Zombie Drug in US: ওষুধের প্রভাবে জম্বিতে পরিণত হচ্ছে মানুষ, ভয়ঙ্কর দৃশ্য আমেরিকায়!

।। প্রথম কলকাতা ।।

Zombie Drug in US: সিনেমার পর্দায় জম্বি ভাইরাসের অনেক কাণ্ডই তো দেখলেন। এবার বাস্তবেও এমনটা হতে চলেছে, তাও আবার খোদ আমেরিকার মতো দেশে। গত বছরের শেষের দিকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। যেখানে দেখা গিয়েছিল, রাস্তায় কয়েক জন তরুণ তরুণী অদ্ভুত ব্যবহার করছেন। আমেরিকা বিপর্যয় তৈরি করেছে এক ধরনের জম্বি ড্রাগ (Zombie Drug)। যার ফলে সারা ত্বকে অদ্ভুত ধরনের ক্ষত তৈরি হচ্ছে, যা দ্রুত গোটা শরীরের ছড়িয়ে পড়ছে। এমনকি অঙ্গচ্ছেদ পর্যন্ত হতে পারে। গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা এবং অদ্ভুত আচরণ করতে কিছু মানুষের ভাইরাল ভিডিওগুলিকে অনেকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছিল। আসলে আমেরিকায় এক ধরনের ওষুধের ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। যার নাম জাইলাজিন (Xylazine)। এটি ট্রানক, ট্রানক ডোপ এবং জম্বি ড্রাগ নামেও পরিচিত। বিভিন্ন শহরের যার মারাত্মক প্রভাব রয়েছে৷ ওষুধটির উপসর্গের মধ্যে রয়েছে – চরম ঘুম, শ্বাসযন্ত্রের বিষণ্নতা এবং ত্বকের পচন। এর ফলে কোন ব্যক্তি স্বাভাবিক ভাবে দাঁড়াতে পর্যন্ত পারেন না।

সম্প্রতি জাইলাজিন নামের এই ওষুধ আমেরিকায় বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। এই নতুন ড্রাগ নাকি মানুষকে জম্বিতে পরিণত করছে। এটি খুব দ্রুত মানুষের ত্বকে পচন সৃষ্টি করে। টাইম ম্যাগাজিনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই জাইলাজিন প্রাণীদের অচেতন করতে ব্যবহার করা হয়। যদিও এখন অনেকেই এটিকে হেরোইনের মতো মাদকের কৃত্রিম কাটিং এজেন্ট হিসেবে ব্যবহার করছেন। মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়, জাইলাজিন নামের এই ওষুধটি প্রথম ধরা পড়ে ফিলাডেলফিয়ায়, এরপর সান ফ্রান্সিসকো এবং লস অ্যাঞ্জেলেস হয়ে দেশের বিভিন্ন শহরে এর ব্যবহার বাড়তে থাকে।

আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন পশুদের উপর জাইলাজিন ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে, কিন্তু এটি মানুষের জন্য খুব মারাত্মক। এর প্রভাব অনেকটা অ্যানেস্থেশিয়ার মতোই। এটি নিলে মানুষ গভীর ঘুমে চলে যান, শ্বাস-প্রশ্বাস ধীর হয়ে যায় এবং ত্বকের ক্ষত হতে শুরু করে। এই ওষুধের বারবার ব্যবহারে মারাত্মক পরিণতি হতে পারে। একটা সময় আসে যখন মানুষের ত্বক এতটাই পচে যায় যে সময়মতো সঠিক চিকিৎসার অভাবে সেই অঙ্গ কেটে ফেলতে হয়। কিন্তু সমস্যার ব্যাপার হল এই ওষুধটি এখনো নিষিদ্ধ ওষুধের তালিকায় রাখা হয়নি, যার কারণে এর ব্যবহার বেড়েই চলেছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version