।। প্রথম কলকাতা ।।
Obaidul Quader: যশোরের জনসভায় গণমানুষের ঢল প্রমাণ করেছে দেশবাসী কতটা শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি আস্থাশীল। তাই যে যত প্রচেষ্টা করুক না কেন, সবই বৃথা। এমনটাই দাবি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের। ‘সময়’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার কাদের জানিয়েছেন, বিএনপি নেতারা গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করছে এবং রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে লাগাতার মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে।
বিবৃতি দিয়ে কাদেরের বক্তব্য, একদিকে বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। অন্যদিকে জনগণের মধ্যে ভয় ছড়াচ্ছে ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রতিদিন বিএনপি দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বিঘ্নে সভা সমাবেশ করছে। এদিকে সরকার বাধা দিচ্ছে বলে, মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। বাংলাদেশে মুক্ত গণতান্ত্রিক পরিবেশ আছে বলেই, বিএনপি নেতারা প্রতিদিন সমাবেশের নামে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করতে পারছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, কাদের জানিয়েছেন, বিএনপি কখনোই তাদের হাতে লেগে থাকা রক্তের দাগ মুছতে পারেনি। রক্তের নেশা থেকে কখনোই তারা মুক্ত হতে পারেনি। হত্যা-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অবৈধ ও অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতা দখল করে ইতিহাসের নিষ্ঠুর স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে চিরতরে মুছে ফেলার অপচেষ্টা চালায়। নির্বাচন বানচালেন নামে ২০১৩-১৪ ও ১৫ সালে পেট্রোল বোমা মেরে শত মানুষকে হত্যা করেছে বিএনপি। তাই স্বভাবগত কারণেই এটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃত একটি সন্ত্রাসী রাজনৈতিক সংগঠন।
বর্তমান সরকার উন্নয়ন এবং অগ্রগতির দিকে এগিয়ে চলেছে। ফলে জনগণের জীবনমানের উন্নতি ঘটেছে। আর ঠিক এই সময়ে বিএনপি মহাসচিব সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। শেখ হাসিনা কখনও ক্ষমতার লোভে রাজনীতি করেননি। জনকল্যাণের কথা ভেবে এসেছেন সর্বদা। আওয়ামী লীগ জনগণের শাসক নয় বরং সেবক। তাই শেখ হাসিনা মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন জনগণ আওয়ামী লীগের শক্তি। আর জনগণের সরকারের ওপর যে বিশ্বাস রয়েছে, তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে যশোরের জনসভায়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম