চীনকে নেপালের চরম ধাক্কা! GSI থেকে পালাচ্ছে কাঠমান্ডু, জিনপিং হতাশ

।। প্রথম কলকাতা ।।

চীনের মুখের ওপর না বলে দিল নেপাল। বেজিংয়ের জিএসআইতে কোনওভাবেই নেই কাঠমান্ডু। জিএসআই চীনের নতুন কোন চাল? নেপালের প্রধানমন্ত্রীর ওপর প্রবল চাপ দিয়েও লাভ হল না। পুস্প কমল দহলকে ঠিক কী বলেছিলেন শি জিনপিং? চীন সফরের অভিজ্ঞতা কেমন হল নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুস্পকমল দহলের? প্রধানমন্ত্রীর পদে বসার পর এটা তাঁর প্রথম চীন সফর। প্রথমেই বলে রাখি চীনের সঙ্গে নেপালের একডজন চুক্তি হয়েছে। ডিজিটাল অর্থনীতি এবং কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে একগুচ্ছ ডিল, কিন্তু এরইমাঝে নেপালকে নিয়ে প্রবল অস্বস্তিতে পড়ে গেল বেজিং। নেপালের পিএমের কাছে ভারতের নামে নিন্দা। দহল কি তারই প্রতিবাদ করলেন নাকি নেপালকে কৌশলে এমন কিছুতে জড়িয়ে ফেলতে চেয়েছিল চীন যা প্রকাশ্যেই সম্ভব না ঘোষণা করে দিল কাঠমান্ডু।

দ্য হিন্দুর রিপোর্ট বলছে জিএসআই বা শি-য়ের জন্ম দেওয়া গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভে যুক্ত হতে কার্যত না করে দিল নেপাল। প্রথম কথা এই গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভ ব্যাপারটা কী? দ্বিতীয়ত এতে যুক্ত হলে নেপালের কী ক্ষতি হত? ভারতের বিরুদ্ধে যাবে না নেপাল চীনের মাটি থেকে প্রমাণ করে দিলেন দহল। চীন সফরের আগেই মে মাসে ভারতে সফর করেছেন দহল। সে সময় ভারতের সঙ্গেও একাধিক চুক্তি হয়েছে তাই এবার কাঠমান্ডুও দিল কৌশলি চাল। ২০২২ সালে বোয়া ফোরাম ফর এশিয়া থেকে গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভের কথা ঘোষণা করেন শি জিনপিং। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটা বেসক্যালি কোয়াডকে কাউন্টার করার জন্য তৈরি করেছে চীন। বিশ্বের চারটে বড় দেশ ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান কোয়াডের সদস্য। কিন্তু এই কোয়াডকেই আমেরিকার ইন্দো প্যাসিফিক ন্যাটো বলে চীনের বিদেশমন্ত্রী।যদিও ভারতের তাতে আপত্তি রয়েছে।

ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর আগেই বলে দিয়েছিলেন কোয়াড কোনওভাবেই এশিয়ান ন্যাটো নয়। কারণ ন্যাটোর মেন্টালিটি নেই ভারতের এবার আসা যাক জিএসআইএ। জিনপিং বলছে এই জিএসআই বিশ্ব শান্তি ও সুরক্ষা বাড়ানোর প্রচেষ্টা করবে। প্রত্যেক দেশের ঐক্য ও অখন্ডতা রক্ষার চেষ্টা করবে। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি যে দেশ নিজে নেপাল, জাপান, ভারতের অংশ দখল করে থাকে সে আবার ঐক্য ও অখন্ডতা রক্ষার কথা বলে। এছাড়াও জিএসআইতে বলা হয়েছেরা ষ্ট্রপুঞ্জ যা বলছে তা মানা উচিত, কিন্তু দেখুন সমু্দ্র নিয়ে যা বলে রাষ্ট্রপুঞ্জ সেটা তো বাস্তবে মানে না চীন। সাউথ চীনা সমু্দ্রে চীনের আগ্রাসন নিয়ে ফিলিপিন্স ও ভিয়েতনামের পক্ষে বার্তা দেওয়া হয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে। বেজিং সে কথা একবারও কানে তোলেনি। চীন জিএসআইএ বলছে ঠান্ডা যুদ্ধের মেন্টালিটি থেকে বাঁচতে হবে। কোনও দেশের যদি নিজের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তা থাকে তার জন্য পজেটিভ অ্যাকশন নেওয়া উচিত। এছাড়া শান্তির মাধ্যমে জমিবিবাদ মেটানো দরকার।

লাদাখ, প্যাংগং লেক নিয়ে বিবাদ মেটানোর জন্য বরাবর শান্তি, সমঝোতা ও আলোচনার রাস্তাই বেছে নিয়েছে ভারত। কিন্তু এরবারও তাতে চীনের সাড়া পাওয়া যায় নি। এর মানে নেপাল বিলক্ষণ জানে চীন যে দেখাচ্ছে সেটা বাস্তবে সম্ভব নয়। আর একবার নেপাল জিএসআইয়ে ঢুকে গেলে তাদেরকে ইচ্ছামতো ব্যবহার করবে চীন। হয়ত পুরোপুরি ভারতের বিরুদ্ধেও ব্যবহার করতে পারে। নেপালকে জিএসআই উদ্যোগকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করার জন্য রীতিমত বারবার আহ্বান জানিয়েছিল বেইজিং। প্রধানমন্ত্রী দাহাল বলেন আমরা নিরাপত্তা সংক্রান্ত ইস্যুতে যেতে পারি না, কোনও পক্ষের ছত্রছায়ায় না থাকা আমাদের ঘোষিত নীতি। আমরা জোটনিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি মেনে চলি। জিনপিংয়ের মুখের ওপর তাদের দেশে বসেই না বলল নেপাল। এবার দেখার এ নিয়ে ভবিষ্যতে ভারত কোনও প্রতিক্রিয়া দেয় কিনা।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version