মায়ানমার ভেঙে হবে দু-ভাগ! জুন্টার কাউন্টডাউন শুরু, ভারত কেন উদ্বেগে ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

মায়ানমারে জুন্টার কাউন্টডাউন শুরু। মায়ানমার ভেঙে দুটুকরো হয়ে যেতে পারে আশঙ্কা মায়ানমারের মানুষকে। আর আটকানো যাচ্ছে না বার্মায় যু্দ্ধ লাগলে ভারতের কত বড় ক্ষতি? এই প্রথমবার জুন্টা ভয় পাচ্ছে। এটা এখনই বলা সম্ভব নয় যে গৃহযুদ্ধ মায়ানমারে শুরু হয়েছে। তাতে কে জিতবে কে হারবে তবে জুন্টাকে যে এবার ভুগতে সেটা স্পষ্ট হচ্ছে বলছেন কূটনৈতিক মহল। মায়ানমারের তিন জঙ্গিগোষ্ঠী ‘ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ) ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) ও ‘মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ) জোট বেঁধে সে দেশের সামরিক জুন্টা পরিচালিত সরকারের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান শুরু করে দিয়েছে। তারা যে এই মোক্ষম স্টেপ না নিতে চলেছে এমনটাই আশঙ্কা ছিল। এবার কি তাহলে মায়ানমার ভেঙে দুভাগ হয়ে যাবে? এই প্রশ্নটাই উঠছে এখন সব মহলে কিন্তু মায়ানমারে গৃহযুদ্ধে ভারত কেন রাখছে কড়া নজর? ভারতের সামনে কিন্তু এটা বড় হুমকি ঠিক কি কারণে আপনাদের জানাব কিন্তু তার আগে মায়ানমারের পরিস্থিতিটা একটু জেনে নিন।

চলতি সপ্তাহের গোড়া থেকে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে ইতিমধ্যেই চীন সীমান্তবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা মায়ানমারের সেনার হাতছাড়া হয়ে গিয়েছেন‌। মায়ানমার-চীন সংযোগরক্ষাকারী সড়কও এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে। এমনটাই এই তিন জঙ্গিগোষ্ঠীর জোটের দাবি। এই রাস্তা ব্যবহার করে চীনের সাথে স্থল বাণিজ্যের বেশিরভাগ পরিচালিত হতো। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার সংস্থার তরফে শুক্রবার জানানো হয়েছে সেনা-বিদ্রোহী সংঘর্ষের জেরে আতঙ্কে অন্তত ৯০ হাজার মানুষ ঘর ছেড়েছেন।
আর এখানেই সবথেকে বড় প্রেসার আসছে ভারতের ওপর। ্কোনও ছোটখাটো নয় ১৬০০ কিমি দীর্ঘ বর্ডার রয়েছে মায়ানমার ভারতের। অরুনাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, মণিপুর এই রাজ্য মায়ানমার সীমান্তবর্তী রাজ্য। আই এই বর্ডার এলাকাই পুরোপুরি জঙ্গলে ভরা রয়েছে। আর সেখানে লড়াই চলা মানেই শরণার্থীদের ভারতে ঢোকার চান্স কয়েকগুণ। অলরেডি মণিপুরে মারাত্মক অশান্তি হয়ে গিয়েছে কুকি আর মৈথেইদের মধ্যে‌।

৬ মাসে কেটে গেলেও এখনও মায়ানমারকে পুরোপুরি শান্ত বলা যাবে না। ভারতের সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হতে পারে এই অবস্থা বলছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা। এরই মধ্যে আরও বড় খবর বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে মায়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের প্রেসিডেন্ট সতর্ক করে দিয়েছেন দেশটির শান রাজ্যে শুরু হওয়া যুদ্ধ সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে পুরো দেশই ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হবে‌। ওয়াকিবহাল মহল বলছে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে জান্তা সরকার ক্ষমতায় আসার পর এটাই তাদের জন্য সবচেয়ে বড় দুঃসংবাদ। প্রায় আড়াই বছরের লড়াই শেষে এখন মনে হচ্ছে যে সামরিক বাহিনী দুর্বল হয়ে পড়েছে। আর হয়তো তাদের এখন পরাজিত করাটাও সম্ভব। বিদ্রোহীদের তৎপরতার জবাবে জান্তা সরকারও শত শত বিমান হামলা করেছে এবং কামান থেকে গোলা ছুড়েছে। যার কারণে হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এরপরও দাহা ফেল হয়েছে জুন্টা যে ভূখণ্ডের দখল তারা হারিয়েছে তা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি। এত হামলা সত্ত্বেও তাহলে কি এবার জুন্টার হারের পালা। দেখা যাক গৃহযুদ্ধের জল কোনদিকে গড়ায়!

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version