Ukraine dam: নতুন বিপর্যয় নোভা কাখভকা! রাশিয়া নাকি ইউক্রেন, কাদের চক্রান্তে তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Ukraine dam: এবার কি বন্যায় ভাসবে ইউক্রেন? ইউক্রেনের নোভা কাখভকা বাঁধটিকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আশপাশের বিশাল এলাকা প্লাবিত হয়েছে। গ্রামের পর গ্রাম জলে তলিয়ে যাচ্ছে। বাঁধ ভাঙা নিয়ে চারিদিকে তোলপাড় চলছে। রাশিয়া ইউক্রেন দুই পক্ষই একে অপরকে দুষছে। এই বন্যা সর্বনাশা রূপ নিলে কি হবে? নোভা কাখভকা বাঁধ ভেঙ্গে কারা লাভবান হচ্ছে? কেন হামলা চালানো হলো এই বাঁধে? ঠিক কি ঘটেছিল? ইউক্রেনের নোভা কাখভকা জলাধার এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝে এ যেন গোদের উপর বিষফোঁড়া! কি বলছেন বিশ্লেষকরা?

ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে রাশিয়ার দখলকৃত বিশাল এলাকা এখন বন্যায় প্লাবিত। জলাধারের আশপাশের এলাকার মানুষকে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই বন্যা সর্বনাশা রূপ নিতে পারে। এতে ১৬ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। নোভা কাখোভকা শহর থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে, ভবনগুলোর চারপাশে বন্যার জল। স্থানীয় সরকারি দপ্তরের চারপাশে রাজহাঁস ভেসে বেড়াচ্ছে। জলাধারের কাছে খেরসন শহরের নিচু এলাকার বাসিন্দাদের যত দ্রুত সম্ভব নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়েছে‌। আটটা গ্রাম বন্যার জলে তলিয়ে গেছে, আরও এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বড় সর্বনাশ হয়ে গেছে। কারণ, এই জলাধারটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই জলাধার বিপুল পরিমাণ জল ধরে রাখে, যা থেকে উজানে থাকা লোকজন উপকৃত হন। কৃষকরা চাষাবাদের জন্য এই জলের ওপরেই নির্ভরশীল। সেই জল এতো কমে গেলে মানুষ কি করবে? না, শুধু এটুকুই নয়। জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে শীতল রাখতেও এই জলাধারের জল ব্যবহার করা হয়। আর এরকম চলতে থাকলে নিপ্রো থেকে ক্রিমিয়ায় জল সরবরাহও বাধাগ্রস্ত হতে পারে। ২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া নিজেদের দখলে নেওয়ার পর ইউক্রেন নোভা কাখোভকা থেকে জল যাওয়ার চ্যানেলটা বন্ধ করে দেয়।এতে জলসংকট দেখা দেয়, তবে গত বছর পুরোদমে ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর রুশ বাহিনী চ্যানেলটা খুলে দেয়। সেক্ষেত্রে বাঁধ না থাকলে জলাধারের জলস্তর কমে গিয়ে আবারও ক্রিমিয়া বিপদে পড়তে পারে। কিন্তু রাশিয়া নাকি ইউক্রেন বাঁধ ধ্বংসের সঙ্গে যুক্ত কারা?বাঁধটি কেন ধসে পড়েছে?

না, কারণ স্পষ্ট নয়। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ চলছে। বাঁধটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছে ইউক্রেন ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। এই ঘটনাকে যুদ্ধাপরাধও বলছে তারা। আর রাশিয়া বলছে, পাল্টা হামলার ব্যর্থতা আড়াল করতে ইউক্রেন নাশকতা চালিয়ে ওই বাঁধ ধ্বংস করেছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ইউক্রেনের দাবি রাশিয়া উড়িয়ে দিলেও, ওই অভিযোগের যুক্তিসংগত কারণ আছে। এটা হতে পারে যে মস্কোর আশঙ্কা ছিল পাল্টা আক্রমণ চালাতে ইউক্রেন, বাঁধের ওপরের সড়ক ব্যবহার করে দক্ষিণাঞ্চলের রুশ বাহিনীর উপর হামলা চালাতে পারে। আর ঠিক সেই কারণেই বাঁধটিকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া।

যদিও উল্টো ইউক্রেনকেই দায়ী করছে রাশিয়া। তাঁরা বলছে, ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে জল থেকে বঞ্চিত করতেই এই ‘নাশকতা’ চালিয়েছে ইউক্রেন। বলতেই হচ্ছে, যেভাবে দুই পক্ষ একে অপরকে বাঁধ ভাঙ্গার জন্য দায়ী করছে, তাতে গত বছরের অমীমাংসিত নর্ডস্ট্রিম গ্যাস পাইপলাইন বিস্ফোরণের ঘটনার সাথে এর মিল পাওয়া যাচ্ছে। মনে করে দেখুন, ওই ক্ষেত্রেও পশ্চিমাদের সন্দেহ গিয়ে পড়েছিল রাশিয়ার ওপরে। কিন্তু দুবারেই রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া, “এটা তারা করেনি, কারণ এতে নাকি তাদেরই ক্ষতি” যদিও, লাভ ক্ষতির হিসেবটা সময় এলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version