Giza Pyramid Corridor: গিজার পিরামিডে রহস্যজনক করিডোর, এর শেষ কোথায়? প্রকাশ্যে আসতে পারে আশ্চর্য তথ্য

।। প্রথম কলকাতা ।।

Giza Pyramid Corridor: রহস্যে মোড়া মিশরের পিরামিড। পিরামিড নিয়ে গবেষণার শেষ নেই। প্রাচীনকালে এগুলি কিভাবে তৈরি হয়েছিল? কারা তৈরি করেছিলেন কিংবা সেই পদ্ধতি নিয়ে এখনো নানান রহস্য রয়েছে। এবার গিজার পিরামিডে (Giza Pyramid) পাওয়া গেল এক গোপন করিডোর। পিরামিডের বয়স প্রায় সাড়ে চার হাজার বছর। পিরামিডের মূল প্রবেশ পথের পাশে রয়েছে একটি নয় মিটার দৈর্ঘ্যের করিডোর (Corridor)।

করিডোর আবিষ্কারে গবেষকরা মনে করছেন, হয়ত কোন আশার আলো দেখা যাবে। সেই ২০১৫ সাল থেকে গবেষকরা এই পিরামিড নিয়ে কাজ করছেন। তারা পিরামিডের ভিতরে প্রবেশ না করে বাইরে থেকে থ্রিডি সিমুলেশন, ইনফ্রারেড থার্মোগ্রাফি সহ কসমেটিক রে ইমেজিং সিস্টেমের মাধ্যমে গবেষণা চালাচ্ছিলেন। গবেষকরা আশা করছেন, হয়ত এই করিডোর রানি ক্লিওপেট্রার সমাধি পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে। যদিও এখনো পর্যন্ত এই বিষয়ে স্ক্যানিং চলছে। সামনে যে ঠিক কি অপেক্ষা করছে এখনো কেউ জানো না, তবে সবাই আশা করছেন, করিডোরের ঠিক শেষে কি রয়েছে হয়ত তার দেখা মিলতে পারে। গিজার এই পিরামিডটি তৈরি হয়েছিল প্রায় ২৫৬০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে। তখন পিরামিডের উচ্চতা ছিল প্রায় ১৪৬ মিটার. এখন সেটি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৯ মিটারে। আইফেল টাওয়ার তৈরির আগে এটিই ছিল মানুষের তৈরি সবথেকে বড় উচ্চতম কাঠামো। প্রায় সাড়ে চার হাজার বছর আগে তৈরি গিজার পিরামিডের মধ্যে লুকানো ৩০ ফুট লম্বা করিডোর নিয়ে উচ্ছ্বসিত বিজ্ঞানীরা। হয়ত এই করিডোর বহু অনাবিষ্কৃত রহস্য ভেদ করবে। এর শেষে হয়ত মিলতে পারে ফ্যারাওদের একাধিক সমাধি।

ইজিপ্টের পিরামিডগুলির অবিশ্বাস্য গঠন। পিরামিডের মধ্যে থাকা তাপমাত্রা প্রায় কুড়ি ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেটা কিভাবে সম্ভব তা আজও জানা যায়নি। সমস্ত ঋতুতেই এই তাপমাত্রা একই থাকে। সবথেকে অবিশ্বাস্য ব্যাপার হল, পিরামিডে ব্যবহৃত পাথরগুলির ওজন দুই হাজার সাতশো থেকে সত্তর হাজার কেজি পর্যন্ত। এত ভারী পাথর গুলিকে কোনো উন্নত প্রযুক্তি ছাড়াই কিভাবে সুপরিকল্পিত ভাবে পিরামিড আকারে সাজানো হয়েছে , তা সত্যিই অবাক করে। সে সময় ছিল না কোনো উন্নত প্রযুক্তি বা ক্রেন। ইজিপ্টে ১৩৮টি পিরামিডের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে এবং প্রত্যেকটি হাজার হাজার বছর ধরে ভূমিকম্প ও ঝড় সহ্য করে অক্ষত রয়েছে। ইজিপ্টের সব থেকে বড় পিরামিড হলো গিজা। শুধুমাত্র গিজার আয়তন বড় বড় নয়টি ফুটবল মাঠের সমান। প্রায় তেতাল্লিশ লক্ষ পাথর দিয়ে তৈরি হয়েছে এই পিরামিডটি। পাথরগুলির কৌণিক অবস্থান হল ৫১.৫ ডিগ্রী। পিরামিডে ব্যবহৃত পাথরগুলির মোট ওজন ষাট লক্ষ টন। যা সত্যি অবিশ্বাস্য। এত বড় বড় পাথর কে কিভাবে সঠিক আকারে গঠন করা সম্ভব ? তাও আবার ৪৮০ ফিট উচ্চতায়। লোকায়ত বিশ্বাস অনুযায়ী , পিরামিডের মাথায় থাকা নক্ষত্রগুলো থেকে এলিয়েনের সাহায্যে পিরামিডগুলো তৈরি হয়েছে। হয়ত বা এলিয়েনদের কাছে ছিল উন্নত প্রযুক্তি। যদিও এর পিছনে কোন বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই।

পরবর্তীকালে একদল গবেষক আবিষ্কার করেন কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাঁদের মতে পিরামিডের প্রত্যেকটি পাথর একই জলের স্তর অনুযায়ী বসানো হতো। যে পাথরের স্তর অন্য একটি পাথরের সাথে মিলত না সেটি ছেনি দিয়ে কেটে নেওয়া হতো। এই ছেনি শুধুমাত্র কপার বা তামার তৈরি ছিল না। এটি ছিল অত্যন্ত মজবুত। এটি তৈরি হতো আর্সেনিক ও কপারের মিশ্রণে। পাথরগুলোকে আনা হতো নৌকা করে । আবার কখনো প্রায় পাঁচশ জন লোক দড়ি ও কাঠের সাহায্যে একস্থান থেকে অন্যস্থানে পাথরগুলি নিয়ে যেত। তারপর সাজানো হতো স্পাইরাল বা জিগজাগ ট্র্যাক অনুযায়ী। পিরামিডের মধ্যে থাকা কিছু কম্পার্টমেন্টের হদিস পাওয়া গেছে , যেগুলি গ্রানাইট পাথর দিয়ে তৈরি । গ্রানাইট অত্যন্ত শক্ত পাথর। এই পাথরকে কাটতে প্রায় চার মাস সময় লাগত। সেক্ষেত্রে ব্যবহার করা হত কাঠের হাতুড়ি এবং ছেনি।

বলা হয়, এই ভাবে তেইশ লক্ষ পাথরকে নির্দিষ্ট গঠনে আনতে প্রায় পনেরো থেকে কুড়ি বছর সময় লেগেছিল । সে ক্ষেত্রে এক একটা পাথরের পিছনে সময় ব্যয় করতে হয়েছিল দেড় মিনিট। দেড় মিনিটের হিসাব করলে কখনোই সম্ভব নয় ৪৮০ ফিট উচ্চতায় পাথর সাজিয়ে পিরামিড তৈরি করা। তাই এলিয়েনের রহস্য এখনো রহস্যময়ই থেকে গেছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version