Saphala Ekadashi 2022: সফলা একাদশীতে পাপ থেকে পাবেন মুক্তি, শুভ সময়ে করুন বিষ্ণুর পুজো

।। প্রথম কলকাতা ।।

Saphala Ekadashi 2022: হিন্দু সংস্কৃতি অনুযায়ী বিষ্ণু ভক্তদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন পৌষ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী তিথি। একটি বছরে মোট ২৪টি একাদশী রয়েছে, অর্থাৎ প্রতি মাসে আসে দুটি করে একাদশী। প্রত্যেক একাদশীর রয়েছে বিশেষ বিশেষ তাৎপর্য। ২০২২ এর শেষ একাদশী পড়েছে ১৯শে ডিসেম্বর। এই দিন রয়েছে সফলা একাদশী। কথিত আছে সফলা একাদশীতে কেউ ব্রত রেখে শ্রী বিষ্ণু এবং মাতা লক্ষ্মীর আরাধনা করলে সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ হয়। পাশাপাশি সংসারে সুখ-সমৃদ্ধি এবং শান্তির আগমন ঘটে। সম্পূর্ণ বিধি-বিধান সহকারে এই ব্রত পালনকারীদের মৃত্যুর পর বিষ্ণু লোকের প্রাপ্তি হয়।

সফলা একাদশীর তিথি ও শুভ সময়

১৯শে ডিসেম্বর, সোমবার,২০২২
সোমবার সফলা একাদশীর উপবাস পালিত হবে। এটাই হবে এই বছরের শেষ একাদশী।
একাদশী তিথির শুরু – ১৯শে ডিসেম্বর, ভোর ৩টে ৩২মিনিটে।
একাদশী তিথি শেষ – ২০শে ডিসেম্বর, রাত ২টো ৩২মিনিটে।
পারণের সময়- ২০শে ডিসেম্বর, সকাল ৮টা ০৫ মিনিট থেকে ৯টা ১৩ মিনিট পর্যন্ত।

সাফলা একাদশীর তাৎপর্য

সাফলা একাদশীর বিশেষ গুরুত্ব শাস্ত্রে বলা হয়েছে। পুরাণ অনুসারে, যুধিষ্ঠিরের জিজ্ঞাসায় ভগবান শ্রী কৃষ্ণ বলেছিলেন যে তিনি একাদশীর উপবাস থেকে যতটা তৃপ্তি পান সবচেয়ে বড় পুজোর আচার-অনুষ্ঠান এবং যজ্ঞ থেকে তিনি ততটা তৃপ্তি পান না। শাস্ত্র মতে, এই দিনে উপবাস করলে মানুষের সৌভাগ্য লাভ হয়। যে ব্যক্তি পূর্ণ ভক্তি সহকারে ভগবান বিষ্ণুর পুজো ও উপবাস করেন, তিনি মৃত্যুর পর স্বর্গ লাভ করেন। পাশাপশি ওই ব্যক্তির জীবন সাফল্য এবং সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে ।

সফলা একাদশী : লুম্বকের কাহিনী

সফলা একাদশী নিয়ে প্রচলিত রয়েছে এক কাহিনী। মহিষ্মত নামক এক প্রসিদ্ধ রাজা বাস করতেন চম্পাবতী নগরে। তার চার পুত্রের মধ্যে জ্যেষ্ঠপুত্র লুম্বক ছিলেন সর্বদা পরস্ত্রীগামী এবং মদ্যপ। তিনি সর্বদা ব্রাহ্মণ এবং দেবতাদের নামের নিন্দা করতেন। অবশেষে সেই রাজা লুম্বককে রাজ্য থেকে বিতাড়িত করেন। লুম্বক গভীর বনে আশ্রয় নিয়ে জীব হত্যা এবং চুরি করে জীবন যাপন করতে শুরু করেন। একবার নগরীর প্রহরীর কাছে গিয়ে ধরা পড়লেও রাজপুত্র বলে পার পেয়ে যান। পুনরায় তিনি বনে এসে এক বিশাল অশ্বথ বৃক্ষের নিচে আশ্রয় নেন। সেই গাছটি দেবত্ব লাভ করেছিল , ভগবান বাসুদেব সেখানে বাস করতেন বলে।

লুম্বক সেই গাছের নিচে কিছুটা পূর্ব জন্মের পুণ্যের ফলে পৌষ মাসে দশমীর দিন কেবল ফল খেয়ে দিন যাপন করেন। যার কারণে শীতের প্রকোপে প্রায় মৃতপ্রায় হয়ে পড়েছিলেন । তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরে ভগবানের উদ্দেশ্যে নিজেকে সঁপে অনিদ্রা এবং অনাহারে দিন কাটাতে শুরু করেন। সেই পরিস্থিতিতে দৈববাণী করে জানানো হয় সফলা ব্রতের মাধ্যমে তার রাজ্য প্রাপ্ত হবে। সেখান থেকেই আজও প্রচলিত সফলা একাদশী।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version