।। প্রথম কলকাতা ।।
Onion Cultivation: শীতে বাড়ির টবেই হবে পিয়াঁজ চাষ। শীতকালে পিঁয়াজ কলি অত্যন্ত পরিচিত একটি সবজি। কমবেশি অনেকেই এই সবজি ভাজা খেতে ভালোবাসেন। পেঁয়াজ কলির দামও খুব একটা কম নয়। আপনি চাইলে বাড়ির ছোট্ট টব থেকেই পেঁয়াজ কলি এবং পিয়াঁজ সংগ্রহ করতে পারেন। অনেকেরই নেশা থাকে বাড়ির ব্যালকনিতে কিংবা ছাদের ছোট্ট বাগান বানানোর। এই জন্য প্রচুর খরচ নেই। শুধুমাত্র প্রয়োজন একটু পরিশ্রম আর ধৈর্যের। এই অগ্নিমূল্য বাজারে আপনি আপনার বাড়ির টব থেকেই পেতে পারেন মন পছন্দের সবজি। বিশেষ করে পিঁয়াজ চাষ করা অত্যন্ত সোজা। খাটনি নেই বললেই চলে।
• প্রথমে মাঝারি আকারের কয়েকটা মাটির টব কিনে আনবেন। চাইলে বড় ড্রাম কিংবা প্লাস্টিকের ভাঙা পাত্রেও পিঁয়াজ চাষ করতে পারেন। একটি পাত্রে বেলে এবং দোয়াঁশ মাটি ভালোভাবে মিশিয়ে নেবেন। টব ভর্তি সেই মাটি এমন জায়গায় রাখবেন যেখানে ভালো আলো বাতাস পায়।
• মাটি ভিজিয়ে কয়েকদিন রেখে দেওয়ার পর পিয়াঁজের বীজ বপন করবেন। কারণ এক্ষেত্রে মাটি আদ্র হওয়া অত্যন্ত জরুরি। বাজারে পিয়াঁজের বীজ পাওয়া যায়। এছাড়াও যে কোন মুদির দোকানে কলা হওয়া পিয়াঁজ পেয়ে যাবেন। তবে বীজ পিঁয়াজ কেনাই ভালো, সেক্ষেত্রে গাছ ভালো হয়।
• প্রায় এক ইঞ্চি পার্থক্য রেখে ২ সেন্টিমিটার গভীরতায় পেঁয়াজের বীজ গুলি মাটিতে সারিবদ্ধ ভাবে পুতে দেবেন প্রত্যেকটি শাড়ির মধ্যে প্রায় ৩০ সেন্টিমিটার এর দূরত্ব রাখবেন। যদি শিকড় ছাড়া পিঁয়াজ বপন করেন তাহলে তার মুখ এবং পিছনের দিকে সামান্য অংশ একটু কেটে নেবেন। আর যদি পিয়াঁজের শিকড় থাকে তাহলে কাটার প্রয়োজন নেই।
• পিয়াজ মাটিতে পুঁতে ঝুরঝুরে হালকা মাটি চাপা দিয়ে, তার উপর অল্প করে জল ছিটিয়ে দেবেন। প্রায় ছয় থেকে দশ দিন পরে দেখবেন সেই স্থান থেকে পিয়াঁজের পাতা বেরিয়ে এসেছে। পিঁয়াজকলি এবং পিয়াঁজ আকার বড় পেতে বাড়িতে জৈব সার বানিয়ে নিতে পারেন। রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে পারেন। যেমন ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি প্রভৃতি। চারা রোপনের প্রায় কুড়ি দিন পর ইউরিয়া সার ব্যবহার করবেন।
• গাছের গোড়ায় একদম জল জমতে দেওয়া যাবে না। যদি মনে হয় পিয়াঁজের পাতা সংগ্রহ করবেন তাহলে তা কেটে নিতে পারেন। পাতা শুকিয়ে গেলে তা গাছ থেকে হালকা করে ছেঁটে দেবেন।
• পিয়াঁজ চাষের জন্য মাটির পিএইচ মাত্রা হবে ৫.৫ থেকে ৬.৫ পর্যন্ত। পিয়াঁজের বীজ বপণের সময় হল, অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাস। সরাসরি বীজ কিনে বোনা উচিত।
• পিয়াঁজের গাছ যখন ভালোভাবে শুকিয়ে যাবে, তখনই ভাববেন পিয়াঁজ ভালোভাবে পরিপক্ক হয়েছে। তখনই তা মাটি থেকে উঠানোর জন্য উপযোগী। পিয়াঁজ ভালোভাবে শুকানোর পর আপনি তা সংগ্রহ করতে পারেন। পিয়াঁজ সাবধানে তুলবেন এবং সংগ্রহ করার আগে ভালোভাবে শুকিয়ে নেবেন, না হলে ধূসর পচা রোগে পিয়াঁজ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
বাঙালি ভোজন বিলাসিতার খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। সেখানে নানাবিধ মশলার মধ্যে অন্যতম হল পিয়াঁজ। এটি এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ মশলা যাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। এছাড়াও পিঁয়াজের পাতা এবং কলিতে পাওয়া যায় ভিটামিন সি আর ক্যালসিয়াম। ঝাল মুড়ি, বিভিন্ন ভর্তা, একাধিক পদ, এমন কি কাঁচা সবজি হিসেবেও পিয়াঁজ খাওয়া হয়ে থাকে। রুচিবর্ধক এবং দ্রুত হজম করো হিসেবে পিয়াঁজের জুরি মেলা ভার।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম