India china: চিনকে তেল দেওয়ার পরিণাম ভুগবে মায়ানমার! ভারতের রক্তচক্ষু, কোকো আইল্যান্ড আসলে কার?

।। সুচিত্রা রায় চৌধুরী ।।

 

India china: অরুনাচল নয় চিন ভারতের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পুরোপুরি দখলে করে নিচ্ছে৷ ভারত মায়ানমারকে (Myanmar) লম্বাচওড়া হুমকি দিয়েছে কিন্তু ভারত হুমকি দিলে মায়ানমার শুনবে কেন? জুন্টার সঙ্গে বেজিংয়ের সঙ্গে রিসেন্ট লেনদেনের কাহিনী জানেন? কোকো আইল্যান্ডে (Coco Islands) গড়ে উঠছে চিনের গোয়েন্দা সাম্রাজ্য! মায়ানমারের বাড়াবাড়ি করার কোনও লিমিট থাকছে না, কোকো আইল্যান্ড আসলে কার? ব্লুমবার্গের রিপোর্ট, মায়ানমারের কোকো দ্বীপে গোপন ঘাঁটি বানাচ্ছে চিন৷ তৈরি করা হয়ে গেছে এয়ার স্ট্রিপ৷ ভারতকে টার্গেট করায় কড়া নজর রেখেছে নয়া দিল্লি৷

 

কোকো আইল্যান্ড কি আদৌ ভারতের অংশ? ভারত মায়ানমারকে ধমকাচ্ছে, হুঁশিয়ারি দিচ্ছে৷ বিবিসির রিপোর্ট হাজার হাজর নাগরিক মায়ানমার ছেড়ে পালাচ্ছে থাইল্যান্ডে
আর নেপথ্যে থাকা অত্যাচারি জুন্টা সরকার ফুলেফেঁপে উঠছে চিনের টাকায়৷ ১.৪৩ বিলিয়নের প্রাকৃতিক গ্যাস বিক্রি করেছে বেজিংয়ে কাছে জুন্টা সরকার৷ স্থলপথে মায়ানমার ও ভারতের দূরত্ব সাড়ে ৪ হাজার কিলোমিটারের বেশি৷ এদিকে কোকো দ্বীপ থেকে আন্দামানের দূরত্ব ৫০ থেকে ৫৫ কিলোমিটার৷ অবশ্যই এটা চাঞ্চল্যকর তথ্য বলছেন কূটনৈতিক মহল৷ আমেরিকা ভয় পাচ্ছে রীতিমত? কোকো দ্বীপে তাদের কি রয়েছে? আন্তর্জাতিক মিডিয়ার কান খাড়া হয়ে যায় কোকো আইল্যান্ডে কোনও গতিবিধির আপডেট হলে৷

 

ইন্ডিপেন্ডেন্ট পলিসি ইনস্টিটিউট, সহজ কথায় ব্রিটিশ থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক চ্যাথাম হাউস বলছে কোকো আইল্যান্ডের স্যাটালাইট ছবিতে বিমান রাখার নতুন দুটি বড় স্থাপনা, একটি নতুন রাস্তা একটি আবাসন ব্লক নির্মাণ করার ছবি ধরা পড়েছে৷ মায়ানমার সরকারের নিয়ন্ত্রণাধী কোকো দ্বীপে ১৯৯৪-তে প্রথমবার পা রাখে চিন এই এলাকায় মোট পাঁটটি দ্বীপ রয়েছে৷ এর মধ্যে চারটি দ্বীপের অবস্থান গ্রেট কোকো রিফের উপর ভারতের দাবি, চিন মায়ানমারকে ব্যবহার করে এই দ্বীপে নিজেদের দখলে এনেছে আর সেখানে গোয়েন্দা ঘাঁটি গড়ে ফেলেছে৷ কোকো আইল্যান্ড ভারতের নাকি মায়ানমারের এই প্রশ্ন যদি আপনি করেন তাহলে বলব একটু অতীতটা জানুন৷

 

ভারতের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জর্জ ফার্নান্ডেস বলেছিলেন, জওহরলাল নেহেরু তো মায়ানমারকে লিজে দিয়েছে কোকো দ্বীপ৷ এই মন্তব্য নিয়ে সেসময় কম বিতর্ক হয়নি৷
এই দ্বীপ মায়ানমারের বলে পরিচিত হলেও ভারত দাবি করে এদ্বীপ তাদের৷ এখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আতঙ্কের একটা কারণ রয়েছে৷ কোকো দ্বীপ থেকে সহজেই ইন্দো প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার একাধিক মার্কিন নৌঘাঁটিকে টার্গেট করতে পারবে লালফৌজ৷ রাশিয়াকে যেভাবে একঘরে করে দিয়েছে আমেরিকা৷ নিষেধাজ্ঞার পর নিষেধাজ্ঞা লাগিয়ে মস্কোকে কোনঠাসা৷ মায়ানমারের অবস্থা তার থেকেও খারাপ৷ চিন মায়ানমারের কাছে এমূহুর্তে ঈশ্বরের সমান৷ জুন্টার ওপর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের ইনভেস্টমেন্ট করছেন ড্রাগনের দেশ৷

 

তথ্য বলে জিন্নাও নাকি দেশভাগের সময় কোকো আইল্যান্ড ক্লেম করেছিলেন৷ বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাই ডিফল্ট ভারতেরই অংশ বলা যেতে পারা কোকো আইল্যান্ড নিয়ে সেভাবে কোনওদিনই জোর দেয়নি নয়া দিল্লি৷ সময় বদলেছে, সরকার বদলেছে ভারত অনেক বেশি শক্তিশালী এখন৷ কিন্তু অতীতের ভুল বা ঢিলেমি এবার কি ভারী পড়তে পারে? সময় এসেছে নতুন করে বড় কোনও পদক্ষেপ নিতেই পারে ভারত মনে করছে কূটনৈতিক মহল৷

Exit mobile version