণে পেরু দৈনিক ২৬ মিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলবার্তো ওতারোলা এক বিবৃতিতে বলেছেন যে বিক্ষোভকারীরা অনেক জায়গায় রাস্তা অবরোধ করেছে, অনেক জায়গায় ভাঙচুর হয়েছে। এই সব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। কিছু জায়গায় কারফিউও জারি করা হতে পারে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীকেও মাঠে নামানো হবে বলেও জোর দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এই সময়ে পেরু একটি অপ্রত্যাশিত রাজনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হল। গত কয়েকদিনে এতটাই অশান্তি হয়েছে যে দেশটির মাটিতে উত্তেজনা কমার বদলে বেড়েছে।

স্থানীয় মিডিয়া ফুটেজে আয়াকুচোর বিমানবন্দরের রানওয়ে ট্র্যাকে কয়েক ডজন বিক্ষোভকারীকে দেখানো হয়েছে, যখন সেনা কর্মকর্তারা বাতাসে গুলি চালিয়ে এবং কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেছিল। বিক্ষোভকারীরা প্রধান সড়ক অবরোধ করে এবং সহিংস বিক্ষোভের মধ্যে দেশের পাঁচটি বিমানবন্দর বন্ধ করে দিতে হয়।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version