Birbhum Kankalitala Satipeeth: দেবীর একান্নটি অঙ্গ কে একত্র করে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়া হয় এদিন। কঙ্কালীতলার পুজোর মাহাত্ম্য জানেন?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Birbhum Kankalitala Satipeeth: দেবীর একান্নটি অঙ্গ কে একত্র করে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়া হয় এদিন। দেবী রূপে পূজিত হয় ৫১ টি কুমারী মেয়ে। কঙ্কালীতলার এই পুজো রয়েছে বিশেষ নিয়ম নীতি। জানেন এই পুজোর মাহাত্ম্য? বোলপুরে কোপাই নদীর তীরে কঙ্কালীতলা মন্দির। সতী পীঠের অন্যতম এই স্থানে মায়ের কাঁকাল অর্থাৎ কোমরের হাড় পড়েছিল বলে কথিত রয়েছে। ৫১ পীঠের শেষ পীঠ কঙ্কালীতলা।

প্রতি বছর ত্রয়দশীর দিন সকাল থেকে পুজোর আয়োজন শুরু হয়। কুমারীদের লালপাড় শাড়ি পরানো হয় এবং ফুল দিয়ে সাজানো হয়। এর পরে সতীর দেহের ৫১টি খণ্ডকে মন্ত্রের দ্বারা একত্রিত করে সংকল্পের মাধ্যমে ঘটে স্থাপন করা হয় এবং সতীর পূর্নাঙ্গ রূপ দেওয়া হয়। সকাল ১০ টা থেকে এই পুজো শুরু হয়, চলে চার ঘন্টা। কুমারীদের যে ভোগ খেতে দেওয়া হয় তা প্রসাদ রূপে ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এখানে সতীর দেহের ৫১টি খন্ডকে একত্রিত করে একটি পূর্নাঙ্গ রূপ দেওয়া হয়।

মহাদেব যখন সতীর মৃতদেহ নিয়ে তাণ্ডব নৃত্য শুরু করেন, তখন সতীর দেহ ৫১টি খণ্ডে বিচ্ছিন্ন হয়ে ছড়িয়ে পড়ে নানা স্থানে। তার একটি খণ্ড পড়ে কঙ্কালীতলায়। কথিত আছে, ৪৮ বছর আগে কঙ্কালীতলা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কাপাসটিকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা বুদ্ধদেব চট্টোপাধ্যায় মা কঙ্কালীর স্বপ্নাদেশ পান।মা কঙ্কালীর স্বপ্নাদেশ পেয়েই ত্রয়োদশীর দিন এই পুজো শুরু করেন। তারপর থেকে চলে আসছে এই ৫১ কুমারীর পুজো। কঙ্কালীতলা সতীপীঠে ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী ৫১ জন কুমারীকে দেবী রূপে পুজো করা হয়।সতীর শরীরের ৫১টি খণ্ড হয়েছিল। সেই ৫১টি খণ্ডকে সংকল্পের মাধ্যমে ঘট স্থাপন করা হয়। তারপর যজ্ঞের মধ্য দিয়ে কুমারীদের পুজো করা হয়।

৪৮ বছর ধরে একই ভাবে হয়ে আসছে এই পুজো।
কঙ্কালীতলায় এই কুমারী পুজো দেখতে ভিড় জমান বহু মানুষ। শুধুমাত্র বীরভূম জেলা নয়, আশপাশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বহু মানুষ এদিন কঙ্কালীতলায় আসনে মনস্কামনা পূরণের আশায়। পুজো ঘিরে কঙ্কালীতলায় মেলা বসে এবং জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক হাজার ভক্তের সমাগম হয়। পুজোর প্রায় এক মাস আগে থেকে শুরু হয় প্রস্তুতি। কঙ্কালীতলার আশেপাশের বিভিন্ন গ্রামের ৫ থেকে ১২ বছর বয়সের কুমারীদের পরিবারের সদস্যরা পুজোর জন্য নাম লিখিয়ে যায়। পরে এদের মধ্যে ৫১ জনকে নির্বাচিত করা হয়।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version