Egypt: বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী এয়ার ফোর্স, তবুও কেন অন্ধ হয়ে আছে মিশর?

৷৷প্রথম কলকাতা৷৷

Egypt: দুর্ধর্ষ এয়ার ফোর্স রয়েছে ইতিহাসে মোড়া এই দেশের৷ ইসরায়েল চাইলে কি ছুঁতে পারবে না কোনওদিন৷ আমেরিকা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বেচে৷ শক্তিধর ২ দেশের ষড়যন্ত্রে আজও অন্ধ এদেশ, বলছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা৷ পিরামিডের দেশ, কত গভীর ইতিহাস৷ কিন্তু এটাই একমাত্র এদেশের পরিচয় নয়৷ আধুনিক মিশর পারদর্শী শত্রুর মুখ থেকে খাবার ছিনিয়ে নিতে৷ জানেন,ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর থেকে কয়েকগুণ এগিয়ে রয়েছে মিশরের আর্মি৷ তবুও দেখুন বিশ্বে বেশি মাতামাতি হয় ইসরায়েলকে নিয়েই৷ মিশর যাকে ইংরেজিতে বলে ইজিপ্ট৷ এর ইতিহাস যেমন গভীর তেমনই ভয়ঙ্কর এর ফোর্স৷ কিন্তু তাবড় তাবড় প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভান্ডারে এত কিছু থেকেও মিশর যেন আজও অন্ধরাজা৷ কারা অন্ধ করে রেখেছ মিশরকে?

কেন শত্রুদেশ ইসরায়েলের গায়ে আচড়ও কাটতে পারে না ইজিপ্ট? আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা মহল বলছে, মিশরের বিমান বহরে যে যে যুদ্ধবিমান রয়েছে সেগুলো যেকোনো সময় মধ্য প্রাচ্যের একাধিক দেশের ঘুম কেড়ে নিতে পারে। কিন্তু মিশর শেষ যুদ্ধ করেছিল ১৯৭৩ সালে৷ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মিশর ও সিরিয়ার নেতৃত্বে আরব জোটের লড়াই ছিল ইয়ম কিপ্পুর যুদ্ধ৷ শোনা যায় এযুদ্ধে নাকি মরুভূমির মধ্যে গর্ত খুঁজে লুকিয়েছিল ভয়ঙ্কর ইসরায়েলি সেনা৷ ব্যাকআপ অবশ্যই ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের৷ কিন্তু সেই যুদ্ধেই সুয়েজ খালে অধিকার হাতিয়ে নিয়েছিল মিশর৷ জানেন মিশরের মানুষ ইজরায়েলকে দু চক্ষে দেখতে না পারলে তাদের মিত্র দেশের থেকেই হাতিয়ার আসে কায়ারোর মাটিতে৷

আমেরিকা বা রাশিয়ার পাশাপাশি ফ্রান্সেরও অত্যাধুনিক বিমান রয়েছে৷ কায়ারোকে ২৫০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছেন বাইডেন প্রশাসন৷ কূটনৈতিক মহল বলছে, আমেরিকা সব দিয়েছে কিন্তু হোয়াইট হাউজের কানে মন্ত্র ইসরাইলই দিয়েছে৷ মিশরের এয়ার ফোর্সকে কাছ থেকে দেখলে বোঝা যায় কী নেই তাতে? মিশরের হাতে রয়েছে

১) ২১৮ টি F-16
২) ৪৪টা মিগ ২৯ M/M2
৩) ৩০টা সুখোই-৩৫ SE —
৪) ফ্রান্সের রাফালে ৫৪ টি
৫) ১৯ টা মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান

আর এবার অর্ডার দেওয়া হয়েছে ইউরোফাইটার টাইফুনের৷ একের পর এক দুর্ধর্ষ ফাইটার জেট৷ তবে সবথেকে অবাক করা তথ্য, মিশর রাফালে এবং টাইফুনের সাথে মিটিওর বিভিআর পাবে না৷ দেশটার এয়ারফোর্সে নেই কোনও বিয়ন্ড ভিসুয়াল রেঞ্জ মিশাইল৷ সেটা আবার কি? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনও দেশের প্রতিরক্ষায় এটাও তো ছক্কা হাঁকানোর অস্ত্র৷ বিভিআর হল এয়ার টু এয়ার মিশাইল৷ আকাশে শত্রু পক্ষের যুদ্ধবিমানকে না দেখেই৷ নিদিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে এখন বিভিআর মিসাইল দিয়ে ধ্বংস করা সম্ভব বিশেষজ্ঞদের দাবি, বিভিআর কোনও দেশের হাতে থাকলে স্টেলথ টেকনোলজির সুবিধা নিয়ে পাইলট তার মিসাইলের নো এস্কেপ জোনের অনেকটা ভেতরে প্রবেশ করে কিংবা যত সম্ভব কাছাকাছি গিয়ে রাডার লক করে অন্যান্য সাধারণ মিসাইল দিয়ে ফায়ার করবে। এতে মিসাইলের হাত থেকে শত্রু বিমানের বাঁচার সম্ভাবনা কমে যায়

ইজিপশিয়ান এয়ার ফোর্সে সব থাকলেও আসলে ব্রহ্মাস্ত্রটাই নেই৷ আর এর নেপথ্যেও আমেরিকা-ইজরায়েল ষড়যন্ত্র, দাবি কূটনীতিবিদদের৷ তাদের দাবি, ইসরায়েলের অনুরোধে আমেরিকা আমরাম বিভিআর দেয়নি মিশরকে যাতে দেহ থাকলেও হৃদপিন্ড না থাকে মিশর এয়ারফোর্সে৷ কিন্তু এভাবেই কি হাত গুটিয়ে বসে থাকবে কায়ারো৷ অনেকের মতেই, কোনও পরিস্থিতি তেমন বুঝলে পথও খুঁজে নেবে মিশরবাহিনী৷

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version