Orchid tree: এবার এই ফুল দেখাবে আয়ের দিশা, জেনে নিন কিভাবে করবেন চাষ

।। প্রথম কলকাতা ।।

Orchid tree: ফুলের রাজ্যে রঙিন সুগন্ধি আর বহু বিস্তৃত বৈশিষ্ট্য দিয়ে অর্কিড সবার মনে জায়গা করে নিয়েছে। এক অনিন্দ্য সুন্দর ফুল হিসেবে এর খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। ফুলটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল আকর্ষণীয় রং বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধি, ঔষধি গুনাগুন দীর্ঘস্থায়িত্বকাল। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বিস্তর এই প্রজাতির অর্কিড জন্মাতে দেখা যায়। ফুলদানিতে দীর্ঘকাল সজীব থাকে বলে কাটফ্লাওয়ার হিসেব এর ব্যবহার সর্বাধিক। বাড়ির সৌন্দর্য বর্ধনে ও গৃহসজ্জায় অর্কিট অতুলনীয়। অর্কিড সাধারণত দু ধরনের হয় এপিফাইটিক বা পরজীবী এবং টেরিস্ট্রিয়াল বা যেগুলো মাটিতে জন্মায়। আপনি আপনার বাড়িতে কোন ধরনের অর্কিট গাছ লাগাবেন তা সম্পূর্ণ আপনার পছন্দের উপর নির্ভর করে। অর্কিট গাছে তাড়াতাড়ি ফুলও ধরে।

যৌন এবং অযৌন উভয় পদ্ধতিতে অর্কিডের বংশ বিস্তার করা যেতে পারে। যৌন পদ্ধতিতে বংশবিস্তার কষ্টসাধ্য বলে অযৌন উপায়ে সচরাচর এর বংশবিস্তার করা হয়ে থাকে। এছাড়া টিস্যু কালচারের মাধ্যমে সফলতার সঙ্গে চারা উৎপাদন করা যায়। উপযুক্ত তাপমাত্রা আদ্রতা ও ছায়ার প্রয়োজন এই ফুল চাষের জন্য। সাধারণত উষ্ণ এবং আদ্র আবহাওয়া অর্কিড চাষের জন্য উত্তম। আধো আলো ছায়া এর স্থানে এই ফুল চাষের জন্য নির্বাচন করা উচিত। ঠান্ডা ও শুষ্ক আবহাওয়ার অর্কিডের বিভিন্ন প্রজাতির সফলভাবে চাষ করা হয়ে থাকে। পার্থিব অর্কিট এর জন্য দোয়াশ মাটি ব্যবহার করা উত্তম। উপযুক্ত বায়ু চলাচল এবং জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকা অবশ্যক।

টব, গামলা অথবা ঝুলন্ত টবে চাষ করা যেতে পারে ফুল। প্রথমে এগুলোর যেকোনো একটি ভেতরে তলদেশে কয়লা, খোয়া অথবা ঝামার টুকরো স্থাপন করতে হয় এবং এর উপরে নারিকেলের ছোবড়া টুকরো অথবা আম গাছের বাকল ছড়িয়ে দিতে হয়। তারপর সবার উপরে পাতা পচা সার ও হাড়ের গুঁড়ো মিশ্রিত মাটি দিয়ে টপ ভর্তি করে তার উপর অর্কিডের চারা এমনভাবে স্থাপন করতে হয় যেন শিকড়গুলো ছড়িয়ে থাকে।এরপর প্রয়োজন মত জল দিতে হবে। তবে অতিরিক্ত জল প্রয়োগ করা উচিত নয়।

এখন প্রায় সারা বছর ধরেই অর্কিড ফুল উৎপাদন সম্ভব। বিভিন্ন প্রজাতি থাকার কারণে অর্কিডের ফুল সারা বছরই বাজারজাতকরণ সম্ভব। গাছ লাগানোর এক বছরের মধ্যেই ফুল আসে। অর্কিট চাষের জন্য শিকড় সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত। পিঁপড়ে, পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য প্রতি ১০-১৫ দিন অন্তর গাছে সেভিন পাউডার প্রয়োগ করা যেতে পারে। এছাড়াও থ্রিপস, মিলিবাগ ও এফিডের জন্য ম‍্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি দু মিলি হারে প্রতি লিটার জলে মিশিয়ে ৭-৮ দিন পর দু-তিন বার করে দিতে হবে। ইঁদুরের উপদ্রপ হলে বিষটোপ ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও চাষ করার সময় যন্ত্রপাতি শোধন করে ব্যবহার করা ভালো।

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version