।। প্রথম কলকাতা ।।
Meghna Setu: ওপার বাংলার গর্ব পদ্মা সেতুর সাফল্যে ব্যাপক উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশ সরকার। এই পদ্মা সেতুর ফলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের। তাই এবার পদ্মা সেতুর সাফল্যের পর ওপার বাংলার অর্থনীতিকে আরও তরতাজা করে তোলার জন্য নতুন পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ সরকার। মেঘনা নদীর উপরেও নতুন করে একটি সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও সেখানে দুটি সেতু রয়েছে। কিন্তু নতুন করে আরও একটি সেতু তৈরি করার পথে হাসিনা সরকার।
এই সেতু তৈরি হলে মূলত ঢাকার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী জেলাগুলির যোগাযোগ আরও সহজ হয়ে উঠবে। এই তৃতীয় সেতুটি ভুলতা থেকে আড়াই হাজার বাঞ্ছারামপুর সড়কের ফেরিঘাটের ১০০ মিটার স্রোতের বিপরীতে নির্মাণ করা হবে। যার দৈর্ঘ্য হতে চলেছে ৩.১৩ কিলোমিটার। আর মেঘনা নদীর উপরে এই তৃতীয় সেতুর দুদিকে ৪.৪ কিমি সড়ক পথ নির্মাণ করা হবে। ২০২৩ সালের মে মাসে বিনিয়োগকারী সংস্থার সাথে বাংলাদেশ সরকারের মেঘনা নদীর উপর এই তৃতীয় সেতু নিয়ে চুক্তি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশি সংবাদ মাধ্যম ‘আমাদের সময়ে’র প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, কোরিয়ান নির্মাণ সংস্থা হুন্ডাই ইঞ্জিনিয়ারিং কোরিয়ান, এক্সপ্রেসওয়ে কর্পোরেশন এবং দাইয়ু ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেড মেঘনা নদীর তৃতীয় সেতু নির্মাণ করার কাজে অংশ নেবে। এই সেতুটি মূলত গড়ে তোলা হবে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট সড়কের বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবে। মেঘনা নদীতে প্রচুর পরিমাণে নৌকা চলাচল করে। তাই সেতু নির্মাণের জন্য যাতে নৌকা চলাচলে কোনরকম বাধা সৃষ্টি না হয় সেদিকে বিশেষ নজর রাখবে বাংলাদেশ সরকার। ঢাকা থেকে পণ্য আশুগঞ্জ হয়ে স্থলবন্দর নিয়ে যেতে যা সময় লাগতো মেঘনা নদীর উপর এই সেতু তৈরি হলে তার থেকে প্রায় চার ঘন্টা সময় কম লাগবে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ২০২০ সাল থেকে মেঘনা নদীর উপরে এই সেতুটি তৈরি করার বিষয় চিন্তা ভাবনা চলছিল, আদৌ এই সেতুটি তৈরি করা সম্ভব কি না। তবে ২০২০ সালের অগাস্ট মাসে বাংলাদেশ মন্ত্রিসভায় এই প্রস্তাব পেশ করা হয় যা। বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদনও দেওয়া হয়। বাংলাদেশ সম্প্রতি পদ্মা সেতু তৈরি করেছে। যার জন্য খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। ওই সেতু সেদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বিকাশের পথে ভীষণভাবে সাহায্য করেছে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এই মেঘনা সেতুও বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ক্ষেত্র এবং যোগাযোগ ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন নিয়ে আসবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম